রঞ্জন চন্দ, বেলদা: গ্রামীন এলাকার আর্থিক সামাজিক উন্নয়নে প্রাচীন সময়ে বসত হাট। কিন্তু বর্তমানে সেই হাট এক স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারনের কাছে। তবে ফের পুরোনো হাট বসিয়েছে গ্রামবাসীরা। উদ্যোগ গ্রাম কমিটির।
ধীরে ধীরে হাটের মর্যাদা বা গুরুত্ব হারিয়েছে। এক জায়গায় এসে কেনাকাটা করার অভ্যাস পাল্টেছে এখন। বর্তমানে বাজার থেকেই জিনিসপত্র কেনাকাটা করেন মানুষ। 'জিনিসপত্র জুটিয়ে এনে' গ্রামের মানুষ এক জায়গায় বেচাকেনা করতেন। এই হাট নিয়ে অনেক সাহিত্য রচিতও হয়েছে। কিন্তু হাট ইদানিং সময়ের সঙ্গে প্রায় অবলুপ্তির পথে। কোথাও কোথাও এখনও বেঁচে আছে হাট সংস্কৃতি। তবে তাকে ফেরাতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে হাটের গুরুত্ব তুলে ধরতে নারায়ণগড় ব্লকের বেলদার দেউলী গ্রাম কমিটি চৈত্র সংক্রান্তির দিন থেকে প্রতি শুক্রবার হাট বসানোর সিদ্বান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার প্রতিবাদ স্ত্রীর! তারপরেই চরম পরিণতি, হাজতে অভিযুক্ত স্বামী
শুক্রবার দেউলী হাটপুকুর সংলগ্ন মাঠে বসবে হাট। প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার গ্রামের মানুষ এখানে এসে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারবেন বলে জানিয়েছে গ্রাম কমিটি। শুক্রবার প্রথম দিনেই হাটে প্রায় শতাধিক দোকান ছিল বলে জানিয়েছে গ্রাম কমিটি।সবজি, ফল,কাপড় সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান বসেছিল এখানে।
গ্রাম কমিটির বক্তব্য, প্রায় ১০০ বছর আগে গ্রামে হাট বসত। গ্রামে আছে শিব ও শীতলা মন্দির। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় একটি বড় পুকুর আছে। যার নাম এখনও হাটপুকুর নামে প্রচলিত। এ থেকেই অনুমান করা যায় এখানে একসময় হাট বসত। প্রসঙ্গত দেউলী গ্রামের মানুষ প্রতিদিন বেলদাতে বাজার করতে যান। দৈনিক বাজার ও আড়ত আছে বেলদাতে। যদিও তা কিছুটা দূরে এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের রেল লাইন তথা রেলগেট পেরিয়ে যেতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ। গ্রামে হাট বসলে কাছেই এবং ঝুঁকিহীন কেনাকাটা করতে পারবেন গ্রামের মানুষ। কিছুটা সস্তায় মিলবে বলেও দাবি কমিটির।এদিন ভালো বিক্রি হয়েছে বলে দাবি কমিটির।
গ্রামীন এলাকায় হাত বাঁচিয়ে রাখার আবেদন দোকানদারদেরও।প্রসঙ্গত নিত্যদিনের বাজার করতে ঘরে বাচ্চা রেখে কিংবা কাজ ফেলে বাড়ির মহিলাদের যেতে হয় সে ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক বাজার হলে অনেকখানি উপকৃত হবেন তারা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: West Midnapur