ফরাক্কা বর্ষা শুরু হতেই ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে গঙ্গা ভাঙ্গন । শনিবার নৌকায় করে ফারাক্কার আঁকুড়া ব্রিজ থেকে শুরু করে অর্জুনপুর পর্যন্ত ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। ফারাক্কার চরহোসেনপুর, কুলদিয়ারচরে ভাঙ্গন বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কুলিয়ারচরে বালির বস্তা দিয়ে কাজ করার জন্য এলাকার মানুষজন ক্ষোভ দেখান মন্ত্রীকে। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, প্রত্যেকবারই বছরখানেক আগে জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ শুরু হয়। শুরু হয়েছে সেই কাজ পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই ১২ কোটি টাকার একটি স্কিম পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিসভায় সেই টাকা অনুমোদন পেয়ে গেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে সামশেরগঞ্জ ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে এসে ক্ষোভের মুখে পড়েন কংগ্রেসের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। ভাঙ্গন কবলিত শামসুর গঞ্জের ধানঘরা, হীরানন্দপুর সহ একাধিক এলাকায় তিনি পরিদর্শন করেন। গত বছর থেকেই এই এলাকায় ভাঙ্গনে প্রায় শতাধিক বাড়ি তলিয়ে গেলেও এখনও পুনর্বাসন পায়নি তারা। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাংসদকে দেখে। গ্রামবাসী সুরোজ সেখ বলেন, সরকারের পুনর্বাসন দেয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত তা কাগজ-কলমে থেকে গেছে। মানুষজনকে খোলা আকাশের নিচেই কাটাতে হচ্ছে। ভাঙ্গন রোধ এর কাজও হচ্ছে না স্থায়ীভাবে।
সংসদ আবু হাশেম খান চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রে যখন কংগ্রেস সরকার ছিল, তখন ভাঙন রোধের কাজ খুব ভালোভাবে হয়েছিল। এখন কেন্দ্র ও রাজ্য কেউ কোন কাজ ভালোভাবে করছে না। সংসদে এই বিষয়টিকে তুলে ধরবো। জঙ্গিপুরের তৃণমূলের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, কেন্দ্র সরকার কোনরকম সহযোগীতা করছে না । সংসদে আমি বলেছি।ফরাক্কার বেশ কিছু এলাকায় গঙ্গা ভাঙ্গন পরিদর্শন করার পর ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল মেনেজার সাথে দেখা করতে যান রাজ্যের সেচদফতরের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ একাধিক বিশিষ্টজন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।