Birbhum News : নিজের সৃষ্টিকে সুরক্ষিত রাখতে টোটো চালানো শিখছেন মহিলা পুলিশকর্মী

Last Updated:

তিনি পঁচিশটি মা'এর মেয়ে! তাদের কথা মাথায় রেখে টোটো চালানো শিখছেন পুলিশকর্মী!

+
টোটো

টোটো চালানো শিখছেন মহিলা পুলিশকর্মী

বীরভূম : বীরভূমের মহিলা পুলিশ কনস্টেবল ছবিলা খাতুন। নিজের উচ্চ মানসিকতা ও তার নজিরবিহীন কর্মকাণ্ডের জন্যআজ জেলাবাসীর অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে শুধু জেলার মানুষই নয়, আজ বাংলার অন্যান্য জেলার মানুষও তাকে চেনেন তার কর্মকাণ্ডের জন্য। তবে কি এমন কর্মকাণ্ড করেছেন ভাবছেন অনেকেই! মূলত সমাজ পরিবর্তনের অদম্য ইচ্ছা ও চেষ্টাই তাকে সাধারণ থেকে অসাধারণ করে তুলেছে। যেমন কিডনি নষ্ট হওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া সহকর্মীর ছেলের পড়ার দায়িত্ব নেওয়া থেকে শুরু করে নিজের শখের চার চাকা গাড়ি বিক্রি করে ‘ স্বপ্নপুরী এক্সপ্রেস ‘ তৈরিকরা। স্বপ্নপুরী এক্সপ্রেসকেট্রেন মনে হলেও এটা কোনও ট্রেন নয়। এক্সপ্রেস ট্রেনের আদলে তৈরিএকটি বৃদ্ধাশ্রম।
ছবিলা দেবীর মতে, “যারা থমকে ছিল,তারা এগিয়ে যাবে।ট্রেনে উঠে পড়লেই চলবে নিজের গতিতে। আর স্বপ্নপুরী নামের কারণ হল , যারা আসবে তাঁদের সবার স্বপ্ন পূরণ হবে। “সেই স্বপ্নপূরী এক্সপ্রেসেআজ অসহায় মা’এরসংখ্যা ২৫ জন। যদিও এখন তাঁদের আর অসহায় বলা যায়না। কারণ, মায়েদের মতে , “এখন তাদের জন্য সর্বদা সহায় তাঁদের মা ছবিলা। “এমনকি বৃদ্ধাশ্রমের মায়েরা এখন স্বপ্নপুরীকে ভালোবেসে বলেন স্বর্গপুরী।
advertisement
advertisement
২৫ জন মাকে নিয়ে ছবিলার সেই স্বপ্নপুরী এক্সপ্রেস চলছিল দ্রুতগতিতেই। কিন্তু হঠাৎই দিন কয়েক আগে বৃদ্ধাশ্রম এর একজন আবাসিক মাথা ঘুরে পড়ে যান। আর তারপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি টোটো ডাকা হলেও সেই ডাকে সাড়া দেয়নি কোনওটোটোওয়ালা। স্বাভাবিকভাবেই দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণে কিছুটা ব্যাহত হয় তার চিকিৎসা। আর এরপরেই বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের জন্য একটি টোটো কেনার সিদ্ধান্ত নেন ছবিলা খাতুন। কিন্তু কিনব বললেই তো আর হবে না, কিনতে গেলে লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। এদিকে বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করে জমানো পুঁজিও সব প্রায় শেষ।তাই কার্যত বাধ্য হয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় টোটো কেনার কথা জানিয়ে আর্থিক সাহায্যের জন্য পোস্ট করেন। কিন্তু সেই পোস্ট অনেকেই দেখে এড়িয়ে চলে গেছেন কেউ সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেননি।
advertisement
কিন্তু কথায় আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। আর হলও সেটি। ছবিলা দেবীর কাছে টোটো কেনার কথা শুনে আর্থিক সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন এলাকারই একজন কাঠমিস্ত্রি নূর আলম মিয়া। নিজের মেয়েদের বিয়ের জন্য জমানো পুঁজি ভেঙেই কিনে দেন লাখ টাকার টোটো। কিন্তু টোটো কেনার পরেও যে নিশ্চিন্ত হতে পেরেছেন ছবিলা দেবী এমনটা নয়। কারণ, হঠাৎ প্রয়োজন হলে টোটো নিয়ে যাবে কে! আবারওকি তাহলে কোনও জরুরী পরিস্থিতিতে পরনির্ভরশীল হতে হবে ? এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎই তার মাথায় আসে, নিজে টোটো চালানো শিখলে কেমন হয়।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
যেমন ভাবা তেমন কাজ। তাই কারোর ওপর ভরসা না করে এখন নিজেই টোটো চালানো শিখছেন ছবিলা খাতুন। আর শিক্ষকের ভূমিকায় রয়েছেন কাঠমিস্ত্রি নূর আলম মিঞা।
সৌভিক রায়
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Birbhum News : নিজের সৃষ্টিকে সুরক্ষিত রাখতে টোটো চালানো শিখছেন মহিলা পুলিশকর্মী
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement