Amazon India: ভারতের ডিজিটাল বৈষম্য দূর করাই আমাদের লক্ষ্য - সেটা এভাবে সম্ভব
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Amazon India শুরু করেছে তাদের ডেলিভারিং স্মাইল উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হল দেশে ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া ডিজিটাল বৈষম্য কমানো
কোভিড-১৯ রোগের কারণে, আমাদের দেশের কয়েক লক্ষ শিশুর জীবন থেকে এক বছরের স্কুলশিক্ষা বাদ চলে গিয়েছে, কারণ তাদের পরিবারের কাছে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট কেনার এবং মোবাইল ইন্টারনেটের খরচ বহন করার মতো সামর্থ্য ছিল না, এবং এই মহামারীর মধ্যে অনলাইন ক্লাস করার জন্য এগুলি অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে। এমনকী এখনও, শিশুদের জন্য ভ্যাক্সিনেশান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ রূপে শুরু হয়নি, তাই পড়াশোনার এই নতুন পদ্ধতিই নিউ নর্মালের অংশে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রক দ্বারা প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে- আসাম, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড- এই সাতটি রাজ্যের প্রায় ৪০% থেকে ৭০% স্কুলপড়ুয়ার কাছেই কোনও প্রকার ডিজিটাল ডিভাইসের অ্যাক্সেস নেই।
অন্যদিকে, বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত পেশাদাররা চোখের নিমেষে তাঁদের স্মার্টফোনগুলি আপগ্রেড করে নিয়েছেন যাতে কাজের জন্য ভিডিও মিটিং করতে এবং রাতে প্রিয় শো বিঞ্জ-ওয়াচ করতে কোনও অসুবিধা না হয়। এর ফলে অসংখ্য সেকেন্ড-হ্যান্ড মোবাইল ফোন সকলের নজর এড়িয়ে গিয়েছে, অথচ এই স্মার্টফোনগুলি আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বহু পরিবারের শিশুদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কাজে অনায়াসে সাহায্য করতে পারে।
advertisement
এই ডিজিটাল বৈষম্য, মহামারীর সময়ে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আমাদের সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। এই সময়ে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির কাছে শিক্ষা থেকে শুরু করে, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং ফাইন্যান্স অ্যাক্সেস করা অত্যন্ত কঠিন প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এত রকমের সমস্যার মুখে পড়ার কারণে শিশু শ্রম এবং বাল্য বিবাহের মতো সমস্যাগুলি চরম আকার ধারণ করতে পারে।
advertisement
advertisement
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে, Amazon India শুরু করেছে তাদের ডেলিভারিং স্মাইল উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হল দেশে ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া ডিজিটাল বৈষম্য কমানো। এই ডেলিভারিং স্মাইল উদ্যোগের মাধ্যমে, Amazon India এই আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের পড়ুয়া এবং কম-বয়সীদের হাতে সরাসরি এই ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য গ্রহণ করেছে। Amazon সরাসরি ২০,০০০ ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দেবে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানদের হাতে, এই কাজের জন্য তারা হাত মিলিয়েছে দেশের ১৫০-র বেশি ছোট-বড় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে, এবং এই উদ্যোগ গোটা দেশের ১,০০,০০০-এর বেশি পড়ুয়ার জীবন বদলে দেবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, Amazon–এর লক্ষ লক্ষ গ্রাহক Amazon Pay–এর মাধ্যমে ক্যাশ ডোনেশন কিংবা তাঁদের পুরোনো ফোন দান করতে পারেন, যেগুলি রিফার্বিশ করা হবে এবং তারপরে কম-বয়সী পড়ুয়াদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হবে।
advertisement
বিজয়ের কিছু গল্প:
ডেলিভারিং স্মাইল উদ্যোগের ফলে উপকৃত কিছু পড়ুয়ার মধ্যে রয়েছে, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ১৫-বছরের অনিতা পি, নবম শ্রেণীর পড়ুয়া এই ছাত্রী মহামারীর সময়ে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে একটি কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজ শুরু করেছিল। এই সময়ে তার পড়াশোনা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কারণ পরিবারের পক্ষে ট্যাবলেট কিংবা স্মার্টফোন কিনে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে Amazon–এর দান করা একটি ট্যাবলেট হাতে পাওয়ার পরে, সে আবার পড়াশোনা শুরু করেছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়ে সকলকে অবাক করে দিয়েছে।
advertisement

হরিয়ানার বাসিন্দা, ১২-বছরের হিমাংশু পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু মহামারীর সময়ে তার খবরের কাগজ বিক্রেতা বাবার কাজ চলে যায়। এরই সাথে হিমাংশুর বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নও ক্রমশ আবছা হতে শুরু করে। কিন্তু Amazon-এর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী পার্টনার তাকে চিহ্নিত করে এবং তার হাতে একটি ট্যাবলেট তুলে দেওয়া হয়, এরপর তার শিক্ষকদের সহায়তায় সে পুনরায় পড়াশোনা শুরু করেছে এবং তার স্বপ্ন সফল করার পথে এগিয়ে চলেছে।
advertisement

হরিদ্বার-নিবাসী ১১-বছরের তরুণ কুমারও Amazon দ্বারা প্রদান করা ট্যাবলেট হাতে পেয়ে উপকৃত হয়েছে। এখন আর তাকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বন্ধুর বাড়ি গিয়ে ফোন শেয়ার করে পড়াশোনা করতে হয় না, বরং নিজের ফোনেই সে এখন মন দিয়ে পড়তে পারে। তরুণের বাবা দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান, তাঁর পক্ষে ছেলের জন্য ফোন কিনে দেওয়া সম্ভব ছিল না, কিন্তু এই ট্যাবলেট হাতে পেয়ে তরুণ এবং তার বোন আবার পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছে।
advertisement

এই ছোটখাট উদাহরণগুলো দেখলে সহজেই বোঝা যায়, কীভাবে একটি ছোট্ট ডিভাইস হাতে পাওয়ার ফলে বহু শিশুর জীবন বদলে গিয়েছে। নাহলে মহামারীর কারণে এই ছোট্ট জীবনগুলি হয়তো এতটাই অন্য খাতে বইতে শুরু করত যে, তাদের আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হত না। এই শিশুদের পরিস্থিতি দেখে আমাদের বোঝা উচিত যে, আমরা কতটা ভাগ্যবান এবং আমরা এখন যে-ভাবে নিজেদের সেকেন্ড-হ্যান্ড ফোনগুলি অবহেলা করে ফেলে রেখেছি, সেগুলি সঠিক জায়গায় পৌঁছলে কত জন শিশু আক্ষরিক অর্থে উপকৃত হতে পারে। তাই আপনি যদি একটি ডিভাইস দান করেন, তাহলে সেটি কারও জীবনে শিক্ষার আলো নিয়ে আসতে পারে, কারও মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারে এবং দেশের ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার কাজে সাহায্য করতে পারে।
তাই এগিয়ে আসুন, আপনার পুরোনো ফোন একটি নতুন বাড়িতে পৌঁছে দিন, অথবা ক্যাশ অনুদান দিন, যা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে তোলার কাজে সাহায্য করবে। অনুদান দিতে এখানে ক্লিক করুন।
Location :
First Published :
November 10, 2021 8:26 PM IST