শেষ মুহূর্তে রয় কৃষ্ণর গোল, জয়ের হ্যাটট্রিক এটিকে মোহনবাগানের

Last Updated:

মানতেই হবে হাবাস যেভাবে দলকে মোটিভেট করে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বের করে নিয়ে গেলেন তাতে পরিষ্কার তিনি কেন দুই বারের চ্যাম্পিয়ন কোচ।

#গোয়া: রাখে হরি মারে কে? এই প্রবাদটা সামান্য পরিবর্তন করে নিতে পারেন এটিকে মোহনবাগান সর্মথকরা। স্লোগান হওয়া উচিত রাখে কৃষ্ণ মারে কে? সবুজ মেরুন ব্রিগেডের গোলমেশিন এদিন প্রায় ড্র হওয়া ম্যাচ দলকে জিতিয়ে দিলেন। ৪ মিনিট অতিরিক্ত সময় দিয়েছিলেন রেফারি। শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষা। মাঝমাঠের কিছুটা ওপর থেকে ফ্রিকিক পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। তিরির তোলা বল ওড়িশা বক্সে পড়ার আগে ডানদিক থেকে সন্দেশ সেটা মাথা দিয়ে নামিয়ে দিলেন। প্রথম পোস্ট দিয়ে শিকারির মত হেড করে লক্ষ্যভেদ রয় কৃষ্ণর। এদিন দুটো দলের মধ্যে পার্থক্য বলতে ছিল শুধু এই গোলটা। প্রায় আটকে যেতে বসেছিল এটিকে মোহনবাগান।  যাদের আটকাতে ওড়িশার কোচ দারুণ ট্যাকটিকস নিয়েছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কোচিং করার সময় ওড়িশা কোচ স্টুয়ার্ট বাক্সটার তাঁর বিপক্ষে একবার জিতেছিলেন, অন্যবার ড্র হয়েছিল ম্যাচ। সাধারণত এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল অ্যান্টোনিও লোপজ হাবাস যে পদ্ধতিতে বিপক্ষকে ঘায়েল করেন, অর্থাৎ প্রথমদিকে প্রতিপক্ষকে খেলতে দেন, পরে নিজেদের গেমপ্ল্যান পাল্টে আক্রমণ তুলে আনেন, আজ ওড়িশা ঠিক এই পন্থা নিয়েছিল। অর্থাৎ কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা। এই ম্যাচে এডু গার্সিয়া নেই জানাই ছিল। কিন্তু টিম লিস্ট ডেভিড উইলিয়ামসের নাম ও থাকবে না বোঝা যায়নি। ৩-৫-২ পরিচিত ফর্মেশন ধরে মাঠে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। ওড়িশার ডিফেন্সে টেলর এবং আলেকজান্ডার প্রায় রক অফ জিব্রাল্টার হয়ে দাড়ালেন। ৩৫ মিনিটের মাথায় তাঁদের জোনাথন সহজ হেড মিস না করলে ওড়িশা গোল পেলেও পেতে পারত।
advertisement
তবে ৪৯ মিনিটের মাথায় প্রবীর দাসকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিলেন হেনরি অ্যান্টনি। রেফারি পেনাল্টি দিলে কিছু বলার ছিল না। ওড়িশার দুই ব্রাজিলীয় মার্সেলিনো এবং মরিসিও বল পেলে পাল্টা আক্রমণ তৈরি করছিলেন। ওড়িশার নন্দ, প্রেমজিৎ দারুণ খেললেন। অরিন্দমকে কয়েকবার সেভ করতে হয়। মোহনবাগানের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে প্রবীর প্রচুর ওয়ার্কলোড নিলেন ডানদিক থেকে। ৬৫ মিনিটের মাথায় জয়েশ এবং মনবীরকে তুলে নিয়ে নামানো হয় ব্র্যাড এবং গ্লেন মার্টিনসকে। ব্র্যাড যেটুকু সময় ছিলেন চেষ্টা করলেন। ওড়িশা শেষের দিকে নামাল অনুইকে।
advertisement
advertisement
তবে মানতেই হবে হাবাস যেভাবে দলকে মোটিভেট করে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বের করে নিয়ে গেলেন তাতে পরিষ্কার তিনি কেন দুই বারের চ্যাম্পিয়ন কোচ। সবুজ মেরুন শিবিরের এই জয়ের ফলে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেল। লিগ টেবিলে সবার ওপরে উঠে এল তারা। ম্যাচ শেষে কৃষ্ণ জানালেন বেশ কঠিন ম্যাচ ছিল। তার উপর ওড়িশা প্রেসিং ফুটবল খেলে। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সুফল পেলেন তারা। এ দিনের গোল দেখিয়ে দিয়ে গেল এটিকে মোহনবাগানের সেটপিস দক্ষতা কতটা। গোল করতে পেরে খুশি, কিন্তু এই জয়ের কৃতিত্ব দলের সকলকে দিতে চান ফিজির স্ট্রাইকার।
advertisement
Rohan Roy Chowdhury
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
শেষ মুহূর্তে রয় কৃষ্ণর গোল, জয়ের হ্যাটট্রিক এটিকে মোহনবাগানের
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement