#কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের রেষারেষি, টানটান আকচা-আকচি নিয়ে গল্পের শেষ নেই বটতলায়। সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও দুই ক্লাবের সমর্থকদের টক্কর চলতেই থাকে। তবে এই সময়টা সেই রেষারেষি যেন কিছুটা স্তিমিত। ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল-এ না থাকাটা আদতে ফুটবলের ক্ষতি বলেই মনে করছেন বাগান কর্তারা।
মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু ও অর্থ-সচিব দেবাশিস দত্ত জানান, "আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গলের না থাকাটা ভারতীয় ফুটবলের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। ইস্টবেঙ্গল ছাড়া মোহনবাগানের অস্তিত্ব সঙ্কটে।" এবারের মত আইএসএল-এর দরজা যে ইস্টবেঙ্গলের জন্য বন্ধ, সেটা ঠারে ঠরে মেনে নিচ্ছেন কট্টর লাল-হলুদ সমর্থকরাও।
অন্যদিকে, কোভিড আবহ ও বুধবার রাজ্যজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার কারণে ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠান এবার পুরোপুরি ভার্চুয়াল। প্রয়াত সচিব অঞ্জন মিত্রের স্মৃতিতে এই বছর থেকে তাঁর নামাঙ্কিত ক্রীড়া প্রশাসকের সম্মান দেবে মোহনবাগান। প্রথম বার এই সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়কে।
আইএফএ-এর সঙ্গে মোহনবাগানের সংঘাত ময়দানের বরাবরের চেনা ট্রেন্ড। বছর কয়েক আগে তো আইএফএ-র বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল প্রীতির অভিযোগ তুলে ডার্বি পর্যন্ত বয়কট করেছিল মোহনবাগান। জয়দীপ মুখোপাধ্যায় আইএফএ সচিব হয়ে আসার পর পরিস্থিতির বদল হয়। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান সহ সব ক্লাবকে নিয়ে ময়দানের ব্লুপ্রিন্ট সাজান জয়দীপ। মোহনবাগান অর্থ-সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, "বাংলার ফুটবলের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে যে ভাবে কাজ করছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায় তাতে অন্য নাম ভাবনায় আসেনি। তবে অঞ্জনদার নামে যেহেতু সেরা ক্রীড়া প্রশাসকের সম্মান দেওয়া হবে, ভবিষ্যতে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের নাম বিবেচনার মধ্যে থাকবে।"
এই বছর মোহনবাগান রত্নে ভূষিত হবেন প্রাক্তন অলিম্পিয়ান গুরুবক্সং সিং ও প্রাক্তন ক্রিকেটার পলাশ নন্দী।
PARADIP GHOSH