ভারতের 'নতুন সচিন'! মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে, রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে দেশের ভরসা
- Published by:Suman Majumder
- news18 bangla
Last Updated:
Sachin Dhas: কে এই সচিন দাশ, যাঁকে ভারতের নতুন সচিন বলা হচ্ছে। ভারতীয় দলকে বিশ্বকাপ ফাইনালে তোলার অন্যতম কারিগর এই ক্রিকেটার।
নয়াদিল্লি: তাঁকে এত তাড়াতাড়ি এত বড় সার্টিফিকেট দেওয়া কি ঠিক! এমন প্রশ্ন অনেকের মনে জাগতে পারে। কারণ তাঁকে ইতিমধ্যে অনেকেই বলছেন, ভারতের নতুন সচিন।
ভারতীয় ক্রিকেট দল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দল সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে। এক সময় ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে হিমশিম খাচ্ছিল ভারতীয় দল। সেই চাপ থেকে ভারতকে উদ্ধার করেন সচিন দাশ।
অধিনায়ক উদয় সাহারান ক্রিজে ছিলেন। তবে সচিন দাশ আফ্রিকান পেসারদের নিজের মতো করে জবাব দিচ্ছিলেন। সচিন যখন ব্যাট করতে আসেন, তখন ১২ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ৩২ রান। রান রেট ৩- এর কম। এর পর সচিন ৪৭ বলে অর্ধশতরান করেন। মারেন ৯টি চার।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন- সদ্য হয়েছে তাঁর ডিভোর্স, এবার বিবাহিত মহিলাদের বড় বার্তা দিলেন সানিয়া মির্জা
আফ্রিকান পিচে আফ্রিকান পেস আক্রমণকে পরাস্ত করা সচিন মহারাষ্ট্রের বিড জেলা থেকে উঠে এসেছেন। খরা কবলিত শহর থেকে উঠে আসা এই ছেলের বড় হওয়া মধ্যবিত্ত পরিবারে।
চার বছর বয়সে ব্যাট হাতে তুলেছিলেন। সাড়ে ৪ বছর বয়সে ক্রিকেট শেখা শুরু। তাঁর বাবা সঞ্জয় দাশ স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ করেন। মা সুলেখা সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এপিআই)। সঞ্জয় দাশ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছেন।
advertisement
সঞ্জয় দাশ বলেছেন, তিনি যখন ছেলেকে অল্প বয়সে ক্রিকেটার হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিলেন, মা সুলেখা তা খুব একটা পছন্দ করেননি। ওদিকে সচিন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে ভাল পারফর্ম করতে শুরু করেন। সচিন যখন রাজ্য দলে (বয়সভিত্তিক গ্রুপ) নির্বাচিত হন, মা সুলেখাও তার ক্রিকেটার হওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি হন। এর পর থেকে তাঁকে সম্পূর্ণ সমর্থন করতে শুরু করেন।
advertisement
কয়েক বছর আগে পুনেতে একটি স্থানীয় টুর্নামেন্টে সচিন যখন লম্বা লম্বা ছক্কা মেরেছিলেন, আয়োজকরা তাঁর ব্যাটও পরীক্ষা করে দেখেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৯৫ বলে ৯৬ রানের অতুলনীয় ইনিংস খেলেন সচিন। এর আগে গ্রুপ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- কথাতে নিন্দুকদের মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘আমি বিরিয়ানি-কাবাব খাই…’’
সঞ্জয় দাশ তাঁর ছেলে সচিনকে ক্রিকেটার বানানোর সব কৃতিত্ব কোচ শেখ আজহারকে দিলেন। শুরুর দিনগুলিতে সচিনের অনুশীলনের জন্য বিডে কোনও টার্ফ উইকেট ছিল না। মাদুরের উপর অনুশীলন করতে হত। কোচ শেখ আজহার একটি টার্ফ উইকেটের ব্যবস্থা করেন, যাতে সচিন অনুশীলন করতে পারেন।
লেটেস্ট খেলার খবর (Sports News in Bengali), ক্রিকেটের খবর (Cricket News in Bangla), আইপিএলের খবর (IPL News)পাবেন নিউজ 18 বাংলা-তে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
February 07, 2024 4:09 PM IST