বাড়তি ফোন বিলের জন্য প্রস্তুত থাকুন! কেন শুল্ক বাড়াতে চলেছে টেলিকম কোম্পানি? জেনে নিন
- Written by:Trending Desk
- news18 bangla
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
আসলে এই মুহূর্তে টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, প্রতি মাসে গ্রাহক প্রতি গড় আয়।
নয়াদিল্লি: ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতিতে জেরবার সাধারণ মানুষ। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো শুল্ক বাড়াতে পারে টেলিকম কোম্পানিগুলিও। ফলে আমজনতার পকেটে নতুন করে চাপ বাড়তে চলেছে। আসলে এই মুহূর্তে টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, প্রতি মাসে গ্রাহক প্রতি গড় আয়। ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনীল মিত্তলও অনেক দিন ধরেই শুল্ক বাড়ানোর কথা বলে আসছেন। কিন্তু তেমনটা হয়নি। এর ফলে কর্মক্ষমতা কমেছে। ২০২২ সালে শুল্ক বাড়ানোর আশা করেছিল স্টক মার্কেট। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ঘোষণা হয়নি।
টেলিকম কোম্পানিগুলো কেন শুল্ক বাড়াতে চায়:
এই মুহূর্তে টেলিকম সেক্টরের তিনটির মধ্যে ২টি কোম্পানি বাজার থেকে লাভ ঘরে তোলার জন্য জোরদার লড়াই করছে। বিশেষ করে ভোডাফোন আইডিয়া। বিপুল ঋণের বোঝা তাদের গলায় ক্রমশ ফাঁসের মতো চেপে বসছে। এমনকী ৪ বছরের স্থগিতাদেশের সময় কালেও আর্থিক পর্যায়ে কোম্পানির কর্মক্ষমতার কোনও উন্নতি হয়নি। কোম্পানির এ-হেন অবস্থা দেখে সরকারও বকেয়াকে ইক্যুইটিতে রূপান্তর করতে বিলম্ব করছে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
অন্য দিকে, রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেলের নেট ঋণ-থেকে-এবিটাও তিন গুণেরও বেশি। আর্থিক স্তরে লড়াই করা সত্ত্বেও, কোম্পানিগুলি ক্রমাগত ৫জি নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ করে চলেছে। রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেল স্পেকট্রাম নিলামের পরে সারা দেশে বিভিন্ন এলাকায় ৫জি পরিষেবা চালু করছে। বাজার রিলায়েন্স জিওর সম্ভাব্য আইপিও-র দিকেও নজর রাখছে, তবে তার আগে সংস্থাটিকে ইবিয়াইটিডিএ এবং এফসিএফ ফ্রন্টে উন্নতি করতে হবে। এই দুই কোম্পানির আরএমএস (টেলিকম মার্কেটে নেতৃত্বের অবস্থান)-এর ক্ষেত্রেও মন্থর গতি দেখা গিয়েছে। ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া-র এআরপিইউ(গ্রাহক প্রতি মাসে গড় আয়) বর্তমানে ২০১৬ সালের চেয়েও কম। যেখানে গত তিন বছরে দুই বার শুল্ক বাড়িয়েছে এই দুই কোম্পানি।
advertisement
এআরপিইউ ৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে হবে:
ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনীল ভারতী মিত্তল বলেন, “আমরা সবাই জানি যে, প্রতি মাসে আমাদের ৩০০ টাকার এআরপিইউ থাকা উচিত, যা এখনও খুব সস্তা। ভারতে একটি সঠিক মূল্য নির্ধারণের ব্যবস্থা দরকার। আশা করি, আমরা সেখানে পৌঁছতে পারব।”
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Jan 19, 2023 4:41 PM IST










