কেন OPPO-র Find X9 Series ভারতের প্রয়োজন থেকেই গড়ে ওঠা
- Published by:Ananya Chakraborty
- partner content
Last Updated:
ভারতের বাস্তব ব্যবহারের পরিবেশকে মাথায় রেখে তৈরি ইমেজিং থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজের ছন্দে স্বাভাবিকভাবে মিশে যাওয়া AI—OPPO-র ফ্ল্যাগশিপ দর্শন আজ আর global-first ধারণায় সীমাবদ্ধ নয়।
Find X9 Series সেই পরিবর্তনেরই প্রতিফলন, যেখানে পণ্য তৈরি হচ্ছে ভারতের ব্যবহারধারা, অভ্যাস এবং প্রত্যাশাকে কেন্দ্র করে। ভারতের স্মার্টফোন বাজার আজ বিশ্বের যেকোনো বড় বাজারের তুলনায় দ্রুত গতিতে বদলাচ্ছে। প্রিমিয়াম ক্রেতারা আর কেবল দামের স্তর পেরিয়ে উপরের দিকে এগোচ্ছেন না; তারা এমন ডিভাইস বেছে নিচ্ছেন, যা তাদের জীবনযাপন, কাজের ধরন, ভ্রমণ, স্ট্রিমিং, ডিজিটাল পেমেন্ট এবং কনটেন্ট তৈরির অভ্যাসের সঙ্গে বাস্তব অর্থেই মানানসই। প্রত্যাশাগুলো এখন স্পষ্ট—চাপের মধ্যেও স্থির থাকা পারফরম্যান্স, অপ্রয়োজনীয় জটিলতা তৈরি না করে সময় বাঁচানো AI, আর এমন ব্যাটারি যা দিনের মাঝপথে বা দীর্ঘ ব্যবহারের মধ্যেই হাল ছেড়ে দেয় না।
এই পরিবর্তনের ছাপ স্পষ্ট সংখ্যাতেও। IDC-এর তথ্য অনুযায়ী, Q3 2025-এ প্রিমিয়াম ও সুপার-প্রিমিয়াম ক্যাটাগরি year-on-year ভিত্তিতে 40%-এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। একই কোয়ার্টারে 13.9% মার্কেট শেয়ার নিয়ে OPPO উঠে এসেছে No. 2 অবস্থানে। এটি কেবল বাজার দখলের গল্প নয়; বরং একটি স্পষ্ট বার্তা—ভারতীয় ক্রেতারা এখন সেই ব্র্যান্ডকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন, যারা কাগজে-কলমে spec-sheet আপডেটের বাইরে গিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতায় প্রকৃত মূল্য দিতে পারে।
advertisement
আর ঠিক এই কারণেই OPPO তাদের কৌশল বাস্তবতার সঙ্গে বেঁধে রেখেছে—ভারতে মানুষ আসলে কীভাবে ফোন ব্যবহার করে, সেই অভ্যাসকে কেন্দ্র করেই পণ্য তৈরি করা। গড় হিসেব ধরে নয়। ল্যাব টেস্টের ওপর ভর করে নয়। বরং বাস্তব ব্যবহারের আচরণ থেকে।
advertisement
যেখানে ভারত কেবল বাজার নয়, দিকনির্দেশ
OPPO-র ভেতরে ভারতকে শুধু একটি বড় বাজার হিসেবে দেখা হয় না; এটিকে দেখা হয় একটি দিকনির্দেশক বাজার হিসেবে। এখানে ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনকে অন্য অনেক বৈশ্বিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি চাপের মধ্যে রাখেন, এবং অনেক বেশি ধরনের কাজে ব্যবহার করেন। একটি ফোনই সামলায় UPI পেমেন্ট, OTT স্ট্রিমিং, short-form ভিডিও দেখা ও বানানো, গেমিং, রাতের আড্ডা, ভ্রমণের ফটোগ্রাফি, কাজের কল, এবং AI-চালিত টাস্ক—একই দিনে, অনেক সময় একসঙ্গেই।
advertisement
আমাদের মধ্যে কে না ভ্রমণের মাঝেই একটি কাজের কল করেছেন, তারপর OPPO-র AI Recorder ও AI Writer ব্যবহার করে মিনিটস পাঠিয়ে দিয়েছেন? কে না অবাক হয়েছেন, শুধু point-and-click করেই Hasselblad ক্যামেরা যে ডিটেইল আর ব্যালান্স ধরে রাখে, তা দেখে? বা সারা রাত ধরে গেম খেলতে খেলতে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেছেন? কিংবা OPPO-র AI টুলসের সাহায্যে এমন ভিডিও ও ছবি বানিয়েছেন, যা দেখে মনে হয় যেন পেছনে পুরো একটা প্রফেশনাল টিম কাজ করছে?
advertisement
এই সব মুহূর্তের নিচে লুকিয়ে আছে একটাই সহজ সত্য—ভারতীয় ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনকে এমন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করেন, যেখানে দুর্বল ইমেজিং, অগভীর পারফরম্যান্স বা ভরসাহীন সফটওয়্যার খুব দ্রুত ধরা পড়ে। উৎসবের ভিড়, রঙিন পারিবারিক জমায়েত, ঠাসা কনসার্ট, তাড়াহুড়োর ভ্রমণ, কড়া রোদ, neon-ভরা ভেন্যু, ছোট ও গাদাগাদি করা ইনডোর স্পেস—এগুলো সবই ভারতের নিজস্ব ফটোগ্রাফি চ্যালেঞ্জ। একইভাবে, দীর্ঘ যাতায়াত, ভারী মাল্টিটাস্কিং আর টানা গেমিং সেশন ব্যাটারি ও থার্মাল সিস্টেমকে এমনভাবে পরীক্ষা নেয়, যা কোনো ল্যাব টেস্টই পুরোপুরি ধরতে পারে না।
advertisement
এগুলো কোনো edge case নয়। এগুলোই বাস্তব জীবন। আর ঠিক এই অভিজ্ঞতাগুলিই নির্ধারণ করে, একজন ভারতীয় ব্যবহারকারী একটি ফ্ল্যাগশিপ ফোনের কাছ থেকে আসলে কী প্রত্যাশা করেন।
OPPO-র product roadmap এই বাস্তবতাকেই প্রতিফলিত করে। entry-level মডেল থেকে শুরু করে ফ্ল্যাগশিপ পর্যন্ত, ভারতের জন্য কোম্পানির কৌশল দাঁড়িয়ে আছে তিনটি মূল নীতির ওপর—সব প্রাইস পয়েন্টে অর্থবহ innovation, এমন ডিজাইন যা সময়ের সঙ্গে মানিয়ে যায় ও পুরোনো লাগে না, এবং দীর্ঘস্থায়িত্ব যা বারবার আপগ্রেড করার প্রয়োজন কমিয়ে আনে। এই পুরো দর্শনটাকে এক সুতোয় বেঁধে রাখে ColorOS—একটি UI, যা বছরের পর বছর ব্যবহারের পরেও সাবলীল ও fluid অনুভূতি বজায় রাখার জন্য তৈরি।
advertisement
মানুষ আজ এমন ডিভাইসই চান, যা দীর্ঘদিন টিকে থাকে, দেখতে ভালো লাগে, আর সবকিছু একসঙ্গে চললেও ভরসা হারায় না। আর যদি সেই ডিভাইস নিজের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারে, তাহলে তার জন্য দাম দিতে তারা প্রস্তুত।
ভারতের ফ্ল্যাগশিপ বাজারে যে ফাঁকটা রয়ে গেছে
চাহিদা বাড়লেও, ভারতে সত্যিকারের ফ্ল্যাগশিপ অপশনের সংখ্যা এখনও সীমিত। অনেক ফোনই পারফরম্যান্সে শক্তিশালী, বা ক্যামেরায় ভালো, বা ডিজাইনে আকর্ষণীয়, বা দীর্ঘস্থায়িত্বে এগিয়ে—কিন্তু খুব কমই আছে, যারা কোনো আপস ছাড়াই এই সবকিছুকে একসঙ্গে আনতে পারে।
advertisement
এই জায়গাটাতেই OPPO নিজের লক্ষ্য স্পষ্ট করেছে। Find X8-এর পর থেকে কোম্পানি তাদের প্রিমিয়াম roadmap আরও শানিত করেছে—ইমেজিং লিডারশিপে বাড়তি বিনিয়োগ, ডিজাইন ভাষার আরও পরিমার্জন, এবং পুরো সিস্টেম জুড়ে AI নিয়ে কাজের গতি বাড়িয়ে। বর্তমানে OPPO-র global user base 740 million-এরও বেশি, যার মধ্যে শুধু ভারতেই রয়েছে 100 million-এর ওপর ব্যবহারকারী। এই স্কেলকে কাজে লাগিয়েই OPPO এমন ফ্ল্যাগশিপ তৈরি করছে, যা স্থানীয় রুচি ও বাস্তব ব্যবহারের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে মানিয়ে যায়। আর এই ভাবনাগুলোর সবচেয়ে পরিপূর্ণ প্রকাশ দেখা যায় Find X Series-এ।
The OPPO Find X9 Series: OPPO-র ফ্ল্যাগশিপ মানদণ্ড
