East Bardhaman News: ভোর থেকে রাত, ছুটে আসেন দলে দলে মানুষ! কী এমন আছে এই চায়ের দোকানে? জানলে অবাক হবেন 

Last Updated:

East Bardhaman News: নিজেই জীবনযুদ্ধে লড়ছে, তবুও এলাকার দরিদ্র, দুঃস্থ মানুষের কাছে তিনিই ত্রাণকর্তা। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহরের বাসিন্দা পাঞ্জাব।

+
পাঞ্জাব

পাঞ্জাব শেখ 

পূর্ব বর্ধমান: নিজেই জীবনযুদ্ধে লড়ছে, তবুও এলাকার দরিদ্র, দুঃস্থ মানুষের কাছে তিনিই ত্রাণকর্তা। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহরের বাসিন্দা পাঞ্জাব শেখ। গুসকরা শহরে পাঞ্জাবের ছোট্ট একটা চায়ের দোকান রয়েছে। গুসকরা বাসস্ট্যান্ডের একদম উল্টোদিকেই রয়েছে পাঞ্জাব দার চায়ের দোকান। এলাকায় সকলের কাছে খুবই জনপ্রিয় পাঞ্জাব দা। সকাল হলেই তিনি চলে আসেন তার ছোট্ট চায়ের দোকানে। তারপর সেখানেই রাত পর্যন্ত চলে দোকানদারি। শহরের বুকে একটা ছোট্ট চায়ের দোকান চালিয়েই অর্থ উপার্জন করেন তিনি। সংসার চালানোর জন্য একমাত্র উপার্জনের রাস্তা শুধু এই চায়ের দোকান। তার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী এবং মেয়ে।
সংসার চালানো থেকে শুরু করে মেয়ের পড়াশোনার খরচ সবটাই একা হাতে সামলাতে হয় পাঞ্জাব দাকে। তবে সবকিছু সামলানোর পরেও তিনি দান করেন সাধারণ মানুষকে। হ্যাঁ নিজের সংসারে অভাব থাকলেও তিনি দান করা থেকে পিছু হটেননি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকার গরীব, দুঃস্থ মানুষদের বিভিন্ন সময় নানা সামগ্রী দান করে থাকেন। পাঞ্জাব শেখ এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমিও একজন খুবই গরীব পরিবারের ছেলে। চায়ের দোকান চালিয়েই আমার সংসার চলে। আমি যদি এখান থেকে রোজগার করে আমার সংসার চালাতে পারি এবং এখান থেকে কিছু পয়সা বাঁচিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি তাহলে সেটাই আমার কাছে খুব বড় একটা পাওনা।”
advertisement
advertisement
কোনও গরীব মানুষ যদি পাঞ্জাব দার দোকানে চা খেতে আসেন তাহলে তিনি বিনামূল্যে তাকে চা খাওয়ান। এই শীতের মরশুমে নিজের টাকা থেকে প্রচুর কম্বল কিনেও তা দান করেছেন দুঃস্থ মানুষকে। এছাড়াও মুদিখানা সামগ্রী থেকে শুরু করে ওষুধ, প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সামগ্রী তিনি কিনে দিয়ে থাকেন দরিদ্র, দুঃস্থ মানুষকে। পাঞ্জাব দার কথায়, প্রায় ২৬ বছর ধরে তিনি এই কাজ ব্যক্তিগত উদ্যোগে করে আসছেন। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই পাঞ্জাব দার এই উদ্যোগকে সাধুবাদও জানিয়েছেন।
advertisement
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক খোকন বিশ্বাস বলেন, “পাঞ্জাবকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি ও বিভিন্ন সময়ে প্রচুর অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ওর এই কর্মকাণ্ডে আমরা খুবই গর্বিত।” চায়ের দোকান চালিয়ে স্বল্প রোজগার, আবার সেখান থেকেই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা। চায়ের দোকানদারের এহেন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আগামী দিনেও এইধরনের কাজ চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন পাঞ্জাব দা।
advertisement
বনোয়ারীলাল চৌধুরী 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: ভোর থেকে রাত, ছুটে আসেন দলে দলে মানুষ! কী এমন আছে এই চায়ের দোকানে? জানলে অবাক হবেন 
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement