নয়াদিল্লি: একটি PAN বা পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি। এই কার্ডটি আর্থিক লেনদেন, ক্রয় বিক্রয়, ভিসার আবেদন সংক্রান্ত কাজে খুবই প্রয়োজন। সব থেকে বেশি প্রয়োজন আয়কর রিটার্ন ফাইল করার জন্য। এটি আসলে দশ-সংখ্যার একটি আলফানিউমেরিক নম্বর যা ভারতীয় আয়কর বিভাগ নাগরিকদের জন্য তৈরি করে।
কিন্তু অনেক সময়ই এই প্যান কার্ড হারিয়ে যায়। এমন হলে অনলাইন বা অফলাইনে একটি ‘ডুপ্লিকেট প্যান’-এর জন্য আবেদন করা যেতে পারে। অথবা সরাসরি তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ই-ফাইলিং পোর্টাল থেকে একটি ইলেকট্রনিক প্যান কার্ড বা ই-প্যান কার্ড ডাউনলোড করা যেতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে এই গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি হলে বা খোয়া গেলে অবশ্যই বিষয়টি থানায় অভিযোগ আকারে নথিবদ্ধ করতে হবে। এফআইআর-এর অনুলিপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে কেউ কোনও অসদুদ্দেশ্যে ওই কার্ড ব্যবহার করতে না পারে।
আরও পড়ুন: আপনার হাতের স্মার্টফোনে কতগুলো সেন্সর একসঙ্গে কাজ করে জানেন?
১. অফিসিয়াল ওয়েবসাইট TIN-NSDL-এ যেতে হবে।
২. অ্যাপ্লিকেশন টাইপ হিসেবে বেছে নিতে হবে ‘Change or correction in existing PAN data/Reprint of PAN Card (No Changes in existing PAN data)’।
৩. এবার নাম, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বরের মতো তথ্য দিয়ে নির্দিষ্ট স্থান পূরণ করে Submit করতে হবে।
৪. একটি টোকেন নম্বর তৈরি হবে এবং তা আবেদনকারীর রেজিস্টার্ড ই-মেলে পাঠানো হবে।
৫. 'Personal Details'-এ সব তথ্য দিতে হবে। এখানে forward application documents physically, submit digitally through e-KYC and e-sign ইত্যাদি অপশন বেছে নেওয়া যেতে পারে।
প্রথম ক্ষেত্রে আবেদনের অর্থ প্রদানের পরে, একটি ‘অ্যাকনলেজমেন্ট ফর্ম’ পাওয়া যাবে। তার প্রিন্ট আউট নিয়ে, ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার, ভোটার আইডি, জন্মের শংসাপত্র, পাসপোর্ট, ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেটের স্ব-প্রত্যয়িত নথির সঙ্গে রেজিস্টার্ড পোস্টে NSDL-এর PAN পরিষেবা বিভাগে পাঠিয়ে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে খামের উপরে অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর-সহ PAN পুনর্মুদ্রণের আবেদন বা PAN-এর তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদন উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুন - পুরুষের পর্দাফাঁস! Facebook-এর এই গ্রুপে ‘ডার্টি সিক্রেট চালাচালি’ করেন মেয়েরা
ই-কেওয়াইসি পরিষেবাটি পেতে, আধার বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি OTP পাঠানো হবে। চূড়ান্ত ফর্ম জমা দেওয়ার সময়, ফর্মটিতে ‘ই-সাইন’ করতে ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।
ই-সাইনের মাধ্যমে স্ক্যান করা ছবি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি, স্বাক্ষর এবং অন্য নথির স্ক্যান করা ছবি আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রেও OTP দিয়ে তা নিশ্চিত করা হবে।
৬. ই-প্যান কার্ড পেতে চাইলে নিজের বৈধ ই-মেল আইডি দিতে হবে।
৭. যোগাযোগের তথ্য এবং নথির বিবরণ-সহ ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
৮. নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করা হলে একটি নতুন পেজ-এ নিয়ে যাবে সাইটটি। সেখানে অ্যাকনলেজমেন্ট রিসিট পাওয়া যাবে।
এর ১৫-২০ দিনের মধ্যেই নতুন কার্ড হাতে পাওয়া যাবে।
১. Request for new PAN card or/and changes or Correction in PAN Data—ফর্ম ডাউনলোড করে নেওয়া যায়।
২. ফর্ম পূরণ করার সময় সমস্ত অক্ষর ক্যাপিটাল হওয়া দরকার।
৩. ২টি পাসপোর্ট-সাইজের ছবি লাগাতে হবে। সতর্ক ভাবে তার উপর দিয়ে ক্রস সাইন করতে হবে।
৪. নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানের চালান, পরিচয়ের প্রমাণ, ঠিকানার প্রমাণ এবং প্যানের প্রমাণ-সহ ফর্মটি ‘NSDL সুবিধা কেন্দ্র’-এ পাঠাতে হবে।
আবেদন পাওয়ার পর দুই সপ্তাহের মধ্যে ডুপ্লিকেট প্যান কার্ডটি পাঠানো হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।