#গোয়া: শেষ ম্যাচে ওড়িশা দেখিয়ে দিয়েছিল এই এটিকে মোহনবাগান দলের দুর্বলতা। সে দিন রয় কৃষ্ণর ব্যক্তিগত দক্ষতা জয় এনে দিয়েছিল সবুজ মেরুন শিবিরকে। কিন্তু রোজ কৃষ্ণের বাঁশি বাজবে এমন গ্যারান্টি নেই। সোমবার যেমন ঘটল তিলক ময়দানে। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে হেরেই বসল অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের দল। জয়ের নায়ক জামশেদপুরের ভালকিস। দু’টো গোল করলেন গতবারের সর্বোচ্চ স্কোরার। দু’টো গোলের ক্ষেত্রেই এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্স স্কুল পর্যায়ের ভুল করল।
প্রথম গোলটা হজম করার ক্ষেত্রে সন্দেশ যেমন কিছুটা দায়ী, তেমন গোলরক্ষক অরিন্দমও দায় এড়াতে পারেন না। হেড করার সুযোগ দেওয়া হল লিথুয়ানিয়ার স্ট্রাইকারকে। দ্বিতীয় গোলটার ক্ষেত্রেও বোকা বনে গেল এটিকে মোহনবাগান ডিফেন্স। কর্নার থেকে মুবাশির ফ্লিক করলে সেই বল ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভালকিস জালে জড়াতে ভুল করেননি। কোন ম্যান মার্কিং ছিল না। এছাড়াও তার একটি হেড অরিন্দম না বাঁচালে এটিকে মোহনবাগানের লজ্জা আরও বাড়তে পারত। পাশাপাশি ৮০ মিনিটে কৃষ্ণ যে গোলটা পেলেন সেটা রেফারির দান। নিশ্চিত অফসাইড। তবে জামশেদপুরের গোলরক্ষক রেহনেশ দু’টো দারুন সেভ করলেন। একবার কৃষ্ণর প্রচেষ্টা, অন্যবার মার্টিন্সের শট। জামশেদপুর মোহনবাগানের তুলনায় এ দিন অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করেছে। বুদ্ধি করে খেলেছে। শেষ দিকে মনবীর বেশ কিছু চেষ্টা করলেন, কিন্তু কাজের কাজ হল না।
একবার পাঞ্জাবি স্ট্রাইকার বক্সে বল বাড়ালেন। প্রবীর দাস সেটা নামিয়ে দিলে কৃষ্ণ হেড করার চেষ্টা করেন। কিন্তু হার ট লে বাঁচিয়ে দেন। প্রশংসা প্রাপ্য জামশেদপুরের দুই ডিফেন্ডার হার্টলি এবং এজের। এরিয়াল বলে তাঁরা এ দিন দুর্ভেদ্য ছিলেন। কোচ ওয়েন কোয়েল স্ট্র্যাটিজি নিয়েছিলেন এটিকে মোহনবাগানের মিডফিল্ড টপকে ওভারহেড বল খেলার। সেই স্ট্র্যাটেজিতে তিনি সফল। তবে এই পরাজয় চোখে আঙ্গুল দিয়ে সবুজ মেরুন শিবিরের দুর্বলতা দেখিয়ে দিল।
এ দিনও ছিলেন না ডেভিড উইলিয়ামস। প্রথম দলে এডু গার্সিয়া, ব্র্যাড ইনম্যান শুরু করেন। দু’জনেরই পারফরম্যান্স আহমরি নয়। অনেক সময় শুরুর দিকেই ধাক্কা খাওয়া ভাল। তাতে নিজেদের ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকে। এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত জয়ের হ্যাটট্রিক পাওয়া এটিকে মোহনবাগান কি একটু ছোট করে দেখেছিল প্রতিপক্ষকে? হয়তো না। কিন্তু দিনের শেষে খেলাটা ফুটবল। তাই দ্রুত এই ভুল শুধরে নিতে হবে এটিকে মোহনবাগানকে। হাবাস মেনে নিলেন নিজেদের সেরা খেলা খেলতে পারেনি তাঁর ছেলেরা। দু’টো গোল সেট পিস থেকে হজম করতে হয়েছে। তবে তিনি কাউকে দোষ দিতে চান না।
Written by - Rohan Roy Chowdhuryনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: ATK-Mohun Bagan, ISI 2020, Jamshedpur