Find X Series সবসময়ই OPPO-র সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী ভাবনাগুলোর পরীক্ষাগার। ভারতে এই দিকনির্দেশ আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে OPPO Find X8-এর সঙ্গে—যে ফোনটি তার কমপ্যাক্ট ডিজাইন, ইমেজিং কোয়ালিটি, ব্যাটারির স্থায়িত্ব এবং সামগ্রিক পারফরম্যান্সের জন্য ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। এই প্রতিক্রিয়াই নিশ্চিত করেছে সেই বিষয়টি, যা OPPO আগেই অনুভব করেছিল—ভারতে সত্যিকারের ফ্ল্যাগশিপ innovation-এর চাহিদা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গভীর এবং আত্মবিশ্বাসী।
এই ধারাবাহিকতাকেই এগিয়ে নিয়ে যায় OPPO Find X9 Series। ভারতের বাস্তব ব্যবহারধারাকে সরাসরি মাথায় রেখে তৈরি ফিচারের মাধ্যমে এটি Find প্ল্যাটফর্মকে আরও শক্তিশালী করেছে—ব্যবহারের পরিবেশ অনুযায়ী গড়ে ওঠা ইমেজিং, দীর্ঘ সময় ধরে স্থির থাকা পারফরম্যান্স, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং এমন AI টুলস যা কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও পেশাদারদের জন্য ফোনকেই দৈনন্দিন workflow ডিভাইসে পরিণত করে।
এই সিরিজ OPPO-র বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গিকেও প্রতিফলিত করে—যেখানে ভারত শুধু একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার নয়, বরং অনুপ্রেরণার কেন্দ্র। Find X9 Series সেই দর্শনকে বাস্তবে রূপ দেয় একটি সম্পূর্ণ ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে—Hasselblad-এর সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত ক্যামেরা সিস্টেম, প্রিমিয়াম ডিজাইনের আবরণ, এবং এমন AI যা ভারতের মানুষ যেভাবে মুহূর্ত ধরে, কাজ করে, সহযোগিতা করে এবং গল্প বলে—সেই পথেই পাশে থাকে। এটি ভারতের সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রাণিত innovation—আর OPPO এখানে থেমে থাকার জন্য নয়।
Camera: ভারতের আলো, রঙ ও গতিকে ঘিরে গড়া এক ফ্ল্যাগশিপ
OPPO Find X9 Series ইমেজিং-এর ক্ষেত্রে OPPO-র সবচেয়ে সুপরিকল্পিত অগ্রগতি—megapixel-এর পেছনে দৌড় নয়, বরং optics, AI এবং computation কীভাবে একসঙ্গে কাজ করে, তার সূক্ষ্ম পরিমার্জন।
এর কেন্দ্রে রয়েছে Hasselblad Master Camera System, যা চালিত হচ্ছে OPPO-র LUMO Image Engine দ্বারা, এবং Pro মডেলে যুক্ত হয়েছে একটি 200MP Hasselblad Telephoto। LUMO-ই পুরো সিস্টেম জুড়ে true 50MP output সম্ভব করে তোলে, এবং Pro মডেলের 200MP sensor-কে ভারী pixel binning ছাড়াই প্রকৃত high-resolution ডিটেইল দিতে সক্ষম করে। এটি সম্পূর্ণ processing pipeline-কে নতুনভাবে গড়ে তোলে—যেখানে ISP, CPU, GPU এবং NPU একসঙ্গে parallel ভাবে কাজ করে। ফলে বড়, data-rich ছবি প্রসেস করার সময়ও পারফরম্যান্সে কোনো চাপ পড়ে না।

কিন্তু আসল গল্পটা resolution-এ আটকে নেই। গল্পটা হলো—ভারত যেভাবে আলো আর গতি ছুড়ে দেয়, সেই পরিস্থিতিতে পুরো সিস্টেমটা কীভাবে আচরণ করে। হোলির রঙিন উৎসবে ঝকঝকে দিনের আলো। কোনো মিউজিক ফেস্টিভ্যালে neon আলোয় ভেসে যাওয়া মুহূর্ত। দীপাবলির কার্ড পার্টিতে উষ্ণ ইনডোর লাইট। জয়পুরের ভিড় রাস্তায় ব্যাকলাইটে থাকা মুখগুলো। মিশ্র আলোয় হঠাৎ বদলে যাওয়া স্কিন টোন। এই সব জায়গাতেই বেশিরভাগ ক্যামেরা ভেঙে পড়ে। OPPO Find X9-এর ইমেজিং সিস্টেম ঠিক এই বাস্তব পরিস্থিতিগুলোর জন্যই তৈরি।
Advanced scene recognition আর dynamic exposure mapping মুহূর্তের মধ্যে পরিবেশ অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নেয়—ঝলমলে দিনের আলো থেকে শুরু করে স্ট্রোব-ভরা কনসার্টের বিশৃঙ্খল আলো পর্যন্ত। Active Optical Alignment সিস্টেম ফোন নড়াচড়া করলেও রঙ ও depth-এর স্বাভাবিকতা ধরে রাখে। আর সেটাই তো বাস্তব—লাজুক বন্ধুদের সঙ্গে candid ভিডিও তোলা, খেলার মাঠে দৌড়তে থাকা বাচ্চাকে ফলো করা, বা এক জায়গায় বসতেই না চাওয়া পোষা প্রাণীর পোর্ট্রেট ধরার সময়।
OPPO এমন AI ব্যবহার করেছে, যা ফলাফল উন্নত করে, কিন্তু নিজের উপস্থিতি জাহির করে না। AI Denoise আর AI Demosaic ডিটেইল ফিরিয়ে আনে সেই পরিচিত plasticky smoothing ছাড়াই। HyperTone হাইলাইট আর শ্যাডোর ভারসাম্য সামলায়। Lightning Snap দ্রুত চলাচলকে পরিষ্কারভাবে ধরে। আর AI Portrait Glow, AI Eraser, AI Unblur, Reflection Remover-এর মতো দৈনন্দিন টুলগুলো অসম আলো ঠিক করা, অপ্রয়োজনীয় distraction কমানো, বা motion blur ঠিক করা—সবই ডিভাইসের ভেতরেই সহজ করে দেয়।
ভারতের creator community-র জন্য এর মানে একটাই—edit, cleanup আর sharing সবই ফোনেই হয়, workflow ভাঙার দরকার পড়ে না।
Performance: যেভাবে ভারত ফোন ব্যবহার করে, সেই চাপ সামলানোর শক্তি
ভারতীয় ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসকে সত্যিই কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন। OPPO Find X9 Series সেই বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই তৈরি একটি performance architecture নিয়ে আসে—যা হঠাৎ পাওয়া পারফরম্যান্স স্পাইক নয়, বরং দীর্ঘ সময় ধরে স্থির লোড সামলাতে পারে।
এর কেন্দ্রে রয়েছে MediaTek Dimensity 9500 chipset, যা 3nm process-এ তৈরি। তবে শুধু হার্ডওয়্যারই সাবলীলতা নিশ্চিত করে না। আসল কাজটা হয় OPPO-র proprietary Trinity Engine-এ—যা MediaTek-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে, নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী তৈরি।

