হুগলি: বিশ্বকাপ জিতে ঘরের মেয়ে ফিরেছে ঘরে। অনূর্ধ্ব ১৯ দলের ক্যাপ্টেন তিতাস সাধু হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা। তার বোলিংয়ের স্পেলে কুপোকাত হয়েছে ব্রিটিশ টিম। তবে বিশ্বকাপ জিতে ঘরে ফিরে ঘরের মেয়ে যে একটুও বদলায়নি তাই যেন দেখতে পাওয়া গেল। বাড়ির বাইরে তখন মিডিয়ার ভিড়। তিতাসের মিটিং চলছে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে। অন্যদিকে তার নিজের ক্লাবের বন্ধু বান্ধব ও খুদেরা মাঠে অপেক্ষা করছে তিতাসের আসার।
প্রতিদিনের অভ্যাস মাফিক মাঠে আসার পথে পরে মাস্টারদার দোকান। ছোট থেকে তিতাসের অভ্যাস মাস্টারদার দোকান থেকে প্র্যাকটিসে আসা যাওয়ার সময় খিদে পেলে কিছু খাওয়া। সেই মতো এই দিনও তিতাস মাস্টারদার দোকান থেকে কৌটো খুলে নিজের পছন্দের বেকারি বিস্কুট তুলে খেতে খেতে ঢুকলেন মাঠে।
দোকান মালিক মাস্টারদা বলেন, ছোট থেকেই চুঁচুড়ার মাঠে যখনই খেলা প্র্যাকটিস করতে আসে তিতাস, তখন থেকেই তার অভ্যাস দোকান থেকে কেক, বিস্কুট খাওয়ার। লম্বু তার বরাবরেই প্রিয়। মাস্টার দা বলেন, খুব ভাল লাগছে একইসঙ্গে খুব গর্বিত আমরা আজ তিতাসের জন্য। আগামীতে ও আরও যাতে উন্নতি করে সেই কামনাই করি।
তিতাস আজ শুধু লম্বু খেতে খেতে মাঠে ঢুকেছে না এমনটাই নয়। লম্বু খাওয়ার পাশাপাশি খাইয়েছে বন্ধুদের। পাড়ার বন্ধু থেকে মাঠের বন্ধুরা, পরিবার-পরিজন থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা সকলের মুখে একটাই কথা। গোটা শহর যার পোস্টারে ঢেকে গিয়েছে, প্রত্যেকের মুখে মুখে এখন যার নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই মেয়ে বিশ্বকাপ জিতে এসেও একটুও বদলাইনি। তাদের ঘরের মেয়ে রয়েছে আগের মতোই।
রাহী হালদার
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cricket, U19 Cricket World Cup, U19 WC