#গোয়া: রাত পোহালেই কলকাতা ডার্বি। বাঙালির সেই চিরকালীন আবেগের ম্যাচ। একটা দিনের জন্য হলেও বাঙালির দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার ম্যাচ। বাংলার ম্যাচ। অথচ গত দু'বছর ধরে করোনার কারণে হচ্ছে গোয়াতে। এই ম্যাচটা কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হলে কী হত, সেটা জানেন না অর্ধেক ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার। রফিক, অরিন্দম ভট্টাচার্য, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়, সৌরভ দাসদের থেকে অবশ্য ভিন রাজ্যের ফুটবলাররা কিছুটা ধারণা নিতে পেরেছেন।
আর বিদেশি ফুটবলারদের জন্য নতুন উপায় খুঁজে বের করেছেন কোচ মারিও রিভেরা। স্প্যানিশ ম্যানেজার যখন আলেহান্দ্রো মেনেন্দেজ গার্সিয়ার সরকারি ছিলেন, তখন দর্শক ভর্তি যুবভারতী স্টেডিয়ামে ডার্বি ম্যাচে থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছে। শনিবার গোয়ার ফতরদা স্টেডিয়ামে নামার আগে মার্সেলো, পেরোসেভিচ, ফ্রানজ, সিডলদের দর্শক ভর্তি যুবভারতীতে ডার্বির কিছু ভিডিও দেখিয়েছেন তিনি।
এই ম্যাচটাকে ঘিরে সমর্থকদের মধ্যে কতটা প্রত্যাশা এবং টেনশন থাকে একটা স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অনভিজ্ঞ ফুটবলারদের। গোয়ার মাঠে দর্শক থাকবে না। কিন্তু টিভিতে লাখ লাখ সমর্থক ম্যাচটা দেখবে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের আশায়। মারিও ফুটবলারদের অনুরোধ করেছেন সম্মানের ম্যাচে নিজেদের জান লড়িয়ে দিতে। প্রাক্তন ফুটবলাররা বেশিরভাগ ইস্টবেঙ্গলকে আন্ডার ডগ বলছেন।
— SC East Bengal (@sc_eastbengal) January 28, 2022মারিও তার ফুটবলারদের মোটিভেট করার জন্য বলেছেন ৯০ মিনিটে তোমাদের প্রমাণ করতে হবে ফুটবল পণ্ডিতরা ভুল। দুই দলের প্রথম লেগের সাক্ষাৎকারে অনায়াসে জয় পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। তিলক ময়দানে ৩-০ ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছিল তারা। কিন্তু তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। দুটো দলের হেড কোচ বদলে গিয়েছে।
মাঝে করোনার প্রকোপে ভুগতে হয়েছে দুটো দলকেই। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। মারিওর কোচিং গোয়ার বিরুদ্ধে প্রথম জয় তুলে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সর্মথকরা আশা করেছিলেন এবার বোধহয় চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। কিন্তু পরের ম্যাচেই হায়দারাবাদ ৪-০ উড়িয়ে দিয়েছে লাল-হলুদকে।
ডার্বির আগে যেটা রক্তচাপ বাড়াবে সমর্থকদের। কিন্তু মারিও ভয় পাওয়ার লোক নন। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন হায়দারাবাদ ম্যাচে কী হয়েছিল তার ওপর নির্ভর করবে না ডার্বির ভবিষ্যৎ। ফুটবলারদের মোটিভেট করার প্রয়োজন নেই। যারা এই ম্যাচ খেলেছে তাদের থেকেই বাকিরা এই ম্যাচের গুরুত্ব এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
এটিকে মোহনবাগান ওড়িশার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে ড্র করেছে। মারিও মনে করেন ডার্বিতে চাপ বেশি থাকবে এটিকে মোহনবাগানের ওপর। প্লে অফ জায়গা নিশ্চিত করতে মরিয়া থাকবে তারা। তাই তিন পয়েন্ট হবে একমাত্র লক্ষ্য। সবুজ মেরুনের অসংখ্য পাস এবং দৌড় বন্ধ করতে হবে। অনুশীলনে সেভাবেই ফুটবলারদের তৈরি করেছেন মারিও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: ATK Mohubagan, SC East Bengal