West Bardhaman News- সন্ধ্যে ছটা'র পরে বন্ধ হয়ে যাবে শহরের দোকান বাজার। আরও সচেতন হল প্রশাসন।
- Published by:Samarpita Banerjee
Last Updated:
আগামীকাল রবিবার থেকেই এই নির্দেশিকা লাগু হয়ে যাবে শহর জুড়ে। প্রতিদিন সন্ধ্যে ছটার পরে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
#পশ্চিম বর্ধমান- প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তদের শারীরিক সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গুরুতর না হলেও, অনেক মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। বহু মানুষ দুটি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হচ্ছেন। সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকার বিধি-নিষেধ আরোপ করলেও, এখনও পর্যন্ত সংক্রমণে সেই অর্থে রাশ টানা যায়নি। তাছাড়া বহু মানুষ এখনো নির্বিকার হয়ে রাস্তায় ঘুরছেন। বাজার হাটে জমায়েত করছেন।
তবে সংক্রমণে লাগাম টানতে সর্বাগ্রে চেষ্টা করছে প্রশাসন। পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে (West Bardhaman News)। চিকিৎসাকর্মী থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এমত অবস্থায় সংক্রমণ বাগে আনতে বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে আরও কিছু কড়াকড়ি নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের পরে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জমায়েতে লাগাম টানতে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। এছাড়াও আসানসোল, দুর্গাপুর এলাকার যে সমস্ত জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেশি, সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সংক্রমণ এড়াতে জেলা প্রশাসন একাধিক নতুন পদক্ষেপ করেছে। যা এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে কিছুটা ব্যারিকেড দিতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের সংক্রমণ গত কয়েকদিনে বেশ ঊর্ধ্বমুখী। তাই হাটবাজার, মার্কেট কমপ্লেক্সগুলি নিয়ে প্রশাসন বিশেষ ভাবে সচেতন হয়েছে (West Bardhaman News)। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দুর্গাপুর পুরসভা এলাকা এবং সংলগ্ন এলাকার বাজারঘাটের দোকানগুলি, একদিন অন্তর অর্থাৎ অল্টারনেটিভ ভাবে খোলা হবে। আগামীকাল রবিবার থেকেই এই নির্দেশিকা লাগু হয়ে যাবে শহর জুড়ে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ছটার পরে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সবজি, মাছ, মিষ্টি ইত্যাদির দোকানও সন্ধ্যে ছটার পরে বন্ধ করে দিতে হবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে ওষুধের দোকানগুলি খোলা থাকবে।
advertisement
advertisement
তাছাড়াও প্রত্যেকটি ব্যবসায়ীকে নো মাস্ক নো সার্ভিস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোকান বাজারগুলিতে যাতে দূরত্ব বিধি মেনে চলা হয়, সেদিকেও ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী সমিতিগুলিকে নজর রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই একই নির্দেশ কাঁকসা ব্লক এবং অন্ডাল ব্লকের বাজারগুলির ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য হবে (West Bardhaman News)। আগামীকাল, রবিবার থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে। চলবে আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাছাড়াও শহরজুড়ে নাইট কার্ফু যাতে সঠিকভাবে পালন করা হয়, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে গত কয়েকদিনে (Durgapur Containment Zone)। তাই বেশ কিছু জায়গায় প্রশাসনের তরফ থেকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্গাপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অশোক এভিনিউ, শিবাজী রোড, রানা প্রতাপ রোড এলাকাকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের অম্বুজা নগরী, রিকলপার্ক ও সেন্ট্রাল পার্ক সহ ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সালানপুরিয়া আবাসন, শিল্পকানন আবাসন, ইমন কল্যাণ সরণি, রাকিয়া বেগম পথ, এই সমস্ত জায়গায় কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। শনিবার থেকেই এই সমস্ত জায়গাগুলিকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে এলাকাগুলি(West Bardhaman News)। এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে, কেউ বাইরে থেকে এখানে প্রবেশ করবেন না। এলাকার কোনও মানুষ বাইরে বেরোতে পারবে না আগামী ১০ দিনের জন্য। এই সমস্ত এলাকাগুলিতে মাইকিং করে প্রচার ও সচেতনতা অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন।
advertisement
অন্যদিকে আসানসোল পুরসভার বেশ কিছু এলাকাকেও মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে (Asansol Containment Zone) । নির্বাচনের সময় শহরজুড়ে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য প্রশাসন আরও কড়া পদক্ষেপ করছে। এক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে যেমন মাস্ক অভিযান চলছে, সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে, ঠিক তেমনভাবেই যে সমস্ত জায়গাগুলিতে সংক্রমনের সংখ্যা বেড়েছে, সেগুলিকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
advertisement
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সংক্রমণ প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে কোভিডের সঙ্গে মোকাবিলা করতে গিয়ে, জেলার মানুষজন অসুবিধার সম্মুখীন না হন, সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। শহরবাসী যাতে সুস্থ থাকেন, যাতে সংক্রমণ বেশি ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। জেলাকে সুস্থ রাখার লক্ষ্যে আপাতত কিছুটা কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে জেলা প্রশাসন।
advertisement
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সংক্রমণ নিম্নমুখী হলে বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে, আস্তে আস্তে বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে শিথিলতা দেওয়া হবে। তবে আপাতত মানুষজনকে ভয় না পেয়ে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত যে সমস্ত বিধি-নিষেধ রয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে, সেগুলি মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Nayan Ghosh
view commentsLocation :
First Published :
January 08, 2022 9:39 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
West Bardhaman News- সন্ধ্যে ছটা'র পরে বন্ধ হয়ে যাবে শহরের দোকান বাজার। আরও সচেতন হল প্রশাসন।