রেল স্টেশনই যেন এয়ারপোর্ট ! IRCTC-র এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ দেখলে চমকে যাবেন
Last Updated:
#নয়াদিল্লি: দেশে বিমান যাত্রীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি খুব একটা কমেনি রেলযাত্রীর সংখ্যাও ৷ রেলে দীর্ঘ যাত্রার কথা ভেবে হয়তো অনেকেরই এখন কান্না পায় ৷ লো কস্ট বিমানসংস্থাগুলিরই এখন তাই দেশের বাজারে রমরমা ৷ কিন্তু কম দামে গন্তব্যে পৌঁছনোর এখনও সেরা মাধ্যম সেই ট্রেনই ৷
রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দীর মতো দেশের প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতে সেরা পরিষেবা দিতে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক খাবার থেকে শুরু করে অনেক ব্যবস্থাই ঢেলে সাজিয়েছে ৷ তেমনি জনপ্রিয়তা বাড়ছে রেলের এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জগুলিরও ৷ নয়াদিল্লি (NDLS) রেল স্টেশনে ২০১২ সালেই উদ্বোধন হয়েছিল এই বিলাসবহুল এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জের ৷ এরপর আগরা, বিজয়ওয়াড়ার মতো দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনেই যাত্রীদের সুবিধায় এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ তৈরি করেছে Indian Railway Catering and Tourism Corporation (IRCTC) ৷ নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে আজমেরি গেটের এন্ট্রান্সের সামনেই এই এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ রয়েছে ৷ রেক্লাইনার সিট, ট্রেন সম্পর্কে ঘোষণা, টেলিভিশন, সংবাদপত্র, ওয়াইফাই থেকে শুরু করে বাফেট লাঞ্চ-ডিনার এবং স্ল্যাক্স সব ব্যবস্থাই এখানে রয়েছে যাত্রীদের জন্য ৷
advertisement
advertisement
ট্রেনের অপেক্ষায় ওয়েটিং রুম বা রিটায়ারিং রুমের ব্যবস্থা সবসময়েই ছিল ৷ কিন্তু এয়ারপোর্টের ধাঁচে এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ ট্রেন স্টেশনেও তৈরি হয়েছে মাত্র কয়েক বছরই আগেই ৷ যাত্রীরা এই লাউঞ্জ বুক করতে IRCTC-র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের পাশাপাশি স্পট বুকিংও করতে পারেন ৷ দু’ঘণ্টার জন্য মাত্র ১৯৫ টাকায় এই লাউঞ্জে এন্ট্রি বুকিং করা যাবে ৷ সঙ্গে পাওয়া যাবে চা বা কফিও ৷ এরপর আরও বেশি সময় থাকার জন্য ঘণ্টা প্রতি ৬৫ টাকা করে দিতে হবে ৷
advertisement
বিমানবন্দরের ফার্স্ট ক্লাস লাউঞ্জের মতো এখানে যাত্রীদের জন্য স্নান এবং খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে ৷ এর জন্য অবশ্যই অতিরিক্ত কিছু টাকা দিতে হবে ৷ স্নানের জন্য প্রয়োজন ১৯৫ টাকা ৷ বাথরুমে গরম-ঠাণ্ডা জলের পাশাপাশি আইআরসিটিসি-র তরফে আপনাকে একটা বিশেষ ‘অ্যামেনিটি কিট’ দেওয়া হবে ৷ যাতে থাকবে ব্র্যান্ডেড শ্যাম্পু, সাবান, ময়েশ্চারাইজার, তোয়ালে থেকে শুরু করে শাওয়ার ক্যাপ সবকিছুই ৷ প্রতিবন্ধী এবং বয়স্ক যাত্রীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে এই লাউঞ্জে ৷
advertisement
ওয়াই-ফাইয়ের পাশাপাশি একটি মিনি-সাইবার ক্যাফেরও ব্যবস্থা রয়েছে লাউঞ্জে ৷ প্রতি আধ ঘণ্টা নেট সার্ফিংয়ের জন্য লাগবে ৩০ টাকা ৷ থাকছে এন্টারটেনমেন্টের জন্য ৪২ ইঞ্চির ফ্ল্যাট স্ক্রিন টিভি এবং রেলের সময়সূচি এবং অবস্থান জানার জন্য স্ক্রিনও ৷ তাই ট্রেন ধরার আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে বসে বা দাঁড়িয়ে না থেকে এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জের আরাম কেদারায় শুয়ে বসেই বিশ্রাম নিতে পারবেন যাত্রীরা ৷ এর পাশাপাশি বাফেট লাঞ্চ বা ডিনারেও থাকছে এলাহি ব্যবস্থা ৷ সামান্য কিছু টাকার বিনিময় একেবারে পাঁচতারার ধাঁচের খাবার খেতে পারবেন লাউঞ্জ ব্যবহারকারী যাত্রীরা ৷ মেনুতে থাকছে ভেজ এবং নন ভেজ মিলিয়ে ফাইভ কোর্স মিলই ৷ স্যুপ, রুটি, দু’ধরণের ভেজ আইটেম, নন ভেজ মেন কোর্স, দই, স্যালাড এবং মিষ্টি ৷ স্ল্যাক্সে থাকছে কাটলেট, স্যান্ডউইচের পাশাপাশি আরও অনেক কিছু ৷ কখন কী খাবার পাওয়া যাবে এবং দামের তালিকা দেখে নিন নীচে ৷
advertisement
ব্রেকফাস্ট – সকাল ৫:৩০টা থেকে ১১টা, ভেজ- ১৬৮ টাকা, নন ভেজ- ২১০ টাকা
লাঞ্চ- দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ৩.৩০ মিনিট পর্যন্ত ৷ ভেজ- ২৬২ টাকা, নন ভেজ- ৩১৫ টাকা
ডিনার- সন্ধে ৭টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১১.৩০ টা পর্যন্ত ৷ ভেজ - ২৬২ টাকা, নন ভেজ- ৩১৫ টাকা
Location :
First Published :
August 06, 2018 12:32 PM IST