West Medinipur News: ভোট আসে যায় তবে বদলায় না তাঁদের জীবন! কী দাবি পরিযায়ী ইটভাটার শ্রমিকদের?
- Reported by:Ranjan Chanda
- hyperlocal
- Published by:Satabdi Adhikary
Last Updated:
এঁরা যেই তিমিরেই থাকেন, পড়ে থাকেন সেই তিমিরে। ভোট এলে জানতে পারেন, বাড়িতে থাকলে দিতে যান ভোট আর যদি পেটের দায়ে বাইরে থাকেন তবে অংশ নেওয়া হয় না গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে। কোনওভাবেই সারাদিনের কঠোর পরিশ্রমে চলে দিনযাপন। পুরুষ মহিলা ভেদাভেদ না করে ভারী ভারী ইট মাথায় তুলে তারা দিনের পর দিন কাজ করে চলেন। তবে তাঁদের দাবি, তাঁদের এলাকায় গড়ে উঠুক শিল্প কলকারখানা। যেখানে তারা বাড়ির পাশে অন্তত কাজ করতে পারবেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোট আসে ভোট যায়, বদলায় না চালচিত্রের ছিটেফোঁটাও। সারাদিনের কায়িক পরিশ্রম, সামান্য মজুরিতে নিজের সংসার, ছেলে-মেয়েদের দেখাশোনা করতে হয় তাদের। পরিযায়ী জীবনে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সেই অর্থে নেই পড়াশোনা। সামান্য কাজের আশায় ঘর ছেড়ে বহু দূরে পাড়ি দেন তাঁরা। বেশ কয়েক মাস থেকে কাজ করে সামান্য কিছু সঞ্চয় এর অর্থ নিয়ে মাস খানেকের জন্য বাড়ি যায়। অধিকার থাকলেও কখনও তাঁরা ভোট দিতে পারেন আবার কখনও ভোট দিতে পারেন না। কারণ তাঁরা থাকেন বাড়ি থেকে বেশ কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে। তাঁরা ইট ভাটার শ্রমিক। তাঁরা শুধু জানেন তাঁর পরিশ্রম যোগাবে অর্থ, কষ্টার্জিত টাকায় চলবে সংসার।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বিস্তীর্ণ অংশে ইটভাটায় কাজ করেন বহু মানুষ। এই শ্রমিকেরা আসেন মূলত বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ একাধিক রাজ্য থেকে। কেউ কেউ স্ত্রী, মা, ছেলেমেয়েদের নিয়ে এখানে আসেন। গরম, শীত কিংবা বর্ষাতে কোনওভাবেই ইটভাটার পাশে অস্থায়ী ছাউনিতে আশ্রয় নেয়। আজ এই ইটভাটায় কাজ করেন, তো কাল অন্যটায়। এভাবেই দিনের পর দিন, বছরের পর বছর দিন কাটে তাদের।রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ শুরু হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবে তাদের এলাকায়ও ভোট হবে। শ্রমিকদের পরিবারের কেউ কেউ ভোট দিতে যাবেন, কিন্তু বদলায় না তাদের দিনযাপনের ছবি।
advertisement
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই পদক্ষেপ রাজ্যপালের
এঁরা যেই তিমিরেই থাকেন, পড়ে থাকেন সেই তিমিরে। ভোট এলে জানতে পারেন, বাড়িতে থাকলে দিতে যান ভোট আর যদি পেটের দায়ে বাইরে থাকেন তবে অংশ নেওয়া হয় না গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে। কোনওভাবেই সারাদিনের কঠোর পরিশ্রমে চলে দিনযাপন। পুরুষ মহিলা ভেদাভেদ না করে ভারী ভারী ইট মাথায় তুলে তারা দিনের পর দিন কাজ করে চলেন। তবে তাঁদের দাবি, তাঁদের এলাকায় গড়ে উঠুক শিল্প কলকারখানা। যেখানে তারা বাড়ির পাশে অন্তত কাজ করতে পারবেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: রামনবমী পালন নয় যাদবপুরে, অনুমতি দিয়েও গভীর রাতে প্রত্যাহার…হাইকোর্টের পথে সংগঠন
সংসার ফেলে এসে কিংবা ছোট্ট বাচ্চাদের নিয়ে এসে এখানে থেকে কাজ করা দুর্বিসহ। কেউ কেউ হয়ত সরকারি শৌচালয় কিংবা ঘর পেয়েছেন, তবে তাদের মূলত দাবিস্থানীয় এলাকায় কর্মসংস্থানের। স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনের পরে ইটভাটার শ্রমিকদের দাবি কতটা পূর্ণ হয় তা সময় বলবে।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
view commentsLocation :
West Bengal
First Published :
Apr 17, 2024 3:14 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
West Medinipur News: ভোট আসে যায় তবে বদলায় না তাঁদের জীবন! কী দাবি পরিযায়ী ইটভাটার শ্রমিকদের?









