Uttar Dinajpur News: বৃষ্টি শুরু হতেই মুখে চওড়া হাসি, নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই দারকি শিল্পীদের
- Published by:kaustav bhowmick
- news18 bangla
- Reported by:PIYA GUPTA
Last Updated:
বর্ষাকাল এলেই ওঁদের মুখে হাসি ফোটে। এখন নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে মাছ ধরার দারকি বানাতে ব্যস্ত শিল্পীরা
উত্তর দিনাজপুর: বর্ষা নামতেই কালিয়াগঞ্জের সুরশা গ্রামের শিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। তাঁরা একের পর এক দারকি অর্থাৎ খোলসানি বানিয়েই চলেছেন। মাছ ধরার জন্য এই দারকির চাহিদা ব্যাপক। সেই চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে নাওয়া-খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না শিল্পীরা।
বর্ষায় নদী-নালা, খাল-বিলে মাছ কিলবিল করে। কম জলে এই সমস্ত মাছ ধরতে দারকি ব্যবহার করতে হয়। মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে এটির ব্যবহার চলে আসছে আবহমান কাল ধরে। গ্রাম বাংলায় সর্বত্র দারকি দিয়ে মাছ ধরার প্রচলন এখনও দেখা যায়। পুঁটি, শিং, কৈ , গোচি সহ নানান প্রজাতির মাছ ধরা হয় এই দারকি দিয়ে। তাই বর্ষা নামতেই দারকি বানাতে প্রচন্ড ব্যস্ত সুরশা গ্রামের বাসিন্দারা।
advertisement
advertisement
বাঁশের শলার তৈরি এই দারকির উভয় দিকে, উপরে-নীচে ৩টি করে ৬টি দ্বার বা পথ থাকে মাছ ঢোকার। দ্বারগুলো এমন ফাঁদ বিশিষ্ট যে মাছ একবার ঐ দ্বার দিয়ে ঢুকলে আর বের হয়ে আসতে পারে না। দারকির ভেতরকার ঘেরাটোপে মাছ আটকা পড়ে যায়। এক দারকি শিল্পী জানান, আগেকার দিনে বাঁশের শলা বেত দিয়ে বুনিয়ে দারকি বানানো হতো। এখন বেত তেমন পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও দাম বেশির কারণে বেতের বদলে নাইলনের সুতা ব্যবহার করা হয়। ঘরের সামনে উঠানে বসে দিনভর দারকি বাঁধে সুরশা গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা। এই গ্রামের দেবু বৈশ্য জানান, মাছ ধরার দারকি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দামে তাঁরা বাজারে বিক্রি করেন।বাঁশের শলার তৈরি বিশেষ ধরনের এই মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রি করেইসংসার চালান গ্রামের সকলে। সারা বছর বিশেষ একটা বিক্রি না হলেও বর্ষাকালে দারকির বাজার থাকে তুঙ্গে। ফলে বৃষ্টি শুরু হলেই মুখে হাসি ফোটে এই গ্রামের মানুষদের।
advertisement
পিয়া গুপ্তা
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
October 04, 2023 5:33 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/উত্তর দিনাজপুর/
Uttar Dinajpur News: বৃষ্টি শুরু হতেই মুখে চওড়া হাসি, নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই দারকি শিল্পীদের
