North Dinajpur News: তেতো পাট চাষ করেই হতে পারেন লাভবান! জানুন কীভাবে
- Reported by:PIYA GUPTA
- hyperlocal
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
এই তেতো পাট ভীষণ উপকারী। তাই সঠিকভাবে এটি চাষ করতে পারলে ভালো ফলন ও মুনাফা হতে পারে।
হেমতাবাদ: ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রধান তন্তু জাতীয় ফসল হলো পাট। পাট কে সোনার আঁশও বলা হয় । যা চাষ করে খুব সহজেই যে কোন কৃষক লাভের মুখ দেখতে পারেন। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, চোপড়া, ইটাহার প্রায় সব ব্লকেই প্রচুর পরিমাণে পাটচাষ হয়।
আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় ১৭.৮২ লক্ষ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন হয় যা বিশ্বে মোট পাট উৎপাদনের নিরিখে ৫৫.৬৮ শতাংশ। তবে সঠিক পদ্ধতিতে কীভাবে এই অর্থকরী ও তন্তু ফসল উৎপাদন করতে হবে তা অনেকেই জানেন না।
আরও পড়ুন ঃ গাছে ঝুলছে ওটা কী? রক্তে ভাসছে এলাকা! ইসলামপুরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড
সাধারণত পশ্চিমবঙ্গে দুটি শ্রেণির পাটের চাষ হয়। মিঠা পাট বা বগীপাট অন্যদিকে তিতা পাট বা নালি পাট। এর মধ্যে তেতো পাট কেবল শাক খাওয়ার জন্যই চাষ করা হয় যাতে সেলুলোজের মাত্রা কম থাকে। এই তেতো পাতা সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
advertisement
advertisement
আর মিষ্টি বা মুনিয়া প্রজাতির পাট সাধারণত পাটের আঁশ এর জন্য চাষ করা হয় যাতে সেলুলোজের মাত্রা বেশি থাকায় হজমে অসুবিধা হয় আর স্বাদও তুলনামূলক ভাবে কম। উত্তর দিনাজপুর জেলায় রায়গঞ্জ ও হেমতাবাদের বেশ কিছু জায়গায় ইদানিং এই তেতো পাট চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
এই তেতো জাতের কিছু পাট চাষ করে ভালো লাভবান হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা। এই তিতা পাট এর জাত গুলি হলো সবুজ সােনা – J. R. C. 212 ( মার্চ ও এপ্রিল মাস বপন ও জুলাই মাসে সংগ্রহ), সােনালি – J. R. C. 321 (ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে বপন ও জুলাই মাসে সংগ্রহ) , শ্যামলি J. R. C. 7447।
advertisement
এই তেতো বা নালী পাট সাধারণত শাক পাতা খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই তেতো পাট গাছ উচ্চতায় ছোট হয় এর কান্ড পরিধি ছোট হয়। এই তেতো পাট শাকের ফলন কম হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এই তেতো পাট চাষ হয় না। তবে কিছু নিয়ম অবলম্বন করল এই পাট চাষ করলে ভালো লাভবান হওয়া যায়।
advertisement
কিভাবে তেতো পাট চাষ করে লাভবান হওয়া যাবে? এই ব্যাপারে কৃষক উদয় দেবশর্মা জানান তেতো পাট সাধারণত সব ধরনের মাটিতে হয়ে থাকে। মার্চ থেকে মে মাসে পাটের বীজ বপন করা হয়। বীজ বপণের আগে জমিতে গোবর, ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ছাই ছিটিয়ে নিলে ভালো ফলন হয়।
বীজ বপনের পর কোদাল দিয়ে পুরো মাটি সমান করে নেওয়া হয়। বীজ বপনের চার থেকে পাঁচ দিন পর চারা হয়ে যায়। তারপর থেকেই জমিতে আগাছা জমলে সেটা নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। এই পাট বীজ বপনের দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে পাট শাক জমি থেকে তুলে নেওয়া হয়।
advertisement
উদয় দেব শর্মা জানান এই তেতো পাট ভীষণ উপকারী। তাই সঠিকভাবে এটি চাষ করতে পারলে ভালো ফলন ও মুনাফা হতে পারে। জানা যায় এই তেতো পাট শাক বহু গুণে সমৃদ্ধ। এই তেতো পাট একদিকে যেমন হজমের সাহায্য করে তেমনি খাবারের রুচি ও বাড়ায়।
পিয়া গুপ্তা
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Jun 09, 2023 8:40 PM IST








