FIFA-র সংবিধান মেনে চলতে হবে যে কোনও ফুটবল খেলিয়ে দেশকে। নিয়মে নড়চড় হলে ফিফা যে কোনো দেশকে কড়া শাস্তি দিতে পারে। কারণ বিশ্ব ফুটবলে তারাই সর্বেসর্বা। তাদের চ্যালেঞ্জ করবে কে!
তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের জন্য ভারতকে নির্বাসিত করেছে ফিফা। ফিফার এমন কড়া শাস্তি ভারতীয় ফুটবলকে পিছিয়ে দিল আরো কয়েক বছর। আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে সুনীল ছেত্রীদের। ফিফার নিয়ম না মানায় এমন শাস্তি কি একটু বেশি কঠিন হয়ে গেল না!
advertisement
এর আগে ইরাক, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, বসনিয়া, কুয়েতের মতো দেশগুলিকে ব্যান করেছে ফিফা। কারণ তারাও ফিফার সর্বনেশে নিয়ম মানেনি। তবে ফিফা নিজে কি সংস্থা হিসেবে একেবারে দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ? একেবারেই নয়।
advertisement
advertisement
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামত সংস্থার গায়ে কাদা লেগেছে বারবার। ফিফার প্রাক্তন সভাপতি সেপ ব্লাটার তো সংস্থাটিকে নিজের পরিবারের সম্পত্তি বানিয়ে ছেড়েছিলেন। ২০ বছর ধরে তিনি ফিফার প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্বে ছিলেন। আর এই সময় কেচ্ছার শেষ ছিল না।
advertisement
ফিফা প্রেসিডেন্ট শেপ ব্লাটার ও উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত প্লাতিনি ছিলেন ব্লাটারের পরামর্শদাতা। ২০১১ সালে প্লাতিনি হঠাত্ করেই দাবি করে বসেন, ব্লাটার তাঁকে প্রাপ্য অর্থ দেননি। এদিকে ফিফার হিসেব জানিয়ে দেয়, প্লাতিনিকে বকেয়া মেটানো হয়েছে। মামলা গড়ায় কোর্টে। এখনও সেই মামলার তদন্ত চলছে।
advertisement
সাতের দশকে ফিফা অফিসের পুননির্মান ও ৩৪টি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি ধরা পড়েছিল। জুরিখে ফুটবল জাদুঘর বানানোর জন্য একটি সংস্থাকে নিয়োগ করেছিলেন ব্লাটার। সেই কোম্পানির নিয়োগ ও আর্থিক লেনদেনে সন্দেহজনক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও ২০১৭ সালে পর্তুগালের মহিলা ফুটবলার হোপ সোলো অভিযোগ করেন, ব্লাটার ভরা মঞ্চে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছিলেন।