কলকাতা: কলকাতায় ফিরলেন তিতাস সাধু। বিমানবন্দর থেকে যখন ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের আরেক তারকা ঋষিতা বাড়ির পথে, তখন তিতাসের গাড়ি ছুটল সল্টলেকে।
কিন্তু কেন? গাড়ি গিয়ে থামল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্রিকেট একাডেমি টুয়েন্টি টু ইয়ার্সের মাঠে। কোথাও কোনও সংবর্ধনার ব্যবস্থা নেই। কোনও উচ্ছ্বাস নেই। তা হলে কেন তিতাস পৌঁছলেন সেখানে!
আরও পড়ুন- অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন মেসি! আর দেখা যাবে না আর্জেন্টিনার জার্সিতে?
আসলে তিতাস ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার কারিগর প্রিয়ঙ্কর মুখার্জি সেই সময় মাঠে ক্রিকেট খেলছিলেন। ঐক্য সম্মেলনী দলের ক্রিকেটার প্রাক্তন রঞ্জি খেলোয়াড় প্রিয়ঙ্কর তিতাসকে বলেছিলেন, বিশ্বকাপে ফাইনালের মঞ্চ জীবনে বারবার আসবে না। ম্যাচের সেরা হওয়ার জন্য যা যা দরকার সব করো। তিতাস সেই কথা রেখেছেন। ২ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে ফাইনাল ম্যাচের সেরা হয়েছে।
কলকাতায় পা রেখে সরাসরি বিমানবন্দর থেকে কোচের সঙ্গে দেখা করে ম্যাচের সেরা মেডেলটি তাঁর হাতে তুলে দিলেন তিতাস। তিতাস বলেন, স্যর আমাকে প্রতি মুহূর্তে সাহস দিতেন। আমি কী করতে পারি সেটা বারবার বলতেন। জীবনে এই মঞ্চ তো বারবার পাওয়া যায় না, তাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবার লক্ষ্য ২০২৫ সিনিয়র মেয়েদের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা।
তিতাস আরও বলেন, আইপিএলের সুযোগ পেলে পারফর্ম করব। মেয়েদের আইপিএল হওয়ার জন্য আরও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব। বাবার জন্য জুতো এনেছি, মার জন্য সারপ্রাইজ গিফট এনেছি। মিতালি দি বলেছিল, অনেক সেরাদের মধ্যে তোমরা ভাগ্যবান যারা সুযোগ পেয়েছ। নিজেদের প্রমাণ করো। সেটা করতে পেরে ভাল লাগছে।
আরও পড়ুন- ৩ ম্যাচের একটিতে সুযোগ পাননি পৃথ্বি শ, হতাশ সতীর্থের মুখে হাসি ফেরালেন অধিনায়ক
তিতাসের কোচ প্রিয়ঙ্কর বলেন, ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় সব সময় দিয়েছে। ওকে একবার বললে ও সব মনে রেখে দিতে পারে। খুব ভাল ছাত্রী তিতাস।ছেলেদের সঙ্গে প্র্যাকটিস করার সময় কখনও ভয় পেত না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।