#নয়াদিল্লি: অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্রের দিক থেকে রাশিয়া অনেক দিন ধরেই তিল তিল করে নিজের শক্তি সঞ্চয় করেছে। সন্দেহ নেই, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে (Russia Ukraine War) সেই সব ক্ষেপণাস্ত্র বিলক্ষণ কাজে লাগাবে তারা। তবে শুধুই ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ইউক্রেন তো বটেই, তার পাশাপাশি একই সঙ্গে পশ্চিমি দেশগুলোকে কোণঠাসা করতে রাশিয়া হাতিয়ার করে তুলেছে ইন্টারনেটকেও।
ইন্টারনেটের ব্যবহার
আট বছর আগে এই প্রসঙ্গে একবার নজর দেওয়া যেতে পারে। সেবার ক্রিমিয়ার বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসনকে সমর্থনের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য রাশিয়া নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছিল রাশি রাশি ভুয়ো পোস্ট। এবারের খেলা একটু হলেও অন্যরকম, কিছুটা নরমপন্থী বলা যেতে পারে। যে লক্ষ্যে সম্প্রতি এক আপাতযুদ্ধবিরোধী পোস্ট করা হয়েছে এবং তা দেখতে দেখতে ভাইরাল হতে সময় নেয়নি।
কী আছে রাশিয়ার নতুন পোস্টে?
সেখানে দেখা যাচ্ছে এক কুকুর এবং বিড়ালের ভিডিও ক্লিপ। কুকুর এখানে পশ্চিমি দেশের এবং বিড়াল রাশিয়ার প্রতীক হয়ে উঠেছে। বিড়ালটিকে দেখা যাচ্ছে আগ্রাসী মনোভাবে, তার সামনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কুকুরটি। বুঝে নিতে অসুবিধা নেই- পশ্চিমি দেশের চাপে যে নতিস্বীকার করা হবে না, সে বার্তা রাশিয়া দিয়ে রেখেছে. একই সঙ্গে, এই ভিডিও ক্লিপ দিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে সমর্থকদের।
আরও পড়ুন - বিশ্বের শক্তিশালী এই প্রসেসর-সহ সেরা স্মার্টফোনগুলি, দেখে নিন এক নজরে
কীভাবে বোঝা যাচ্ছে যে এই পোস্ট রাশিয়াই করেছে?
পোস্টটা করা হয়েছে Funrussianprezident নামের এক রাশিয়ান উগ্রপন্থী TikTok অ্যাকাউন্ট থেকে। শুধু এটিই নয়, এদের প্রায় সব পোস্টেই রয়েছে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্যের নজির। রয়েছে ৩ লক্ষ ১০ হাজার ফলোয়ারও। ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের বিশেষজ্ঞ নিনা জাঙ্কোউইচ তাই এটিকে দ্বিধাহীন ভাবে রাশিয়ারই কাজ বলে অভিযোগ তুলেছেন।
কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই
বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্য করে দেখেছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ার নানা অ্যাকাউন্ট থেকে রাশিয়ার ইউক্রেন-বিরোধী পোস্ট শুরু হয়েছে সামরিক অভিযান ঘোষণার ঢের আগে থেকেই। যেমন চলতি বছরের ভ্যালেন্টাইনস ডে-র সময়ে Twitter-এ ইউক্রেন-বিরোধী পোস্ট বৃদ্ধি পেয়েছে এক লাফে ১১,০০০ শতাংশ। বিষয়টিকে যে কোনও দিক থেকেই হালকা ভাবে নেওয়া যায় না, সে কথা বলছেন Cybra সিইও ড্যান ব্রামি।
আরও পড়ুন - ব্যাঙ্ক থেকে হঠাৎ গায়েব টাকা! কোন কোন কৌশলে হতে পারে প্রতারণা, সতর্ক থাকবেন কীভাবে ?
রাশিয়ার আসল উদ্দেশ্য
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান নিয়ে যে পশ্চিমি দেশগুলোয় অসন্তোষ তৈরি হবে, সে কথা রাশিয়া ভালভাবেই জানে। তাই আপাতত ইন্টারনেটকে হাতিয়ার করে পশ্চিমি দেশগুলোর জনমানসকে দ্বিখণ্ডিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এই প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। RT-র সেই প্রতিবেদনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden) তুলোধোনা করা হয়েছে নিজের দেশের সমস্যা ছেড়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের বৈরিতা নিয়ে সরব হওয়ার জন্য।
পাল্টা জবাব
তবে, এত সহজে হার মানতে রাজি নয় মানুষের শুভবুদ্ধি। Facebook যেমন সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে তারা তাদের প্ল্যাটফর্মে RT-র যাবতীয় প্রচার বন্ধ করে দেবে, খতিয়ে দেখবে কোন পোস্টের মধ্যে দিয়ে বিশ্বে যুদ্ধের আঁচ ছড়িয়ে দিতে চাইছে রাশিয়া।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Russia, TikTok, Ukraine, Ukraine crisis