#পশ্চিম মেদিনীপুর: মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলেও জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জয়জয়কার। রাজ্যের মেধাতালিকায় আছেন ২৭২ জন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকেই ৩৫ জন জায়গা পেয়েছেন এই মেধাতালিকায়! তবে, রীতিমতো 'চোখ ধাঁধানো ফল' করেছে পিংলা ব্লকের জলচক নাটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তন (উচ্চ মাধ্যমিক)- এর ছাত্র-ছাত্রীরা। মোট ২২ জন আছেন মেধাতালিকায়। সায়নদীপ সামন্ত ৪৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন।
এরপর, তৃতীয় স্থানে (৪৯৬) আছেন পরিচয় পারি। চতুর্থ স্থানে (৪৯৫) তিনজন। এঁরা যথাক্রমে- কিংশুক রায়, সৌম্যদীপ মণ্ডল এবং প্রীতম মিদ্যা। ষষ্ঠ স্থানে (৪৯৩) শ্রীকৃষ্ণ সামন্ত। ৪৯২ পেয়ে সপ্তম স্থানে তিনজন। এঁরা হলেন যথাক্রমে- পিংকি খাতুন, শান্তনু পাল এবং প্রতীক মন্ডল। এছাড়াও, এই বিদ্যালয়ের ৫ জন আছেন অষ্টম স্থানে, ২ জন নবম স্থানে এবং ৬ জন আছেন দশম স্থানে।
এদিকে, নজরকাড়া ফল করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং সরদাময়ী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়-ও। মোট ৭ জন আছেন মেধাতালিকায়। ষষ্ঠ স্থানে (৪৯৩) আছেন সম্প্রীতি প্রধান ও রিনি রাউল। অষ্টম স্থানে (৪৯১) আছেন ৩ জন, যথাক্রমে- অঙ্কিতা মুখার্জী, অন্বেষা ভট্টাচার্য ও রাজশ্রী পাত্র। নবম স্থানে (৪৯০) আছেন, মনিকা বাঁকুড়া এবং দশম স্থানে (৪৮৯) আছেন, দেবমিতা পড়িয়া। এছাড়াও, গোয়ালতোড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সোমা গড়াই-ও ৪৯৩ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছেন।
আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম দশে জলচক নাটেশ্বরী নেতাজী বিদ্যানিকেতনের ২২ জন
আরও পড়ুনঃ গ্রামে হাতির হামলায় এক ব্যক্তির মৃত্যু, এলাকা জুড়ে উত্তেজনা
সবংয়ের, সম্প্রীতি, রিনি এবং গোয়ালতোড়ের সোমা-ই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থানে আছেন। অপরদিকে, ৪৯২ নম্বর পেয়েছেন খড়ার শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দিরের কলা বিভাগের ছাত্রী আরাত্রিকা মুখার্জি-ও। মেধাতালিকায় সপ্তম স্থানে আছেন আরাত্রিকা। অন্যদিকে, মেদিনীপুর শহরের স্মিতা ভূঁইয়া আছেন নবম স্থানে। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। স্মিতা বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এছাড়াও, মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের রৌনক মন্ডল মেধাতালিকায় সপ্তম স্থানে (৪৯২) এবং মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের স্বপ্ননীল রায় মেধাতালিকায় নবম স্থানে (৪৯০) আছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও, খড়্গপুর গ্রামীণের চাঙুয়াল কান্দারপুর প্রণবেশ বিদ্যায়তনের শুভ ভট্টাচার্য মেধাতালিকায় দশম স্থানে (৪৮৯) আছেন।
এদিকে, মেধাতালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রথম তথা রাজ্যের দ্বিতীয় সায়নদীপ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "এটা ঠিক যে এবার হোম সেন্টারে পরীক্ষা হয়েছিল। তাতে, আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল ঠিকই। তবে, কঠিন পরিশ্রম করেছি আমরা। ১০-১১ ঘন্টা নিয়মিত পড়াশোনা করেছি। এতটা ভালো ফলাফল আশা না করলেও, ৪৭৫-৪৮০ পাব ভেবেছিলাম। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই।" উল্লেখ্য যে, সায়নদীপ জলচক নাটেশ্বর নেতাজি বিদ্যায়তনের ছাত্র। এই বিদ্যালয়ের অভূতপূর্ব ফলাফলে উচ্ছ্বসিত 'শিক্ষারত্ন' সম্মানে ভূষিত প্রধান শিক্ষক তরুণ কুমার চক্রবর্তী। তিনি এই সাফল্য বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসর্গ করেছেন।
Partha Mukherjeeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।