Trinity Engine মুহূর্তে মুহূর্তে CPU, GPU আর NPU কীভাবে একসঙ্গে কাজ করবে, তা নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফল সরাসরি বোঝা যায় ব্যবহারেই—গেমিংয়ের সময় frame rate স্থির থাকে, দীর্ঘ 4K রেকর্ডিংয়েও ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে ওঠে না, আর ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক প্রসেস চললেও অ্যাপগুলো ধীর হয়ে পড়ে না। আপনি একদিকে ভিডিও এডিট করছেন, অন্যদিকে ফাইল ডাউনলোড চলছে বা graphics-heavy গেম খোলা—AI-চালিত এই অপ্টিমাইজেশনগুলো পুরো সিস্টেমকে প্রতিক্রিয়াশীল রেখেই কাজ চালিয়ে যেতে সাহায্য করে।
ব্যাটারি লাইফ এখানে আরেকটা ভারতীয় বাস্তবতাকে সরাসরি ধরেছে—দীর্ঘ দিন, আরও দীর্ঘ যাতায়াত, আর এমন চার্জিং রুটিন যা সবসময় পরিকল্পনা মতো চলে না। OPPO Find X9-এ রয়েছে 7025 mAh ব্যাটারি, আর OPPO Find X9 Pro-এ সেটি বেড়ে দাঁড়ায় 7500 mAh-এ। 80W SUPERVOOC wired, 50W AIRVOOC wireless এবং 10W reverse charging-এর সঙ্গে, এই ফোনগুলো এমন দিনেও প্রস্তুত থাকে—যেদিন আমাদের বেশিরভাগেরই সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত চার্জ দেওয়ার কথা মনে পড়ে না।
silicon-carbon battery chemistry পাঁচ বছর পরেও 80%-এর বেশি capacity ধরে রাখে। ভারতের সেই value-conscious কিন্তু premium-ready ব্যবহারকারীর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ, যিনি প্রতি বছর ফ্ল্যাগশিপ বদলাতে চান না।
ColorOS 16: যে স্তরটা সবকিছুকে এক সুতোয় বেঁধে দেয়
হার্ডওয়্যার যদি শক্তির জায়গাটা ধরে, তাহলে ColorOS 16 নিয়ে আসে বুদ্ধিমত্তা। এখানে রয়েছে আরও গভীর AI ইন্টিগ্রেশন, আরও সাবলীল অ্যানিমেশন, আর এমন একটি UI যা ব্যক্তিগত, গুছানো এবং ব্যবহারবান্ধব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এটি তৈরি হয়েছে ভারতীয় ব্যবহারকারীরা যেভাবে তথ্য সংরক্ষণ করেন, খোঁজেন এবং শেয়ার করেন, ঠিক সেই অভ্যাসকে মাথায় রেখে।
AI MindSpace স্ক্রিনশট, নোট, লিংক, মিটিং ইনভাইট, পোস্টার, মেনু ফটো—এই সব ছড়িয়ে থাকা তথ্যকে এক জায়গায় এনে দেয়। তিন আঙুলে swipe করলেই আপনি যা দেখছেন, তা সেভ হয়ে যায়; OPPO Find X9-এর Snap Key একই কাজ করে এবং প্রয়োজনে একটি voice note-ও যোগ করতে পারে। কনসার্টের পোস্টার বা ট্রেনের টাইমটেবিলের দিকে ক্যামেরা তাক করলেই MindSpace তার তথ্য পড়ে নেয় এবং পরের করণীয় সাজেস্ট করে।
MindSpace-কে আরও শক্তিশালী করে তোলে OPPO-র personal knowledge integration, যা কাজ করে Google Gemini-এর সঙ্গে। Gemini আপনার সেভ করা তথ্য—সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে—ব্যবহার করে আপনার প্রসঙ্গ অনুযায়ী উত্তর দেয়। ধরুন, আপনি Pondicherry-তে এক সপ্তাহের road trip প্ল্যান করতে বললেন—Gemini তখন আপনার নোট, স্ক্রিনশট এবং real-time ডেটা মিলিয়ে এমন একটি itinerary তৈরি করে, যা আপনার জন্য মানানসই। জেনেরিক সাজেশন ঘেঁটে সময় নষ্ট করার দরকার পড়ে না।
