Paschim Bardhaman: চোখের অন্ধকার হার মানছে শিক্ষক সঞ্জয় গোস্বামীর কাছে

Last Updated:

জন্ম থেকেই তিনি বুঝতে পারেননি আলো এবং অন্ধকারের পার্থক্য। চোখের পাতার নীচের সেই অন্ধকারকে সঙ্গী করেই বড় হয়েছেন তিনি। তবে চোখের অন্ধকার হার মেনেছে শিক্ষার আলোর কাছে।

+
title=

#পশ্চিম বর্ধমান : জন্ম থেকেই তিনি বুঝতে পারেননি আলো এবং অন্ধকারের পার্থক্য। চোখের পাতার নীচের সেই অন্ধকারকে সঙ্গী করেই বড় হয়েছেন তিনি। তবে চোখের অন্ধকার হার মেনেছে শিক্ষার আলোর কাছে। আজ তিনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার এক সফল কারিগর। তিনি একজন শিক্ষক। অন্ধত্বের সঙ্গে জন্ম লগ্ন থেকে লড়াই করে তিনি শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে। জীবনের প্রথম অধ্যায়ে, অর্থাৎ পড়াশোনার সময় সহপাঠী এবং পরবর্তীকালে শিক্ষকতা শুরুর আগে বেশ কিছু প্রতিকূলতার সঙ্গে সম্মুখীন হতে হয়েছে পানাগড় রেল কলোনী বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক সঞ্জয় গোস্বামীকে। তবে বর্তমানে তিনি বিদ্যালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক। বিদ্যালয়ের সহকর্মী এবং পড়ুয়াদের কাছে একজন প্রিয় পাত্র তিনি।
ইংরেজি পড়ানোর পাশাপাশি সঞ্জয়বাবু কম্পিউটারেও যথেষ্ট পারদর্শী। কম্পিউটারে নোটস তৈরি করে তিনি পড়ুয়াদের বিলি করেন পড়াশোনা সুবিধার জন্য। আর এমন একজন শিক্ষককে কাছে পেয়ে, শিক্ষক দিবসে তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবক সকলেই। সঞ্জয় গোস্বামী পানাগড়ের বাসিন্দা। পড়াশোনা করেছেন কলকাতা ব্লাইন্ড স্কুলে। সেখান থেকেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে তিনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জমা জল চারিদিকে! ডেঙ্গুর আতঙ্কে ভুগছে কুমারডিহি এলাকা
পরবর্তীকালে স্নাতক, মাস্টার ডিগ্রী পাস করার পর এসএসসি দিয়ে তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০০৫ সালে পানাগড় রেল কলোনী বিদ্যালয়ের থেকে তা শুরু হয়। এখনও সেখানেই তিনি শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন সাফল্যের সঙ্গে। প্রথম দিকে পড়ুয়াদের পড়াতে কিছুটা অসুবিধা হলেও, এখন সে আর হয় না। যদিও ব্ল্যাকবোর্ডে লেখানোর সময় পড়ুয়াদের সাহায্য নিতে হয় তাকে। তাছাড়াও তিনি কম্পিউটারে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। নিজেই কম্পিউটারে নোটস তৈরি করেন পড়ুয়াদের জন্য।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ জয়ের আনন্দে সবুজ আবির মেখে বিজয়োল্লাসে সামিল বিধান
অন্যদিকে পড়ুয়াদের আবৃত্তি সহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি শিক্ষা দেন। পরিবারের কোনও সদস্য অথবা পড়ুয়াদের হাত ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করেন সঞ্জয় গোস্বামী। আর শিক্ষক দিবসে তাকে সম্মান জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা, পড়ুয়ারা। জীবনের প্রথম অধ্যায়ে পাওয়া নানান অপমান আজ সঞ্জয়বাবু ভুলে গিয়েছেন, শিক্ষকতা করতে গিয়ে পাওয়া সম্মানে।
advertisement
Nayan Ghosh
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
Paschim Bardhaman: চোখের অন্ধকার হার মানছে শিক্ষক সঞ্জয় গোস্বামীর কাছে
Next Article
advertisement
Maharashtra Doctor Death Update: কী চলত সরকারি হাসপাতালে, কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? বিরাট কেলেঙ্কারি ফাঁস
কী চলত সরকারি হাসপাতালে,কেন নিজেকে শেষ করলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? কেলেঙ্কারি ফাঁস
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার পরিবার৷ মৃতার এক সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হত৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement