Vivo's Money Laundering Case: চিনের সঙ্গে লিঙ্ক থাকার কারণে Vivo-র ১১৯ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত; জানুন বিশদে
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
Vivo's Money Laundering: গুগল লক্ষ্য করে দেখেছে যে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল ক্রোমে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে ইউজারদের রিস্কও রয়েছে।
#নয়াদিল্লি: ভারতের ফিনান্সিয়াল ক্রাইম এজেন্সি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে, তারা Vivo ইন্ডিয়ার ১১৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। Vivo ইন্ডিয়ার সেই ১১৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মজুত ছিল প্রায় ৫৮.৭৬ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪.৬৫ বিলিয়ন টাকা। এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে চিনের লিঙ্ক রয়েছে। মনে করা হচ্ছে এর মাধ্যমে চিনে কোম্পানি টাকা পাচার করত। ভারতের ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর জানিয়েছে যে এই সপ্তাহে Vivo-র প্রায় ৪৮টি লোকেশনে এবং ২৩টি জায়গায় রেড করা হয়। দেখা গিয়েছে যে Vivo ইন্ডিয়া তাদের সেল প্রসেসে ক্ষতি দেখিয়ে ট্যাক্স না দিয়েই ভারতের বাইরে পাচার করছে বিপুল পরিমাণে টাকা। Vivo-র তরফে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে যে তারা ভারতের আইন মেনেই ব্যবসা করছে এবং তারা এই ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
কিন্তু ভারতের ডিরেক্টরেটের তরফে জানানো হয়েছে Vivo-র কিছু কর্মী, যার মধ্যে চিনারাও রয়েছেন, তাঁরা সেই তদন্তে কোনও রকম সাহায্য করছেন না। কয়েকজন কর্মী রেডের সময় বিভিন্ন ধরনের নথি লোকানো শুরু করেন এবং ডিজিটাল ডিভাইসের তথ্য মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়াও জানা গিয়েছে যে, রেডের সময় প্রায় ২ কেজি গোল্ড বার এবং নগদ কিছু টাকা পাওয়া গিয়েছে যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভারতে অবস্থিত চিনের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে যে তারা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে স্বচ্ছ ব্যবসার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য। বুধবার তারা জানিয়েছে যে, ভারত বিভিন্ন ধরনের চিনা ফার্মের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। এর ফলে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাপ্রাপ্ত হবে এবং বাইরের কোনও কোম্পানিরও ভারতে আসার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
advertisement
advertisement
Vivo ইন্ডিয়ার তরফে অভিযোগ যে তারা ভারতে বিশাল পরিমাণে ক্ষতি দেখিয়ে ট্যাক্স না দিয়ে সেই টাকা চিনে পাচার করছে। তারা তাদের প্রায় মোট সেলের প্রায় ৫০ শতাংশ লুকিয়ে সেই টাকা চিনে পাচার করেছে। এর পরিমাণ প্রায় ১৫.৮২ বিলিয়ন অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১.২৫ ট্রিলিয়ন টাকা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে Vivo ইন্ডিয়ার উপরে এই তদন্তে শুরু হয়েছিল। এছাড়াও Xiaomi-র ক্ষেত্রেও তদন্ত শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। ইডি এপ্রিল মাসে এদের প্রায় ৭২৫ মিলিয়ন ডলার সিজ করেছে। ২০২০ সালে চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত নিয়ে বিবাদের পর থেকেই এই ধরনের তদন্তের সূত্রপাত। ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের চিনা অ্যাপ।
advertisement
ভারতে Vivo কোম্পানির ১৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে। অন্য দিকে, Xiaomi-র রয়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ শেয়ার এবং Samsung-এর রয়েছে ১৮ শতাংশ শেয়ার।
view commentsLocation :
First Published :
July 08, 2022 11:24 AM IST