প্রোডাক্টিভিটির দিক থেকে, AI Recorder মিটিং আর লেকচার real-time-এ ট্রান্সক্রাইব করে এবং সঙ্গে সঙ্গেই এমন সারাংশ তৈরি করে, যা সঙ্গে সঙ্গে কাজে লাগানো যায়। এগুলোই সেই দৈনন্দিন কাজ, যেগুলো সবচেয়ে বেশি সময় নেয়—আর ধীরে ধীরে মানসিক মনোযোগও খেয়ে ফেলে।
আর যেহেতু কাজ, পড়াশোনা আর অবসর সময় প্রায়ই সহযোগিতামূলক হয়, O+ Connect এই workflow-কে Mac ও Windows ল্যাপটপ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। screen mirroring, একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ, আর বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে নির্বিঘ্ন file transfer—সবকিছু এক ধারাবাহিক অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়।
গোপনীয়তাকে এখানে কোনো অতিরিক্ত ফিচার হিসেবে দেখা হয়নি; এটিকে ধরা হয়েছে সিস্টেমের মূল স্তর হিসেবে। Private Computing Cloud-এর মাধ্যমে ফোনের AI যা কিছু প্রসেস করে—MindSpace-এ আপনি যা সেভ করেন তার সবই—OPPO-র সুরক্ষিত পরিবেশের ভেতরেই সিল করা থাকে। এর মানে আপনার স্ক্রিনশট, ট্রান্সক্রিপ্ট, নোট বা রেকর্ডিং কোনো বাইরের সার্ভিসের কাছে দৃশ্যমান হয় না, বা আপনার অনুমতি ছাড়া কোথাও শেয়ার হয় না।
OPPO Lock এখানে আরেকটি ব্যবহারিক স্তর যোগ করে। ফোন হারিয়ে গেলে কাস্টমার সাপোর্ট থেকে remote lock চালু করা যায়। কেউ যদি SIM খুলে ফেলার চেষ্টা করে বা নেটওয়ার্ক কেটে দেয়, ডিভাইস নিজেই biometric আর password—দুটো যাচাইয়ের আড়ালে বন্ধ হয়ে যায়। এটি কল্পিত ঝুঁকির জন্য নয়; বরং মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যে ঝুঁকিগুলো সত্যিই আসে, সেগুলোকেই মাথায় রেখে তৈরি।
Design: স্টাইলের আড়ালে ব্যবহারিক ইঞ্জিনিয়ারিং
OPPO Find X9 Series এমন এক ডিজাইনের ভাষা ব্যবহার করে, যেখানে নান্দনিকতা আর ইঞ্জিনিয়ারিং একে অপরের সঙ্গে মিশে যায়। নতুন Floating Stack Architecture ফোনের ভেতরের গঠনকে উল্লম্বভাবে সাজায়—ক্যামেরা, color sensor, laser focus module এবং microphone—সবকিছু একই অংশে স্তরে স্তরে বসানো হয়েছে। এর ফলে ফোনকে মোটা না করেই বড় ব্যাটারির জন্য জায়গা তৈরি হয়—যেটা ব্যবহারকারীরা হাতে নিলেই টের পান।

ডিসপ্লেটি প্রায় borderless একটি flat panel—উচ্চ refresh rate আর PWM dimming-এর সঙ্গে—যা দীর্ঘ সময় দেখার জন্য আরামদায়ক। যাঁরা ফোনটিকেই কাজ বা বিনোদনের প্রধান ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য এটি একটি বাস্তব comfort upgrade।
ম্যাটেরিয়াল বাছাইয়েও রাখা হয়েছে দীর্ঘ ব্যবহারের কথা। fingerprint কম ধরার matte aluminium frame, Hasselblad থেকে অনুপ্রাণিত reflective camera module, আর এমন finishes যা আলো ধরলেও কখনোই চটকদার লাগে না। Titanium Grey, Space Black, Silk White এবং Titanium Charcoal—প্রতিটি রঙেরই নিজস্ব চরিত্র আছে।
