West Midnapore News: পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন মোগলমারি বৌদ্ধ বিহার, কলকাতার খুব কাছে রয়েছে ইতিহাসের নিদর্শন

Last Updated:

২০০৩-০৪ সাল নাগাদ খনন কার্য শুরু হয় দাঁতনের মোগলমারিতে। খননে পাওয়া যায় নকশাযুক্ত ইট, বৌদ্ধ ভিক্ষু বা সন্ন্যাসীদের বাসস্থানের কুঠুরি। পাওয়া যায় ত্রিরথ কাঠামো যুক্ত নকশা, যা দেখে গবেষকদের প্রাথমিক অনুমান স্থানটিতে মন্দির বা গর্ভগৃহ ছিল।

+
পূজোর

পূজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন মোগলমারী বৌদ্ধ বিহার

দাঁতন: পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা ওড়িশার সীমান্তবর্তী দাঁতন ইতিহাস-প্রসিদ্ধ একটি স্থান। দাঁতনের পরতে পরতে রয়েছে নানা ইতিহাস। যাঁরা ইতিহাস ভালবাসেন, ঘুরে দেখতে পারেন দাঁতনের মোগলমারি বৌদ্ধ বিহার। খড়গপুর থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার রয়েছে ঐতিহাসিক মোগলমারি। মোগলমারি বর্তমানে অখ্যাত গ্রাম নয়। রয়েছে ঐতিহাসিক নিদর্শন।
ইতিহাস নিয়ে মতের অমিল রয়েছে। কিছু মানুষ মনে করেন, এই গ্রামের নাম ছিল অমরাবতী। সেই অঞ্চলের রাজা বিক্রমাদিত্যের কন্যা সখীসেনার অধ্যয়নের জায়গা ছিল এটি। সেখান থেকে এই নাম এসেছে বলে মনে করা হয়। মোগলমারির এই প্রত্নক্ষেত্র একটি পাঠশালা বলে মনে করা হয়।
advertisement
অন্যদিকে চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং তাঁর গ্রন্থ সিইউকি-তে বঙ্গদেশের চার রাজ্যের বিশেষ বর্ণনা করেছিলেন- পুন্ড্রবর্ধন, সমতটী, কর্ণসুবর্ণ এবং তাম্রলিপ্ত। এই তাম্রলিপ্ত রাজ্যে ১০টি বৌদ্ধবিহার ও এক হাজার বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছিলেন। এযাবৎ কাল পর্যন্ত তাম্রলিপ্ত সন্নিহিত অঞ্চলে কোনও বৌদ্ধবিহারই আবিষ্কৃত হয়নি, মোগলমারি ব্যতিত।
advertisement
পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন স্থলের মধ্যে মোগলমারি অন্যতম। যা আজ সখীসেনার পাঠশালার সকল জনশ্রুতির দ্বিধা দ্বন্দ্বকে দূরে সরিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অবস্থিত অন্যান্য বৃহৎ ও প্রাচীন বৌদ্ধ স্থাপত্যগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
১৯৯৯ সালে সুবর্ণরেখার গতিপথ ধরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের অধ্যাপক অশোক দত্ত দাঁতনের মোগলমারিতে এসে সখিসেনা ঢিবি নামে এক ঢিবির সন্ধান দেন।
advertisement
২০০৩-০৪ সাল নাগাদ খনন কার্য শুরু হয় দাঁতনের মোগলমারিতে। খননে পাওয়া যায় নকশাযুক্ত ইট, বৌদ্ধ ভিক্ষু বা সন্ন্যাসীদের বাসস্থানের কুঠুরি। পাওয়া যায় ত্রিরথ কাঠামো যুক্ত নকশা, যা দেখে গবেষকদের প্রাথমিক অনুমান স্থানটিতে মন্দির বা গর্ভগৃহ ছিল। গ্রামের অভ্যন্তরে খনন চালিয়ে বেশ কয়েকটি বৌদ্ধস্তূপ ও এক বিশেষ ধরনের মৃৎপাত্র-সহ নানা প্রত্ন সামগ্রী পাওয়া যায়।
advertisement
এরপর ২০০৬, ২০০৭ সাল নাগাদ খননে ঢিবির পূর্ব ও পশ্চিম দিকে পাওয়া যায় নকশাযুক্ত ইট দ্বারা সুসজ্জিত দেওয়াল, স্টাকো পলেস্তারা যুক্ত দেওয়াল, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের থাকার কুঠুরি। উদ্ধার হয় খণ্ড বিখণ্ড বুদ্ধের মূর্তিও।
advertisement
এরপর থেকে একের পর এক খননে নানান ইতিহাসের দলিল উদ্ধার হয়। ইতিহাস গবেষকরা জানিয়েছেন এটি ছিল একটি মহাবিহার। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে মোগলমারিতে বৌদ্ধ বিহারের সংরক্ষণ ও সাজিয়ে তোলার কাজ হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবে পর্যটনের নতুন দিশা হবে দাঁতনের এই মোগলমারি বৌদ্ধবিহার। তাই দুর্গাপূজার কয়েক দিনের ছুটিতে একদিনের জন্যও ঘুরে দেখতে পারেন দাঁতনের এই বৌদ্ধ বিহার।
advertisement
Ranjan Chanda
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
West Midnapore News: পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন মোগলমারি বৌদ্ধ বিহার, কলকাতার খুব কাছে রয়েছে ইতিহাসের নিদর্শন
Next Article
advertisement
জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইনিই, চিন-বিরোধী, হেভি মেটাল ড্রামার! ইতিহাস গড়লেন ‘জাপানের থ্যাচার’
জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইনিই, চিন-বিরোধী, ইতিহাস গড়লেন ‘জাপানের থ্যাচার’
  • সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন, ইতিহাস গড়লেন.

  • তাকাইচি থ্যাচারের অনুপ্রেরণায় এলডিপি সভাপতি ও সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন.

  • তাকাইচি একজন হেভি মেটাল ড্রামার, কলেজ জীবনে ব্যান্ডে ড্রাম বাজাতেন, প্রিয় ব্যান্ড Iron Maiden.

VIEW MORE
advertisement
advertisement