Future Smartphone: ব্যাটারি সবসময় ফুল চার্জ, স্ক্রিন বাড়ানো-কমানো যাবে, ভবিষ্যতের ফোন দেখলে চোখ কপালে উঠে যাবে
- Written by:Trending Desk
- trending desk
- Edited by:Ankita Tripathi
Last Updated:
চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় যে ভবিষ্যতের ফোনগুলো আজকের ফোনের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত হবে। প্রযুক্তি থেকে ফিচার, সবকিছুই হবে উন্নততর।
একটা সময় সারা বিশ্বে ব্যবহার হত ল্যান্ডফোন। বড় গাবদা দেখতে। নম্বর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ডায়াল করতে হয়। তারপর এল মোবাইল। ছোট্ট একটা যন্ত্র। তার নেই, কিছু নেই। কিন্তু দিব্যি ফোন যায়। যেন ম্যাজিক। নোকিয়া ১১০০, স্যামসং-এর বেসিক কিপ্যাড থেকে মোটোরালার ফ্লিপ ফোন – ছোট্ট যন্ত্রেরও কত বাহার। সাদা-কালোর পর এল রঙিন স্ক্রিন।
সেই যুগ বেশিদিন টেঁকেনি। ছোট্ট যন্ত্রের বদলে এল স্মার্টফোন। স্ক্রিন বড় হল। র্যাম এবং মেমরি-সহ অন্যান্য ফিচার আপগ্রেড হল। এখন তো বাজারে ফ্লিপ স্মার্টফোনও চলে এসেছে। দেখেশুনে মনে হতে পারে, প্রযুক্তি যেন ম্যারাথন রেসে নেমে নেমেছে। প্রতিপক্ষ উসেইন বোল্ট। কিন্তু এরপর? ভবিষ্যতের ফোন কেমন দেখতে হবে? কী কী ফিচার থাকবে? একটা কথা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় যে ভবিষ্যতের ফোনগুলো আজকের ফোনের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত হবে। প্রযুক্তি থেকে ফিচার, সবকিছুই হবে উন্নততর।
advertisement
মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করবে: দেখলে মনে হবে হলিউডের সায়েন্স ফিকশন বুঝি। কিন্তু ভবিষ্যতে এমনটাই হতে চলেছে। এখন আঙুল দিয়ে টাইপ করা হয়। ভবিষ্যতে মনের ভাবনাই ফুটে উঠবে স্ক্রিনে। এই প্রযুক্তির উপর কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৭ সালে ফেসবুকের বিল্ডিং ৮ বিভাগ এমনই প্রযুক্তি তৈরি করে ফেলেছে বলে দাবি করা হয়েছিল। টাইপিংয়ের গতি প্রতি মিনিটে ১০০ শব্দ। যা বর্তমানে স্মার্টফোন টাইপের চেয়ে পাঁচগুণ দ্রুত। বিল্ডিং ৮ ২০১৮ সালে বন্ধ হয়ে যায়। অনেক কর্মী অন্য কোম্পানিতে চলে যান। তারপর বিষয়টা ধামাচাপা পড়ে যায়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: Google Photos-কে দিচ্ছে জোর টক্কর! Proton Drive-এ ছবি থাকবে সুরক্ষিত, জেনে নিন ব্যবহারের উপায়
এমআইটির বিজ্ঞানীরাও এই রকম কিছু করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাঁরা যে ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন তার নাম ‘অল্টারইগো’। এতে ইউজারদের সঙ্গে মেশিনের আত্মিক বন্ধন গড়ে উঠবে। এর কাজ চলছে। বিলিয়নিয়ার এলন মাস্কও মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর চেষ্টা করছেন। যদিও এক্ষেত্রে অনেক আইনি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, এই প্রচেষ্টা সফল হলে ব্যক্তির মন সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
advertisement
ব্যাটারি সবসময় ১০০ শতাংশ: এয়ার টু এয়ার প্রযুক্তিতে সবসময় ১০০ শতাংশ চার্জ থাকবে ফোনে। মোটোরোলা গত বছরই এয়ার টু এয়ার চার্জিং প্রযুক্তির কথা বলেছিল। শাওমি জানিয়েছিল, তাদের প্রযুক্তির নাম মি এয়ার চার্জ। হড়ে গড়ে ব্যাপারটা একই। কয়েক মিটার দূরত্ব পর্যন্ত চার্জ করতে পারে এই প্রযুক্তি। কিন্তু শক্তিশালী ট্রান্সমিটার অনেক দূর থেকেও ফোন বা ডিভাইস চার্জ করতে পারে। সেটা আজকের মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের মতো কাজ করবে। ফলে ফোনে সবসময় থাকবে ফুল চার্জ। ব্যাটারি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এই প্রযুক্তি শুধু স্মার্টফোন নয়, ল্যাপটপ, স্মার্টওয়াচের মতো গ্যাজেটেও কাজ করবে। এমনকী ইলেকট্রিক গাড়িও চার্জ হয়ে যাবে।
advertisement
স্ট্রেচেবল ফোন: ফোল্ডেবল ফোন সবাই দেখেছে। যা ভাঁজ করা যায়। অনেক কোম্পানিই এই ধরনের ফোন বাজারে এনেছে। কিন্তু স্ট্রেচেবল ফোন? ভবিষ্যতে আসবে। স্ক্রিন দরকার মতো বাড়ানো বা কমানো যাবে। স্যামসং ২০১৭ সালে স্ট্রেচেবল ফোন আনার ঘোষণা করেছিল। এতে ট্রামপোলিন ব্যবহার করা হয়, যা বাঁকানো যায়। আবার নিজের আকারে ফিরে আসে। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির এক ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বের প্রথম স্ট্রেচেবল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট তৈরি করেছেন। সহকারী অধ্যাপক চুয়ান ওয়াং এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, তাঁর টিম এর উপর কাজ করছে।
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
December 12, 2023 8:54 PM IST