সানরাইজার্স – ১৮২/৬
এমএসজি – ১৮৫/৩
লখনউ জয়ী ৭ উইকেটে
হায়দারাবাদ: সানরাইজার্স যে টার্গেট দিয়েছিল, সেটা তাড়া করে জয় পাওয়া যেমন খুব একটা সমস্যার ছিল না, তেমনই খুব সহজে হবে এমনটাও বলার জায়গা ছিল না। লখনউ দলের ক্যারিবিয়ান ওপেন মায়ারাস আজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কুইন্টন ডি কক ২৯ করে আউট হয়ে গেলেন। মানকর একটা লড়াই করা ইনিংস উপহার দিয়ে ৫০ রান করলেন। তাকে সহায়তা করলেন মার্কোস স্তইনিস।
২৫ বলে ৪০ করে ফিরে গেলেন তিনি। এরপরে এলেন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান। এসেই ছক্কা মারলেন। অভিষেক শর্মার ১৬ নম্বর ওভারে ৩১ রান তুলল লখনউ। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮২ রান তুলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তেমন বড় রান কেউ না পেলেও ক্রুণাল পাণ্ড্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো জায়গায় দলকে পৌঁছে দিল হেনরিখ ক্লাসেন এবং আবদুল সামাদের আগ্রাসী ইনিংস।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক এডেন মার্করাম। শুরুটা ভাল হয়নি আয়োজকদের। ওপেনার অভিষেক শর্মা (৭) দ্রুত আউট হয়ে যান। দলকে ভরসা দিতে পারলেন না তিন নম্বরে নামা রাহুল ত্রিপাঠীও (১৩ বলে ২০)। অন্য ওপেনার অনমলপ্রীত সিংহ করলেন ২৭ বলে ৩৬ রান। দ্রুত আউট হলেন মার্করামও।
হায়দরাবাদ অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ২০ বলে ২৮ রানের ইনিংস। ধারাবাহিক ব্যবধানে উইকেট হারাল হায়দরাবাদ। ফলে মার্করামরা কখনওই রান তোলার গতি তেমন বাড়াতে পারলেন না।হায়দরাবাদকে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দিল মূলত ক্লাসেনের ইনিংস। তিনি ২৯ বলে ৪৭ রান করলেন। তিনটি করে চার এবং ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে।
পরের দিকে রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন সামাদ। ২৫ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। ১টি চার এবং ৪টি ছয় মারলেন তিনি। ইনিংসের শেষ দিকে সামাদ দাপুটে ইনিংস খেলতে না পারলে ঘরের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আরও চাপে থাকত হায়দরাবাদ। লখনউয়ের সফলতম বোলার অধিনায়ক ক্রুণাল। তিনি ২৪ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন যুধবীর সিংহ, আবেশ খান, যশ ঠাকুর এবং অমিত মিশ্র। শেষ দিকে পুরান যে ইনিংস উপহার দিলেন সেটা মনে থাকবে অনেক দিন। ক্যারিবিয়ান তারকার এই ছন্দ দেখে নিশ্চিন্ত হবে গৌতম গম্ভীর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।