#কলকাতা: গত ৩০ বছর ধরে কলকাতা ময়দানের ফুটবলের সঙ্গে তিনি যুক্ত। কিন্তু বহু ফুটবলারের জন্মদিন অথবা বিয়েতে নিমন্ত্রিত হলেও এত বড় সম্মান পাননি তিনি। ডুরান্ড কাপ ফাইনালের আগে লজেন্স মাসিকে ( যমুনা দাস) বিশেষ সম্মান জানাল সুনীল ছেত্রীর ক্লাব বেঙ্গালুরু এফসি। নিজেদের পাঁচতারা হোটেলে ডেকে ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচয় করানো হল। জার্সি তুলে দেওয়া হল।
তারপর ফুটবলারদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেলেন যমুনা। জাতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী তার সম্পর্কে বক্তব্য রাখলেন। লজেন্স মাসিকে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম থেকে দেখে এসেছেন সুনীল। তাই যেভাবে যমুনা দাস ফুটবলারদের সমর্থন করে এসেছেন এবং খেলাটাকে ভালোবেসে এসেছেন, তার জন্য তাকে স্যালুট জানালেন সুনীল।
বাংলার প্রবীর দাস অথবা হীরা মন্ডল লজেন্স মাসিকে আগে থেকেই চেনেন। সন্দেশ, গুরপ্রীতরা এসে তাকে নমস্কার করলেন। যমুনা দাস জানালেন এরকম সম্মান এবং ভালোবাসা এর আগে পাননি। তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। ময়দানের সব ফুটবলার তার ছেলে। অতীতের ফুটবলাররা দাদা অথবা ভাই।
advertisement
advertisement
For decades, she's the one with all the sweets at the Salt Lake. Default mother to so many footballers. Iron voice, softest heart. Jamuna 'Lozenge Maashi' Das is every bit a legend of #IndianFootball. For all the love she's given, we wanted to give back just a little ♥️ #WeAreBFCpic.twitter.com/HZYEuMYTmn
অনেক ফুটবলার তাকে অতীতে আর্থিক সাহায্য করেছেন। এখনও করেন। সুনীল জানালেন যমুনা দাসের মত বিরল চরিত্র আজকাল খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। এরাই প্রকৃত ফুটবলপ্রেমী। লজেন্স মাসির জীবন দুই ভালবাসাকে ঘিরে, প্রথমটা তাঁর স্বামী দ্বিতীয়টা ইস্টবেঙ্গল।
করোনা অতিমারীর আগের বছর হারিয়েছেন স্বামীকে। এরপর থেকে বন্ধ ছিল ময়দানের খেলা। মাঠের সঙ্গেই যাঁর হৃদয়ের সম্পর্ক। আসল নামে চিনলেও ময়দানে যাকে লজেন্স মাসি বা লজেন্স দিদি বলে এক নামে চেনে। গড়ের মাঠ থেকে যুবভারতী, সেখান থেকে শহর পেরিয়ে বারাসত, কল্যাণী অথবা শিলিগুড়ির স্টেডিয়াম, অবাধ যাতায়াত তাঁর।
advertisement
তা সে ইস্টবেঙ্গল হোক, মোহনবাগান-মহমেডান কিংবা অন্য দলের সমর্থক বা কর্মকর্তা। যাঁদের সঙ্গে নিয়মিত ময়দানি ফুটবলের যোগাযোগ, তাঁদের মধ্যে একবার অন্তত তাঁর কাছ থেকে লজেন্স কিনে খাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আগরপাড়ায় তাঁর বাড়িতে এখন নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।
ব্যাংকে স্বল্প কিছু জমানো আছে। কট্টর ইস্টবেঙ্গল সমর্থক হলেও তাঁকে ভালবাসেন মোহনবাগান এবং মহামেডানের সব কর্মকর্তারাই। তাঁর কোনও সন্তান নেই। ক্লাবের প্লেয়ার থেকে সমর্থকেরা সকলেই তাঁর সন্তানের মতো।