Uttar Dinajpur News: আশির দশকের তপ্ত দুপুরের ভরসার শীতলপাটি থেকে মুখ ঘুরিয়েছে বাঙালি
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
- Reported by:PIYA GUPTA
Last Updated:
আটের দশকেও গ্রীষ্মের দুপুরে দেখা যেত, আম বাঙালি মেঝের উপর শীতলপাটি পেতে হাতপাখা ঘুরিয়ে হাওয়া খেতে খেতে তপ্ত দুপুর পার করে দিতেন।
উত্তর দিনাজপুর: এসি ও এয়ারকুলারের দাপটে ব্যাপক কানঠাসা শীতলপাটি। গরম থেকে বাঁচতে এক সময় সাধারণ বাঙালির ভরসা ছিল সে। কিন্তু এখন এই তীব্র দাবদাহের মধ্যেও তার দিকে প্রায় কেউ ফিরে তাকায় না। ফলে শীতলপাটির কারিগর ও বিক্রেতারা ক্রেতার অভাবে এখন ধুঁকছেন।
আটের দশকেও গ্রীষ্মের দুপুরে দেখা যেত, আম বাঙালি মেঝের উপর শীতলপাটি পেতে হাতপাখা ঘুরিয়ে হাওয়া খেতে খেতে তপ্ত দুপুর পার করে দিতেন। শহর-গ্রাম সর্বত্র এই ছবি ছিল। তখন লোডশেডিংও হত বেশি। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলেও শীতলপাটির কল্যাণে কষ্ট অনেকটাই কমে যেত। শুধু বাংলা নয়, গ্রীষ্ম প্রধান যে কোনও অঞ্চলের পরিচিত ছবি এটা। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শেষ কয়েক দশকে ছবিটা আমূল বদলে গিয়েছে।
advertisement
advertisement
শীতলপাটি বা মাদুরের জায়গায় প্রথমে বাজারে এল রঙিন শতরঞ্চি, চাদর। তার উপর শুলে আরাম বিশেষ একটা না হলেও ফ্যাশনটা ভালো হয়। এই চটকই প্রথমে মানুষের মনকে শীতলপাটি থেকে কিছুটা সরিয়ে নেয়। এক সময় শীতলপাটির দাম ছিল বেশ চড়া, কারণ সেই সময় তার চাহিদা ছিল ব্যাপক। কিন্তু টেবিল ফ্যান, তারপর এসি ও এয়ারকুলারের হাত ধরে শীতলপাটির প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই ফুরিয়েছে। ফলে চাহিদাও বলতে গেলে একেবারেই নেই। আর তার ধাক্কায় দামও এসে গিয়েছে তলানিতে। বর্তমানে মাত্র ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে শীতলপাটি।
advertisement
কালিয়াগঞ্জের ধনকল হাটের শীতলপাটি ব্যবসায়ী পঙ্কজ দাস বলেন, একটা সময় এই শীতলপাটির রমরমা ব্যবসা ছিল। মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসত শীতলপাটি তৈরি হয়ে আসত। তখন এর দাম ছিল তখন আকাশছোঁয়া। কিন্তু এখন এর একদমই বিক্রি নেই। শহরাঞ্চলের কেউ কেনে না। প্রচন্ড গরম পড়লে গ্রামের দু-একজন ক্রেতা এসে একটা-দুটো শীতলপাটি কিনে নিয়ে যায়। চাহিদার অভাবে দাম একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে বিক্রেতারা জানান।
advertisement
পিয়া গুপ্তা
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 22, 2023 8:01 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/উত্তর দিনাজপুর/
Uttar Dinajpur News: আশির দশকের তপ্ত দুপুরের ভরসার শীতলপাটি থেকে মুখ ঘুরিয়েছে বাঙালি