কেরিয়ারে সবচেয়ে বেশি অটোগ্রাফ দিলেন বাংলার নায়ক

Last Updated:

কে এল রাহুলদের বিরুদ্ধে রনজি সেমিফাইনালে ৫ উইকেট। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের নায়ক ঈশান পোড়েল। অশোক দিন্দার পরামর্শে সাফল্য পেয়ে?

#কলকাতা : ১ লা মার্চ ২০২০। এই দিনটার কথা হয়তো সারা জীবন ভুলতে পারবেন না ঈশান পোড়েল। বাংলা রয়েছে রঞ্জি সেমিফাইনালে খেলতে খেলতে রবিবার শতাধিক অটোগ্রাফ দিতে হয়েছে। কে এল রাহুল নয়, ইডেনের L  ব্লকের সামনে ফিল্ডিং করার সময় ঈশানকে অটোগ্রাফ চেয়ে একের পর এক খাতা কাগজ বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন সর্মথকরা। পড়ন্ত বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় তাই নস্টালজিক কর্নাটকের বিরুদ্ধে৫ উইকেট ঈশান পোড়েল। মাত্র কয়েক বছর আগে এই ব্লকে বসে এরকম এক রঞ্জি ম্যাচে লক্ষ্মী, মনোজদের জন্য গলা ফাটিয়ে ছিলেন আজকের নায়ক।
রনজি সেমিফাইনাল শুরু হওয়ার আগের রাত। আচমকা একটা ফোন পেয়ে মুখে তৃপ্তির হাসি খেলে যায় ঈশান পোড়েলের। আয়কর দপ্তরের চাকরি পাওয়ার খবরটা শুনে আত্মবিশ্বাসটা আরও বেড়ে যায় বাংলার পেসারের। সেই আত্মবিশ্বাস তাই আরো দ্বিগুণ হয়ে যায় কর্ণাটকের বিরুদ্ধে প্রথম দিন টিম হোটেলে ফেরার পর। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ফোনে ঈশানের কথা হয় অশোক দিন্দার সাথে। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বাংলা দল থেকে রঞ্জি শুরুর দিকে ছিটকে যাওয়া দিন্দা ঈশানকে বলেন "কর্ণাটকের তারকাদের দেখে না ভয় পাবি না। সঠিক লাইন-লেংথে উইকেট টু উইকেট বল করলে সাফল্য আসবে।" কর্ণাটক ইনিংসকে ১২২ রানে আটকে রেখে ঈশান পোড়েলের মুখে তাই অশোক দিন্দার কথা। ৫ উইকেট পাওয়া বলটা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ঈশান বলেন," জীবনে প্রত্যেকবার দিন্দাদার পরামর্শে সাফল্য পেয়েছি,আজও পেলাম।"
advertisement
advertisement
বাবাকে খেলা দেখতে আসতে না করেছিলেন ঈশান। তাই ছেলেকে না জানিয়ে চুপিসারে ইডেনের গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখলেন চন্দ্রনাথ পোড়েল। ছেলের সাফল্যের দিনেও চন্দ্রনাথ বাবুর একটাই প্রার্থনা বাংলা যেন ফাইনালে ওঠে। চন্দ্রনাথ পোড়েল জানান,"বাড়ির টিভিতে ম্যাচ দেখতে পাচ্ছি না। ঈশানের মা ঠাকুর ঘরে বসে শুধু প্রার্থনা করছে। আমি টেনশন নিতে না পেরে মাঠে চলে এলাম।"
advertisement
শুধু বল হাতে ৫ উইকেট নেওয়ার নয়। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সকালে প্রথম ঘণ্টায় ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি সময় ক্রিজে থাকারও রেকর্ড করেন ঈশান। অনুষ্টুপের সঙ্গে জুটি বেঁধে শেষ উইকেটে 54 রান যোগ করেন এদিনের নায়ক। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয় 312 রানে। রুকু 149 রানে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে নেমে প্রথম ওভার থেকেই আগুন ঝরাতে শুরু করেন ঈশান। ডানহাতি পেসারকে যোগ্য সঙ্গত দেন মুকেশকুমার ও আকাশদীপ। শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট তুলে কর্নাটকের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন ভারতীয় এ দলের হয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে ফেরা ঈশান পোড়েল। ক্রিজে জমে থাকা ভারতীয় তারকা কে এল রাহুলকে বাজে শট খেলতে বাধ্য করে প্যাভিলিয়নে ফেরান মুকেশ। মনীশ পান্ডের উইকেটও ছিটকে দেন তিনি। বাকি তিন উইকেট নেন আকাশদীপ।   বাংলার প্রথম ইনিংসে ৩১২ রান তাড়া করতে নেমে কর্ণাটক গুটিয়ে যায় ১২২ রানে। ১৯০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নামে বাংলা। কিন্তু টপ অর্ডারের ফের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজ হাতছাড়া মনোজদের। ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলার ব্যাটিং। স্কোরবোর্ডে ২৬২ রানের লিড। ক্রিজে সুদীপ ও অনুষ্টুপ। শূন্য রানে আউট হওয়ার পরেও নো বল হাওয়ায় বেঁচে যান রুকু। তৃতীয় দিন আরও লিড বাড়াতে না পারলে সমস্যায় পড়তে পারেন ঈশ্বরণরা। ঈশান পোড়েল তাই বলেন, "কর্ণাটককে কম রানে আউট করার পরও দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় টেনশনটা থেকেই যাচ্ছে।"
advertisement
ERON ROY BURMAN
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
কেরিয়ারে সবচেয়ে বেশি অটোগ্রাফ দিলেন বাংলার নায়ক
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement