World Environment Day: স্বপ্ন ছিল সবুজ পাহাড়ের, ‘গাছবাবা’-র ১৪ বছরের কীর্তি ভাবতে পারবেন না!

Last Updated:

World Environment Day: ২০০৯ সালে আগমন হয় সন্ত বাংলা প্রসাদের। এই ন্যাড়া পাথুরে পাহাড়ে আশ্রয় নেন তিনি। তারপর থেকে শুরু হয় পাহাড়টিকে প্রাণ দেওয়ার কর্মকাণ্ড।

+
স্বপ্ন

স্বপ্ন ছিল সবুজ পাহাড়ের, ‘গাছবাবা’-র ১৪ বছরের কীর্তি ভাবতে পারবেন না!

বাঁকুড়া: জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘মানজি দ্যা মাউন্টেন ম্যান’ আমরা দেখেছি যেখানে একজন মানুষ একা হাতে পাহাড় ভেঙে রাস্তা তৈরি করেছেন যাতে মানুষের দুর্ভোগ কাটে।
ঠিক সেইরকমই বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটির অন্তর্গত বনাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিশিন্দা পাহাড়ে রয়েছেন একজন সাধু বাবা যিনি ‘গাছবাবা’ বলেও পরিচিত। বাঁকুড়ার তপ্ত রুক্ষ্ম সূক্ষ্ম মাটিতে বিশিন্দা পাহাড় ছিল অন্যান্য ছোট ছোট টিলার মতোই একটি পাথুরে ন্যাড়া পাহাড়। ছিল না কোনও গাছপালা, ছিল না কোন প্রাণ। ২০০৯ সালে আগমন হয় সন্ত বাংলা প্রসাদের। এই ন্যাড়া পাথুরে পাহাড়ে আশ্রয় নেন তিনি। তারপর থেকে শুরু হয় পাহাড়টিকে প্রাণ দেওয়ার কর্মকাণ্ড।
advertisement
advertisement
তিল তিল করে প্রায় ১৪ বছর ধরে নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং জিতেন গড়াই এর উদ্যোগে কিছু স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় আজ গোটা পাহাড়টি সবুজ গালিচায় ঢাকা পড়েছে। ন্যাড়া ছোট্ট টিলা এখন পরিণত হয়েছে বিকেল বেলার পর্যটন কেন্দ্রে। পাহাড়ে রয়েছে নাচন চন্ডি মায়ের মন্দির। পাহাড় পরিক্রমা করতে এসে বিশিন্দা পাহাড়ের গাছ বাবার সঙ্গে অনেকেই দেখা করে যান। সেই সূত্রেই কোনরকমে নিজের খাবার জোগাড় করে দুবেলা দুই মুঠো খাবার খেয়ে পাহাড়ের রক্ষণাবেক্ষণ করছেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনের সময়ে আস্ত একটি পাহাড়ে গাছ লাগিয়ে প্রাণ দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই মানুষটা।
advertisement
আদতে বিশিন্দা গ্রামের বাসিন্দাই ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত লায়েক। সাধন ভজনের জন্য উত্তর প্রদেশ চলে যান তিনি। সেখানে গুরু ধনঞ্জয় সাউয়ের কাছে দীক্ষিত হন বাঁকুড়ার ভূমিপুত্র লক্ষীকান্ত লায়েক। পশ্চিমবঙ্গ থেকে গিয়েছেন বলে নাম হয় সন্ত বাংলা প্রসাদ। তারপর ফিরে আসেন তিনি নিজের গ্রামে। এবং আশ্রয় নেন বিশিন্দা পাহাড়ে। আপাতত একা একাই পাহাড়ে বাস করেন তিনি। গাছ লাগানোর নেশাতেই সবুজ করেছেন এই পাহাড়টিকে। ‘গাছবাবা’ জানান ” গাছ লাগানো টাই আমার ভালোবাসা, ২০০৯ সালে যখন আমি ফিরি তখন পাহাড়টি পুরোপুরি ন্যাড়া পাহাড় ছিল, আজ সেই পাহাড়টা সবুজে ঘেরা। এখন ভাল লাগে যে বহু মানুষ এই পাহাড়ে ঘুরতে আসেন। দুটো মানুষের সঙ্গে কথা হয় আমার একাকীত্ব কাটে।”
advertisement
কিন্তু বর্তমানে একটি অসুবিধার মুখে পড়েছেন তিনি। গাছ লাগানোর পরও দুর্বৃত্তরা গ্রীষ্মের গাছ কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। চলতি বছরেই প্রায় দুই থেকে তিন হাজার গাছ কাটা পড়ে বিশিন্দা পাহাড়ে। যদিও ‘গাছবাবা’ জানান এতে দমে যাবেন না তিনি। বর্ষাকালে আরও কিছু গাছ লাগানোর কথা ভেবেছেন  তিনি। তবে একা হাতে একটি সম্পূর্ণ পাহাড়ে গাছ লাগানো সম্ভব হচ্ছে না আর,  প্রয়োজন আরও লোকবলের।
advertisement
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
World Environment Day: স্বপ্ন ছিল সবুজ পাহাড়ের, ‘গাছবাবা’-র ১৪ বছরের কীর্তি ভাবতে পারবেন না!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement