West Medinipur News: ওড়িয়া ও বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাচ্ছেন ব্যবসায়ী

Last Updated:

পেশায় ব্যবসায়ী হলেও একাদশ শ্রেণি পাশ সুবল দে ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন ইতিহাস সংগ্রাহক। তাঁর সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিও প্রবল টান। আর তাই ওড়িশার সঙ্গে বাংলা সংস্কৃতির মেলবন্ধনের ইতিহাস খোঁজার কাজে ব্যস্ত তিনি

+
title=

পশ্চিম মেদিনীপুর: পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই পাঠ্য বইয়ের বাইরের বই পড়ার দিকে ঝোঁক। সংসারে তীব্র আর্থিক অভাব ছিল। তাই গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে পড়তেন। নয় বছর বয়সে নয় কিলোমিটার দূরের স্কুলে পড়তে যেতেন। লেখাপড়ায় প্রবল উৎসাহ থাকলেও পারিবারিক পরিস্থিতির জেরে একাদশ শ্রেণির পর আর এগোতে পারেননি। দাঁতনের কড়িয়ার সেই সুবল দে এখন উৎকল-বঙ্গ সংস্কৃতির মেলবন্ধনের নেশায় বুঁদ।
সুবল দে বর্তমানে পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি থাকেন ওড়িশা ঘেঁষা সোলপাট্টাতে। তবে ব্যবসায়ী পরিচয় ছাপিয়ে এখন সকলের কাছে বড় হয়ে উঠেছে তাঁর সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ ও অতীত সংযোগের অনুসন্ধান স্পৃহা। ছোট বয়সে অন্যের বাড়িতে কাজ করেছেন। যুক্ত ছিলেন যাত্রাদলের সঙ্গে। দশ-বারো বছর যাত্রা করেছেন। তাঁর ওড়িয়া সাহিত্য ভালো লাগে। কটকের ব্রাহ্মণদের থেকে তাঁর মধ্যে ওড়িয়া সাহিত্যের প্রতি ঝোঁক বাড়ে। আগ্রহ জন্মায় ‘ছান্দ’ ও ‘চম্পূ’ বিষয়ে। বড় হয়ে সেসবের খোঁজ শুরু করেন। পরবর্তীতে চারিদিকে ঘুরে বেড়িয়ে বহু দুষ্প্রাপ্য বই সংগ্রহ করেছেন। আছে ওড়িয়া সাহিত্যিক গঙ্গাধর মেহের রচনাবলী, রাধানাথ মেহের রচনাবলী, উপেন্দ্র ভঞ্জের রচনাবলী, কবি সূর্যর রচনাবলী, যদুমনি গ্রন্থাবলী, দীনকৃষ্ণ রচনাবলী, রাধানাথ রায় রচনাবলী। আছে ধর্মীয় গ্রন্থ ভীম ভৈ রচনাবলী প্রভৃতি। এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া হাতে লেখা লোককথা ও বহু পুঁথিও আছে।
advertisement
advertisement
বহু পুরনো লোককথা সীতাচুরি, প্রভাত অবকাশ, দিবাবর্ধিনী চৌপদী, ললিতা বিদ্যাপতি, তুলাভিনা, কপটপশা, নিবারণ চৌতিশা প্রভৃতি আরও অনেক গ্রন্থ ও পুঁথি। আছে যাত্রা বিষয়ক পত্র পত্রিকা। ওড়িয়া ছান্দ, চম্পূ সংগ্রহ করেছেন। নিজে ওড়িয়া সুরে গাইতেও পারেন। তাঁর সংগ্রহে আছে বঙ্গের বহু পুরনো লেখকদের গ্রন্থ। পুরনো দিনের সিনেমার ক্যাসেট, সিডি। এই ব্যবসায়ীর বাড়ি যেন একটি আস্ত সংগ্রহশালা। ‘তৎকালীন সমাজ ও আমার জীবন’ নামে একটি বই লিখেছেন, শীঘ্রই সেটা প্রকাশ পাবে।
advertisement
সুবল দে আসলে বড় হয়ে ওড়িয়া ও বাঙালি সংস্কৃতির মেলবন্ধন, তাদের একে অপরের সঙ্গে সাজুজ্য, উভয়ের লোকসংস্কৃতির নমুনা এইসবের সন্ধান করে গিয়েছেন। তাঁর কাজের মধ্যে ওড়িয়া ও বাংলার মেলবন্ধনের সুর পাওয়া যায়।
রঞ্জন চন্দ
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
West Medinipur News: ওড়িয়া ও বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাচ্ছেন ব্যবসায়ী
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement