Wriddhiman Saha:‘‘লড়াইয়ের নাম ঋদ্ধিমান, ভারতীয় ক্রিকেটের ক্রাইসিস ম্যান পাপালি,’’ বলছেন ছোটবেলার কোচ জয়ন্ত ভৌমিক
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
Last Updated:
Wriddhiman Saha: জয়ন্ত বাবু চ্যালেঞ্জ করে বলেন, "প্রায় 38 বছর হলেও ঋদ্ধির ফিটনেস অনেকের থেকে ভালো। উইকেটকিপার হিসেবে এখনও দেশের এক নম্বর। শুধু শুধু সমালোচনা করা উচিত নয়।"
কলকাতা : লড়াইয়ের নাম ঋদ্ধিমান (Wriddhiman Saha)। ঘাড়ের যন্ত্রণা নিয়ে কানপুর টেস্টের (Kanpur Test) দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য লড়াইয়ে মুগ্ধ ক্রিকেট দুনিয়া। ঋদ্ধির অপরাজিত ৬১ যেন সেঞ্চুরির থেকেও বেশি। সুনীল গাভাসকার থেকে ভিভিএস লক্ষ্মণ, কিরমানি থেকে দীপ দাশগুপ্ত--প্রত্যেকেই ঋদ্ধির প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
তবে ঋদ্ধির এই অনবদ্য লড়াইকে স্পেশাল আখ্যা দিতে নারাজ ছোটবেলার কোচ জয়ন্ত ভৌমিক (Jayanta Bhowick)। আসলে জয়ন্তবাবু মনে করেন, "পাপালি সবসময়ই কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করে এসেছে। ছোট থেকেই চাপের মুখে ঠান্ডা মাথায় নিজের কাজ করতে পারে ঋদ্ধিমান।" জয়ন্ত ভৌমিক নিজের ছাত্রকে ভারতীয় ক্রিকেটের ক্রাইসিস ম্যান বলে আখ্যা দিচ্ছেন। কানপুরে ঋদ্ধিমানের ব্যাটিং দেখে জয়ন্ত বাবুর মন্তব্য, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজের শোল্ডার বা কাঁধের যন্ত্রণা নিয়ে ইনিংস গড়তে অনেক নামী দামী ক্রিকেটার পারেন না, তবে সেটাই করে দেখিয়েছেন পাপালি। এটা অতীতেও ঋদ্ধি করেছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের পাশে সে দেশের সরকার, জোড়া বায়ো বাবল তৈরি করছে প্রোটিয়া বোর্ড
তবে কিছুটা অভিমানের সুরে জয়ন্তবাবুর বক্তব্য, ‘‘ শুধু কানপুরে নয়, অতীতেও ভারতীয় টেস্ট জার্সিতে বিভিন্ন সংকটের সময় পরিত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ঋদ্ধি। ইডেনে গোলাপি বল টেস্ট তার সব থেকে বড় উদাহরণ। তবে অস্ট্রেলিয়ায় গোলাপি বল টেস্টে গোটা দল ব্যর্থ হওয়ার পর শুধু ঋদ্ধিকে বাদ পড়তে হল কেন?’’
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: রাহুল দ্রাবিড় কানপুরের গ্রাউন্সম্যানকে দিয়েছেন ৩৫ হাজার টাকা, মন ছুঁয়ে গেল মুহূর্তেই
জয়ন্তবাবু চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘‘প্রায় ৩৮ বছর বয়স হলেও ঋদ্ধির ফিটনেস অনেকের থেকে ভাল। উইকেটকিপার হিসেবে এখনও দেশের এক নম্বর। শুধু শুধু সমালোচনা করা উচিত নয়।’’
আরও পড়ুন: যেমন ব্যাটিং, তেমন নাচ! 'কোয়ি শহেরি বাবু' গানে অসাধারণ নাচলেন শ্রেয়স আইয়ার
কানপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ঋদ্ধি ব্যর্থ হওয়ার পর সমালোচনা শুরু হয়েছিল। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন স্টিফ নেক অর্থাৎ ঘাড়ের ব্যথার জন্য ফিল্ডিং করতে পারেননি। বদলি হিসেবে নেমে সফল হয়েছিলেন কে এস ভরত। তারপর থেকেই বিভিন্ন মহল কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার এক অংশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে যে ঋদ্ধিমান হয়তো তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলে ফেললেন। তবে সমস্ত সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় দলের পরিত্রাতা হয়ে ওঠেন ঋদ্ধি। প্রথমে শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ, তার পর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে দলকে নির্ভরযোগ্য স্কোরে পৌঁছে দেওয়া--সবকিছুই একা হাতে করেছেন পাপালি।
advertisement
মাঝেমধ্যেই ঘাড়ের যন্ত্রণায় কাবু হতে দেখা গিয়েছে। তবুও মুখে তার ছাপ পড়েনি। আসলে ঋদ্ধিমান এরকমই। শুধু কাজ করে যান। টেস্ট শুরুর আগে নিউজ18 বাংলাকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ঋদ্ধিমান বলেছিলেন, ‘‘দলে সুযোগ পাওয়া কিংবা বাদ পড়া নিয়ে আমি কখনই কিছু ভাবি না। শুধু আমি আমার কাজটুকু করে যাই। যখন যে রকম সুযোগ পাব, নিজের দায়িত্ব পালন করব।’’
লেটেস্ট খেলার খবর (Sports News in Bengali), ক্রিকেটের খবর (Cricket News in Bangla), আইপিএলের খবর (IPL News)পাবেন নিউজ 18 বাংলা-তে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
November 30, 2021 12:57 AM IST