হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
সাপের ছোবলের পর চলল ঝাড়ফুঁক ! মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মহিলা

সাপের ছোবলের পর চলল ঝাড়ফুঁক ! মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মহিলা

বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার অন্তর্গত মুকসিম পাড়া পঞ্চায়েতের কুবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা শমনী মুর্মু। বিকেলে তিনি কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন। সেসময় তাঁকে সাপে ছোবল দেয়।

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: ফের কুসংস্কারের বলি হলেন এক মহিলা। বিষধর সাপ ছোবল মেরেছিল তাকে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা গেলে তাকে বাঁচানোর সম্ভাবনা ছিল যথেষ্টই। কিন্তু তা না করে প্রথমেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে তাকে নিয়ে যাওয়া হল ওঝার ঘরে। দীর্ঘক্ষন ধরে ঝাড়ফুঁক চলল। অবশেষে ওই মহিলার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাকে নিয়ে যাওয়া হল কালনা মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে পরে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে এমনই ঘটনা ঘটেছে।

পূর্বস্থলী থানার অন্তর্গত মুকসিম পাড়া পঞ্চায়েতের কুবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা শমনী মুর্মু। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন। সেসময় তাঁকে সাপে ছোবল দেয়। পরিবার পরিজনেরা তাঁকে সেখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি উদ্ধারও করেন। কিন্তু এর পরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। নানান ভাবে ঝাড়ফুক চলে সেখানে। এর পরেই অবস্থার অবনতি হলে কালনা মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। বুধবার ভোর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

চিকিৎসকরা বলছেন, সাপের ছোবলে অসুস্থ মহিলাকে যত শীঘ্র সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে আসা জরুরি। সেখানে ইনজেকশন দিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু তা না করে অনেকেই এখনও কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করছেন এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। ওঝার কাছ থেকে ফিরে যখন তাঁকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে তখন আর চিকিৎসা করার মতো সময় অবশিষ্ট থাকছে না। বিষ ততক্ষণে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অঙ্গ অকেজো করে ফেলছে। তাই বাসিন্দাদের এই বিজ্ঞানের যুগেও সচেতন করার প্রয়োজন থেকেই যাচ্ছে। এজন্য পিছিয়ে পড়া গ্রামগুলিতে ধারাবাহিকভাবে সচেতনতা মূলক প্রচার চালানো জরুরি। সেইসঙ্গে ওঝা বা গুণিনের কাজ যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ঝাড়ফুঁক বন্ধ করা গেলে অনেকেরই প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।

শরদিন্দু ঘোষ

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Bardhaman