#কলকাতা : মাথার ওপর তুলসীদাস বলরাম। বাংলার ভবিষ্যৎ ফুটবল প্রজন্মকে তৈরি করতে মাঠে নামবেন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, শিশির ঘোষ, দীপেন্দু বিশ্বাসরা। কলকাতা ময়দানে বাঙালি স্ট্রাইকারের বড়ই অভাব। বটতলায় কান পাতলে হামেশাই শোনা যায় আফসোসটা। এবার সেই আক্ষেপটাই মিটিয়ে দিতে হাতে-কলমে কাজ শুরু রাজ্য ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইএফএ-র। সবটাই সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। তাই বাঙালি স্ট্রাইকারের আকাল সত্যিই মিটলে ময়দানের ঋণী থাকবে মুখার্জি সাহেবের কাছে।
বাংলায় স্ট্রাইকারের অভাব। বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, শিশির ঘোষ, দীপেন্দু বিশ্বাসদের উত্তরসূরী উঠে আসছে না। স্ট্রাইকিং ফোর্সে ময়দানের ক্লাবগুলোর ভরসা বলতে সেই বিদেশি স্ট্রাইকাররা। বাংলা থেকে তরুণ স্ট্রাইকার তুলে আনতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য ফুটবল সংস্থা। শুধু স্ট্রাইকারদের জন্যই আলাদা অ্যাকাডেমি খোলার পরিকল্পনা। রূপরেখা প্রায় তৈরি। অ্যাকাডেমি খোলার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সোমবার প্রাক্তন ফুটবলার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, দীপেন্দু বিশ্বাস, সঞ্জয় মাঝিদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।
বৈঠকে দীপেন্দু বিশ্বাসের মতো প্রাক্তনরা অ্যাকাডেমিতে সব পজিশনের ফুটবলার রাখারই পরামর্শ দেন। তবে সব পজিশনের ফুটবলারদের মধ্যে থেকে স্ট্রাইকার তুলে আনার দিকেই বেশি ফোকাস দিতে চান প্রাক্তন ফুটবলাররা। প্রাক্তনদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্ট্রাইকার অ্যাক্যাডেমি নিয়ে পরিকল্পনায় কিছুটা বদল আনতে হচ্ছে রাজ্য ফুটবল সংস্থাকে। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুজোর পরই চালু হয়ে যেতে পারে এই অ্যাকাডেমি। প্রাথমিকভাবে ২০-৩০ জনকে নিয়ে অনূর্ধ্ব ১৭ স্তরে অ্যাকাডেমি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে আইএফএ-র। কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও থাকবে অ্যাকাডেমির শাখা।
অ্যাকাডেমির পরামর্শদাতার ভূমিকায় থাকছেন কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম। কোচের তালিকায় বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, শিশির ঘোষ, দীপেন্দু বিশ্বাস, সঞ্জয় মাঝি, রহিম নবির মত ময়দানের প্রাক্তন তারকারা। এদের অধীনে থাকবেন বি আর সি লাইসেন্স কোচেরা। দু-এক বছরের মধ্যেই অ্যাকাডেমি থেকে ভালো মানের স্ট্রাইকার তুলে আনার ব্যাপারে আশাবাদী আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।
PARADIP GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Dipendu Biswas, Football, Kolkata