২০২২ সালে Bumble -এর কিছু মন ছুঁয়ে যাওয়া, অনুপ্রেরণা জোগানো প্রেমের গল্প
- Published by:Riya Dey
Last Updated:
২০২২ সালের মূল লক্ষ্য হল এই নতুন যুগ, নতুন মানসিকতা এবং জীবনের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে মানিয়ে নেওয়া।
মহামারীর পরে এখন অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে, ২০২২ সালের মূল লক্ষ্য হল এই নতুন যুগ, নতুন মানসিকতা এবং জীবনের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে মানিয়ে নেওয়া। জেনারেশান জেড এবং তরুণ মিলেনিয়ালরা এখন সঙ্গী খোঁজার সময়ে নিজেদের চাহিদা সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন এবং নিজেদের সময় ও পছন্দ অনুযায়ী ডেটিং করতে পছন্দ করেন।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে দেবস্মিতা এবং তীর্থের আলাপ হয়েছিল ‘বাম্বল’ -এ এবং সেই ‘বাম্বল’ প্রোফাইলের বায়ো এবং পছন্দ-অপছন্দ নিয়েই তাঁদের মধ্যে প্রথম কথাবার্তা শুরু হয়। তারপরে কখনও তীর্থ নিজের পছন্দের প্লেলিস্ট শেয়ার করতেন আবার কখনও দেবস্মিতা নিজের কবিতা শোনাতেন। ক্রমশ তাঁরা পরস্পরকে চিনতে এবং জানতে শুরু করলেন। দেবস্মিতা বুঝতে পারতেন তীর্থ যেন তাঁর না-বলা কথাগুলো অনভব করেন, তিনিও যেন অনেক বেশি খোলা মনে কথা বলতে পারেন তীর্থের সাথে। কয়েক সপ্তাহ পরে দেবস্মিতার উদ্যোগে তাঁরা দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্যাফেতে দেখা করে যখন তাঁরা ক্র্যানবেরী কফিতে চুমুক দিচ্ছিলেন তখনও জানতেন না যে, এই আলাপ আজীবনের বন্ধনে পরিণত হতে চলেছে। দেবস্মিতা জানালেন, তিন সপ্তাহ পরেই তিনি অনুভব করেন যে, “মনে প্রেমের ফুল ফুটেছে” এবং তীর্থের কথায়, মাত্র দুই বার দেখা করার পরেই তিনি দেবস্মিতার প্রেমে পড়েছিলেন। ছয় মাস পরে তাঁরা জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং পরস্পরের পরিবারের সাথে পরিচয় পর্ব সেরে নেন। লাজুক হেসে দেবস্মিতা জানালেন, “আমরা কেউই আশা করিনি যে, একটা ডেটিং অ্যাপ থেকে মনের মানুষকে খুঁজে পাব, তা-ও আবার মহামারী চলাকালীন- জীবন সত্যিই বিচিত্র!” গত ২রা ফেব্রুয়ারি তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এবং এখন তাঁদের লক্ষ্য হল একসাথে গোটা পৃথিবী ভ্রমণ করা!
advertisement
advertisement
আরও এক যুগলের প্রেমের কাহিনী জেনে নেওয়া যাক, যাঁদের জীবনে প্রেম দ্বিতীয় বার ধরা দিয়েছে- মেঘা এবং তুষারের মিষ্টি সম্পর্ক। ২০২০ সালে ‘বাম্বল’ -এ আলাপ হয় এই যুগলের, তখনও লকডাউনের কড়াকড়ি চলছে। ক্রমশ সকলে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন ‘নিউ নর্মাল’-এর সাথে এবং নতুন জীবনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, এমনই একটা সময়ে আচমকা তাঁদের আলাপ হয়। প্রথম বার দেখা করার সময়ে তাঁরা একসাথে ড্রাইভে গিয়েছিলেন- কারণ কোনও পাবলিক প্লেসে দেখা করতে চাননি এবং পরস্পরের বাড়ি গিয়ে দেখা করাও সম্ভব ছিল না। কারণ তুষার বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে থাকেন এবং মেঘা থাকেন তাঁরা সন্তানদের সাথে। তবে কথায় বলে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। এই যুগলের ক্ষেত্রেও তা-ই হল। দুই জনই ব্যবসায়ী, মেঘা একজন হিউম্যান ডিজাইন কোচ এবং তুষার উদ্যোগপতি- ফলে একে অপরের অফিসে গিয়ে লাঞ্চ করা বা কফি ব্রেকের সময়ে আলাপচারিতা চলতে থাকে। তাঁদের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুব একটা সহজ ছিল না। তাই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করতে কিছুটা সময় লেগেছিল। তুষার এখন মেঘার ছেলেমেয়েদের ভীষণ ভালোবাসেন- বাচ্চারাও এই নতুন সম্পর্কে সাবলীল হয়ে উঠেছে। খুব শিগগিরই পরিণতি পেতে চলেছে এই যুগলের হার না মানা ভালোবাসার গল্প, ইতিমধ্যে তাঁরা এনগেজমেন্ট সেরে ফেলেছেন এবং এখন তাঁরা বিয়ের প্ল্যানিং নিয়ে ব্যস্ত।
advertisement
‘বাম্বল’-এর ইন্ডিয়া কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর সমর্পিতা সমাদ্দার জানালেন, ‘২০২৩ সালের প্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে ডেটিং নিয়ে অন্তত ৮১ শতাংশ ভারতীয়র মধ্যে ইতিমধ্যেই একটা ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়ে গিয়েছে। একধরনের আশা এবং উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে অনেক বেশি সংখ্যক মহিলা এগিয়ে আসছেন প্রথমে যাতে তাঁদের জীবনে একটা অর্থবহ যোগাযোগ ঘটে যায়। ‘বাম্বল’ তার নিজস্ব কমিউনিটিকে আরও জোটবদ্ধ করে তোলার কাজে ব্যাপৃত থাকবে যাতে সদস্যরা নিজেরাই তাঁদের ডেটিং-জার্নিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন এবং একটি স্বাস্থ্যকর এবং ন্যায়সঙ্গত সম্পর্ক তৈরি করে নিতে পারেন।”
view commentsLocation :
First Published :
December 23, 2022 10:21 AM IST