Durability এখানে কেবল স্পেসিফিকেশন নয়, বাস্তব ব্যবহারের দাবি। Corning® Gorilla® Glass Victus® 2, IP66/IP68/IP69 রেটিং এবং SGS Five-Star Drop Resistance—সব মিলিয়ে OPPO Find X9 তৈরি হয়েছে অনিশ্চিত আবহাওয়া, ভিড়ের যাতায়াত আর হঠাৎ হাত ফসকে পড়ার মতো পরিস্থিতি সামলানোর জন্য। বড় ব্যাটারি থাকা সত্ত্বেও দুই মডেলই থেকে গেছে স্লিম—OPPO Find X9-এর পুরুত্ব 7.99 mm, আর OPPO Find X9 Pro-এর 8.25 mm।
ব্যবহারকারীদের কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এক প্রিমিয়াম দৃষ্টিভঙ্গি
শুরু থেকেই এই গল্পটা বদলে যাওয়া প্রত্যাশার কথা বলেছে—একটা বাজার, যেখানে মানুষ চায় তাদের ফোন আরও বেশি কাজ করুক, দ্রুত ভাবুক, দীর্ঘদিন টিকুক, আর দৈনন্দিন ভারতীয় জীবনের রঙিন বিশৃঙ্খলার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারুক। এই পরিবর্তনের উত্তরে OPPO যে পথ বেছে নিয়েছে, তা স্থির এবং সচেতন—spec দিয়ে শুরু নয়, ব্যবহারকারী দিয়ে শুরু করা innovation; আর এমন ডিজাইন সিদ্ধান্ত, যা ফোনের জায়গাটা দৈনন্দিন জীবনের কেন্দ্রে কতটা গভীরভাবে বসে আছে, সেটাকে সম্মান করে।
এটাই OPPO-র “Make Your Moment” দর্শনের সঙ্গে মিলে যায়। এটি শুধু একটি ব্র্যান্ড ট্যাগলাইন নয়; এটি একটি ডিজাইন নীতি। যা গুরুত্বপূর্ণ, তা ধরুন। দ্রুত কাজ করুন। আরও তৈরি করুন। আর মুহূর্তের সঙ্গে উপস্থিত থাকুন।
OPPO Find X9 Series এই দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে স্পষ্ট প্রকাশ। এটি দেখনদারির জন্য বাড়াবাড়ি করে না, বা কেবল গর্বের জন্য চরম সীমা ছোঁয়ার চেষ্টা করে না। এর ক্যামেরা সিস্টেম সামলায় সেই সব পরিস্থিতি, যেখানে সাধারণত ফোন হোঁচট খায়। এর performance architecture তৈরি হয়েছে এমন দিনের জন্য, যখন সবকিছু একসঙ্গে চলে। এর AI টুলগুলো ঠিক সেটাই করে, যা ভালো টুলের কাজ—ইচ্ছা আর ফলাফলের মধ্যের দূরত্ব কমিয়ে আনে। আর এর ডিজাইন বাস্তব সমস্যার সমাধান করে, সৌন্দর্য বজায় রেখেই।
এটি OPPO-র এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পরিপূর্ণ ফ্ল্যাগশিপ—সবকিছু হওয়ার চেষ্টা করার জন্য নয়, বরং যাঁরা তাদের ফোনকে সবচেয়ে বেশি চাপ দেন, সেই ব্যবহারকারীদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর ফোকাস করার জন্য। আর যদি আজ OPPO এখানে এসে থাকে, তাহলে বলা যায়—কোম্পানির India-first ফ্ল্যাগশিপ ভাবনার যাত্রা এখনো সবে শুরু।

OPPO Find X9 Pro পাওয়া যাচ্ছে OPPO e-store, Amazon, Flipkart এবং mainline retail আউটলেটগুলিতে। অন্যদিকে, OPPO Find X9 পাওয়া যাবে OPPO e-store, Flipkart এবং mainline retail-এর মাধ্যমে। যাঁরা সম্পূর্ণ Hasselblad অভিজ্ঞতা চান, তাঁদের জন্য Hasselblad Teleconverter Kit আলাদাভাবে বিক্রি করা হচ্ছে—এক্সক্লুসিভলি OPPO e-store-এ।
Partnered Post
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
December 15, 2025 1:58 PM IST









