Bangla Video: যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের ভিটেমাটি রক্ষা করতে এগিয়ে এল গ্রামবাসীরা

Last Updated:

Bangla Video: এলাকায় যতিন্দ্রমোহন স্মৃতি রক্ষা কমিটি প্রায় ১১ বছর ধরে চেষ্টা করে চালিয়ে সমাজের সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের সহযোগিতায় অবশেষে সামান্য একটি অংশ তার মূর্তি প্রতিস্থাপনের জন্য ফিরিয়ে আনতে সমর্থ্য হন

+
কবি

কবি যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের আবক্ষ মূর্তি

নদিয়া: কবি যতিন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত নামটা কারোর কাছেই অজানা নয়! বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনায় হলেও তার শৈশব কাটে শান্তিপুরের হরিপুর অঞ্চলে তাদের নিজস্ব ভিটা জমি বাড়িতে। শুধু তাই নয় তার পরবর্তীকালে তার বাবা এবং তার উত্তরসূরি অনেকেই এখানে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী কালে পরিবার সদস্যরা কাজের সুবাদে এবং অবৈষয়িক হওয়ার ফলে একটা সময়ে চলে যান, শান্তিপুরের বিভিন্ন চর এলাকায় বর্ষার সময় জল উঠে যাওয়ার কারণে দুটি পরিবার ওই বাড়িতে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে থাকার অনুরোধ জানান, মহৎ এবং উদার মানসিকতার জন্য তা মঞ্জুর করে পরিবার সদস্য এরপর বহুদিন তারা কেউ যোগাযোগ রাখতে পারেননি আর এই সুযোগে আশ্রিত ওই দুই পরিবার নানান উপায়ে সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ এবং অন্যান্য ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র বিক্রি করে দেন, এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে দীর্ঘদিন ধরে।
এই ব্যাপারে প্রশাসনিক মহল থেকে যখন বিডিও, পঞ্চয়েত প্রধান যে যখন দায়িত্বে থাকে প্রত্যেকেই সারা বাংলা খ্যাত কবি যতিন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত তার কাজলা দিদি সহ, হাট ইত্যাদি বিভিন্ন কালজয়ী কবিতা যিনি উপহার স্বরূপ দিয়ে গেছেন আমাদের সকলকে, তার শৈশবের স্মৃতি এই জায়গা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু একাধিক জমিজটের কারণে বেশিরভাগ জমি দখলে চলে যায়। তবে এলাকায় যতিন্দ্রমোহন স্মৃতি রক্ষা কমিটি প্রায় ১১ বছর ধরে চেষ্টা করে চালিয়ে সমাজের সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের সহযোগিতায় অবশেষে সামান্য একটি অংশ তার মূর্তি প্রতিস্থাপনের জন্য ফিরিয়ে আনতে সমর্থ্য হন। তবে তাদের এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন বেশ কিছু মানুষজন এবং কবির গুণমুগ্ধদের ইচ্ছা অনুসারে ওই এলাকায় একটি সংগ্রহশালা এবং লাইব্রেরী তৈরি করার ইচ্ছাও রয়েছে।
advertisement
advertisement
স্মৃতি কমিটির পক্ষ থেকে মূর্তি স্থাপনের জন্য সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্ট দেখে যোগাযোগ করেন কাঁচড়াপাড়া থেকে আগত শুভ্র কান্তি সেনগুপ্ত তিনি কবি যতিন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত এর নাতি বলে দাবি করেন। এবং তিনি কথা দেন , তাদের পরিবারের বর্তমান প্রবীণ সদস্যদের সাথে কথা বলে আগামীতে জমি জট কাটিয়ে এই স্থানে লাইব্রেরিএবং সংগ্রহশালা স্থাপন করতে সচেষ্ট হবেন তবে সেক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বীরেন মাহাতো এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের সাথেও তিনি কথা বলেন । এবং ওই এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বীরেন মাহাতো জানান, কবির স্মৃতি রক্ষার্থে যদি একটি সংগ্রহশালা তৈরি হয় এবং এর পাশাপাশি যেই জায়গা গুলি দখল হয়ে গিয়েছে সেগুলিও পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bangla Video: যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের ভিটেমাটি রক্ষা করতে এগিয়ে এল গ্রামবাসীরা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement