West Medinipur News: ৬৭ জনের মধ্যে বাড়ি ফিরিয়েছে ৪২ জনকেই! বাকিদের চলছে বিশেষ প্রশিক্ষণ! বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাদের গর্বের এই হোমের কপালে এবার জুটল সরকারি পুরস্কার

Last Updated:

নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রীর হাত থেকে পেল পুরস্কার

+
মন্ত্রীর

মন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিশেষভাবে সক্ষম বালিকাদের জন্য গড়ে ওঠে একটি হোম। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় দাঁতন মানবকল্যাণ কেন্দ্রের উদ্যোগে এই হোমে থাকেন একাধিক মানসিক ভারসাম্য হারানো অথবা কোনভাবে পরিবার বিচ্ছিন্ন হওয়া বালিকা ও কিশোরীরা। তাদের রেখে চিকিৎসা, পড়াশোনা এমনকি স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া হয় এই হোমের তরফে। একজন বালিকা দিয়ে শুরু এই হোমে বর্তমানে ২৪ জন বালিকা পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ পায়। বেশ কয়েক বছর ধরে এই কাজ করে আসছে প্রান্তিক এলাকার এই বালিকা আবাস। শুধু তাই নয়, এই হোমের উপর ভরসা রেখেছে জেলা প্রশাসন থেকে রাজ্য প্রশাসন। তবে এবার ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মিলেছে পুরস্কার।
রাজ্য শিশু সুরক্ষা দিবস পালন মঞ্চ থেকে মানবকল্যাণ কেন্দ্র পরিচালিত যমুনা বালিকা আবাস পেল ‘শ্রেষ্ঠ শিশু আবাস পুরস্কার ২০২৫’। কলকাতা রবীন্দ্র সদনে মনের কথা কই শীর্ষক শিশু সুরক্ষা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা আইনের পক্ষ থেকে দাঁতন মানবকল্যাণ কেন্দ্রের হাতে পুরস্কার তুলে দেন নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও চেয়ারপারসন তুলিকা দাস। এই প্রতিষ্ঠানের ভাবনা, বালিকা ও কিশোরীদের সযত্নে বড় করে তোলা এবং তাদেরকে স্বনির্ভর করার এই উদ্যোগকে প্রশংসিত করেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগ। রাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায় রয়েছে এই যমুনা বালিকা আবাস। এই পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত সকলে।
advertisement
advertisement
২০০২ সাল থেকে শুরু হয়েছে দাঁতন মানব কল্যাণ কেন্দ্র। দাঁতনের কৃষ্ণপুর এলাকায় গড়ে ওঠা এই কেন্দ্র বিশেষভাবে সক্ষম বালিকাদের জন্য গড়ে তোলে যমুনা বালিকা আবাস। বর্তমানে ২৪ জন বালিকা হোমে থেকে পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ পায়। রয়েছেন ১৪ জন কর্মী। যারা শুধু হোম পরিচালনা করা নয় বালিকাদের প্রশিক্ষণ স্বাস্থ্যের খেয়াল এবং শিক্ষার বিষয়ও দেখভাল করেন। এই হোমে থাকতে পারবেন প্রায় ৫০ জন, সেই পরিকাঠামো রয়েছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বালিকাদের বিভিন্নভাবে উদ্ধার করে জেলার অন্যান্য হোমের পাশাপাশি এই হোমে পাঠায় প্রশাসন। তবে শ্রেষ্ঠ শিশু আবাস পুরস্কার পাওয়ায় উৎসাহ ও দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কেন্দ্রের কাজেও সন্তুষ্ট রাজ্য প্রশাসন। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত এই হোমে মোট ৬৭ জন শিশু ভর্তি হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪২ জনের আধার কার্ডের সূত্র ধরে বা অন্য কোনভাবে বাড়ির ঠিকানা খুঁজে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নির্দিষ্ট সময়ে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই বালিকা ও পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে খোঁজখবর নেয় হোম কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও হোমে থাকা অন্যান্য আবাসিকদের স্বনির্ভরের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় বেশ কয়েকজন দিয়েছে মাধ্যমিক, এখনও বেশ কয়েকজন পড়াশোনা করছে। এছাড়াও তাদের নৃত্য, যোগব্যায়াম এবং অঙ্কনেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রদান মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে হোমের মেয়েরা। স্বাভাবিকভাবে জেলার গর্ব এই হোম। দায়িত্ব, নিষ্ঠা ও কর্তব্য এনে দিয়েছে সম্মান। খুশি সকলে।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Medinipur News: ৬৭ জনের মধ্যে বাড়ি ফিরিয়েছে ৪২ জনকেই! বাকিদের চলছে বিশেষ প্রশিক্ষণ! বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাদের গর্বের এই হোমের কপালে এবার জুটল সরকারি পুরস্কার
Next Article
advertisement
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
  • এসএসকেএমে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ নাবালিকাকে

  • ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শৌচাগারে!

  • অভিযুক্ত গ্রেফতার

VIEW MORE
advertisement
advertisement