মেদিনীপুর: জাতীয় মার্শাল আর্টে গাড়ি চালকের মেয়ে পেল গোল্ড ও সিলভার! বড় হয়ে পুলিশ হয়ে সংসারের হাল ধরার ইচ্ছে ছোট্ট রীতির।মেদিনীপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড হাসপুকুর এলাকায় ছোট রীতির পরিবার থাকে। বাবা সুনীল রায় গাড়ি চালিয়ে কষ্টে সংসার চালান। এক চিলতে এসবেস্টরের ঘরে রীতির ভাই আর বাবা-মাকে নিয়ে সংসার। রীতির ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল মার্শাল আর্টের কুংফু শেখার। স্থানীয় প্রশিক্ষক তাপস দাসের হাত ধরে সে কুংফুতে রীতিমতো প্রশিক্ষণ শুরু করে।
সম্প্রতি ২১-২২ ও ২৩ জানুয়ারি অসমের গোহাটিতে পঞ্চম জাতীয় মার্শাল আর্ট গেম ২০২৩ প্রতিযোগিতায় ১৮ রাজ্যের ৪৫০ প্রতিযোগীর মধ্যে সাড়ে ১২ বছরের রীতি রায় কুংফুর তাইলুতে (Tai-lu) দ্বিতীয় হয়ে সিলভার মেডেল পেয়েছে। একইসঙ্গে ফাইটে সানডাতে (sanda) প্রথম হয়ে গোল্ড পেয়ে নজর কেড়েছে মেদিনীপুরের রীতি। অভাবের সংসারেও পড়াশোনার সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়ে চর্চা চালিয়ে গেছে। কঠোর পরিশ্রমের পারিশ্রমিক পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি এই সপ্তম শ্রেণির কিশোরী।
আরও পড়ুনঃ দেবী দুর্গার আরেক রূপ রাজরাজেশ্বরী, জানুন পুজো পদ্ধতি
মেয়ের এই সাফল্যে খুশি রিতির বাবা সুনীল রায় ও মা সুনামি রায়। ছোট ঘরে ছড়িয়েছে আলোর রোশনাই। পুরস্কার নিয়ে বাড়ি ফিরতেই এলাকার কাউন্সিলর তাকে সংবর্ধিত করেছেন। পাশে থাকার আশ্বাস জানিয়েছেন। বড় হয়ে পুলিশ হবে রিতি। এই স্বপ্ন আজ থেকে মনে বুনে চলেছে ছোট্ট রিতি।
সাক্ষাৎকারে রীতি জানায়, ছোট থেকে তালিম পেয়েছি। প্রশিক্ষক আমাদের শেখান। আমরা ৬ জন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। সকলেই আমরা গোল্ড ও সিলভার নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। রীতির সোনা পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি প্রশিক্ষক তাপস দাস। তিনি বলেন, আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া জঙ্গলমহলের বহু সম্ভাবনাময় প্রতিভা আছে। যারা বিভিন্ন সময়ে আর্থিক অসচ্ছলতার অভাবেই ছিটকে যায় প্রতিযোগিতা থেকে। এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় আমাদের ৬ জন প্রতিযোগী ৭ টি গোল্ড, ২ টি সিলভার ও ২ টি ব্রোঞ্জ জিতে এসেছে। জেলার মান উজ্জ্বল করেছে। রীতির ট্যালেন্ট আমাদের গর্বিত করেছে।
Ranjan Chanda
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: West Medinipur