#কলকাতা: প্রয়াত ক্রীড়াবিদ চুনী গোস্বামীকে শেষ শ্রদ্ধা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিসিসিআইয়ের। শুক্রবার বিকেলে চুনী গোস্বামীর প্রয়াণের পরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়। আসলে চুনী গোস্বামী বিখ্যাত ফুটবলারের পাশাপাশি ছিলেন বড় মাপের ক্রিকেটারও।
দীর্ঘদিন বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলা অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বিসিসিআইয়ের ট্যুইটে অলরাউন্ডার আখ্যা দিয়ে চুনী গোস্বামীর কৃতিত্বের কথা তুলে ধরা হয়। একবার শুক্রবার রাতে প্রিয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব চুনী গোস্বামীর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভও ট্যুইট করেন। ট্যুইটে প্রিয় চুনীদাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সৌরভ লেখেন, "হঠাৎ করে এতজন কাছের মানুষের চলে যাওয়ার খবরে মর্মাহত। ক্রীড়াজগত আরও এক নায়ককে হারাল। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি চুনীদা। ফুটবলের সর্বকালের সেরা। সায়াহ্নে এসে জীবন সব হিসেব বুঝে নেয়। কিন্তু এবারেও আপনিই জিতলেন।"
advertisement
Just saddened with so many bad news of dear people..The game loses another hero.. RIP Chuni da...An all time great of the game .. Life settles all scores at the end ..You have still won it ...
ভাল নাম সুবিমল গোস্বামী। কিন্তু ময়দান-সহ গোটা বিশ্ব চিনত চুনী গোস্বামী হিসেবেই। ফুটবল পায়ে হোক কিংবা ব্যাট-বল হাতে একের পর এক নজির করে গিয়েছেন তিনি। আসলে একাধিক খেলায় পারদর্শী ছিলেন চুনী গোস্বামী। একদিকে, ফুটবলে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছেন। আবার বাংলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন রঞ্জি ফাইনাল। আবার ফুটবলে একের পর এক গোল করছেন। অন্যদিকে, ক্রিকেটে বল হাতে রোহন কানহাইয়ের মত দুরন্ত ক্যরিবিয়ান ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন। এমন অবিশ্বাস্য নজির ছিল চুনী গোস্বামীর দখলে। এরকম বিরল প্রতিভা ভারতীয় খেলাধুলোয় তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রীড়ামহলেও দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে।
advertisement
BCCI mourns the death of Subimal ‘Chuni’ Goswami, an all-rounder in the truest sense. He captained the Indian national football team & led to them to gold in the 1962 Asian Games. He later played first-class cricket for Bengal & guided them to the final of Ranji Trophy in 1971-72 pic.twitter.com/WgXhpoyLaB
চুনী গোস্বামী ডান হাতে ব্যাট করার পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বল করতেন। ১৯৬২- ৬৩ মরশুমে বাংলার হয়ে রঞ্জি অভিষেক হয়। তাঁর নেতৃত্বে রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল খেলে বাংলা ক্রিকেট দল। যদিও ১৯৭২ সালে অধিনায়ক হিসেবে বাংলাকে রঞ্জি ফাইনালে তোলার আগে ১৯৬৯ সালে ক্রিকেটার হিসেবে রঞ্জি ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা ছিল চুনী গোস্বামীর। মোট ৪৬টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছিলেন চুনী গোস্বামী। ১৫৯২ রান। একটা সেঞ্চুরি। ৭টি হাফ সেঞ্চুরি। ব্যাটিং গড় ২৮.৪২। বল হাতে ৪৭টি উইকেট পান। একবার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে।
advertisement
১৯৬৬ সালে গ্যারি সোবার্সের নেতৃত্বে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের সম্মিলিত দলের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছিলেন চুনী গোস্বামী। ইনদওরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন চুনী গোস্বামী। ব্যাট হাতেও করেন গুরুত্বপূর্ণ ২৫ রান। ম্যাচে তাঁর দাপটেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইনিংস ও ৪৪ রানে হেরে যায়। ২০১১-২০১২ মরশুমে সিএবির তরফে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার দেওয়া হয় চুনী গোস্বামীকে।