হোম /খবর /খেলা /
রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালের মাঝে সৌরভের ফোন পেয়ে উজ্জীবিত বাংলা শিবির

Ranji Trophy Semi Final: রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালের মাঝে বাংলার কোচ লক্ষ্মীকে ফোন সৌরভের, দাদির ফোন পেয়ে উজ্জীবিত বাংলা শিবির

দাদির ফোন পেয়ে উজ্জীবিত বাংলা শিবির

দাদির ফোন পেয়ে উজ্জীবিত বাংলা শিবির

বুধবার খেলা শুরু হওয়ার দিনে বাংলার কোচকে ফোন করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।‌ প্রথম দিনে খেলা শেষ হওয়ার পর সৌরভ ফোন করেছিলেন বলে খবর। রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে হোলকার স্টেডিয়ামে খেলছে বাংলা দল।

  • Share this:

ইনদওর: রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালের মাঝে বাংলা দলের খবর নিতে কোচ লক্ষ্মীরতন‌ শুক্লাকে ফোন করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।‌ বুধবার খেলা শুরু হওয়ার দিনে বাংলার কোচকে ফোন করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।‌ প্রথম দিনে খেলা শেষ হওয়ার পর সৌরভ ফোন করেছিলেন বলে খবর। রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে হোলকার স্টেডিয়ামে খেলছে বাংলা দল। গত বছর এই মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাকে। তাই বদলায় ম্যাচে প্রথম থেকে বাড়তি তাগিদ ক্রিকেটারদের মধ্যে। ক্রিকেটারদের মত প্রাক্তনরাও এই ম্যাচ নিয়ে প্রতিমুহূর্তে বাড়তি তাগিদ দেখাচ্ছেন। সেই তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন সৌরভ।

আরও পড়ুন- সৌন্দর্যে টক্কর দিতেন ঐশ্বর্যকেও! অথচ বলিউডে ক্ষণস্থায়ী কেরিয়ার! কেন আচমকা উধাও হয়েছিলেন ‘সির্ফ তুম’ নায়িকা?

বাংলার ক্রিকেট ম্যাচের আপডেট সব সময় রাখেন সৌরভ। বুধবারও লক্ষ্মীকে ফোন করে ম্যাচের উইকেট এবং ম্যাচ সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে খোঁজ খবর নেন।‌ কিছু মূল্যবান পরামর্শ দেন বলে খবর। আসলে ৩২ বছর আগে রঞ্জি ট্রফি শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। সেই দলের সদস্য ছিলেন সৌরভ।

দাদা স্নেহাশিসের জায়গায় ১৯৮৯-৯০ সালের ফাইনালে খেলেছিলেন সৌরভ। তারপর থেকে একাধিকবার চেষ্টা করেও বাংলার রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। বেশ কয়েকবার রানার্স হয়েছে ঠিকই, কিন্তু চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ঘরে তুলতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলার দল। সিএবি সভাপতি এবং সচিব থাকার সময়ও সৌরভ বারবার চাইতেন বাংলা যেন রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই জন্য যাবতীয় পরিকল্পনা এবং পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করেন।

আরও পড়ুন- তিনটে গাড়িতে ৯ কোটি টাকা সরানোর ছক, উদ্ধারের আগেই উধাও দুটি গাড়ি ! ইডির সন্ধানে নগদ বাকি সাড়ে সাত কোটি

ভিশন টোয়েন্টি-টোয়েন্টির মতো প্রজেক্ট চালু থেকে শুরু করে প্রজ্ঞান ওঝার মত ক্রিকেটারকে বাংলায় খেলার জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও সাফল্য আসে নি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআই সভাপতি থাকাকালীন ২০১৯-২০ মরশুমে রঞ্জি ফাইনালে রানার্স হয় বাংলা। তারপর গত বছর সেমিফাইনালে বিদায়। ঐতিহ্যশালী এই টুর্নামেন্টে বেশ কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক বাংলা দল। প্রাক্তন থেকে বর্তমান ক্রিকেটার থেকে কর্তা প্রত্যেকেই চান বাংলা যেন ট্রফি জিততে পারে এই বছর। বাংলা ক্রিকেট নিয়ে প্রতিমুহূর্তে খবর রাখেন সৌরভ। খেলার স্কোর মোবাইলে প্রতিমুহূর্তে দেখতে থাকেন দাদা। বর্তমানে সিএবি বা ক্রিকেট প্রশাসকের না থেকেও বাংলা ক্রিকেটের সঙ্গে রয়েছেন সৌরভ। তাই অভিভাবকের মতোই বাংলা দলকে প্রয়োজনমতো গাইড করেন দাদা। মধ্যপ্রদেশ ম্যাচে বাংলা শিবিরে সৌরভের ফোন তাই ব্যতিক্রমী কোনও ঘটনা নয়। ভারতীয় ক্রিকেটের সুপারস্টারের ফোন পেয়ে আরও চাঙ্গা বাংলার ক্রিকেটাররা।

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Laxmiratan Shukla, Ranji Trophy, Sourav Ganguly