ডাক পাচ্ছেন না প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা, নিয়োগ বিতর্ক বর্ধমান পুরসভায়

Last Updated:

এই শংসাপত্র প্রাপকদের দাবি, পুরসভার তরফে তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, বিভিন্ন ওয়ার্ডে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হলে সেখানে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। কিন্তু, তাঁদের অভিযোগ, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু হলেও তাঁদের পরিবর্তে ইচ্ছেমতো লোক ঢোকাচ্ছেন চেয়ারম্যান এবং বিধায়কেরা।

#দক্ষিণবঙ্গ: স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগে এবার অনিয়মের অভিযোগ উঠল বর্ধমানে। কাঠগড়ায় বর্ধমান পুরসভা। প্রশিক্ষিতদের বদলে বিধায়ক এবং পুরপ্রধানের ইচ্ছেমতো নিয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রশিক্ষিতরা। এ ব্যাপারে প্রার্থীরা জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে গোটা বর্ধমানজুড়ে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, গত বছরের নভেম্বর মাসে পুরসভার তরফে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুড মিশন প্রকল্পে তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণ চলাকালীন তাঁদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় ৬০ জনকে। চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরে দেওয়া হয় শংসাপত্র।
advertisement
advertisement
এই শংসাপত্র প্রাপকদের দাবি, পুরসভার তরফে তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, বিভিন্ন ওয়ার্ডে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হলে সেখানে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। কিন্তু, তাঁদের অভিযোগ, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু হলেও তাঁদের পরিবর্তে ইচ্ছেমতো লোক ঢোকাচ্ছেন চেয়ারম্যান এবং বিধায়কেরা।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, "সরকারি নির্দেশ ছাড়া আমরা কোনও নিয়োগ করতে পারি না। যাঁদের নাম সরকারি সংস্থা থেকে এসেছে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। আমাদের কিছু করার নেই।" অন্যদিকে, বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে পুরসভা নিয়োগ করেছে। পছন্দমতো লোক নিয়োগের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
advertisement
তবে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্বও শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ চলার সময় পুর প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন তৃণমূলের প্রণব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্পে প্রত্যেক ওয়ার্ডে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির কথা রয়েছে। প্রথম পর্বে বর্ধমান শহরে কুড়িটি কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই নিরিখেই স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের প্রশিক্ষণ হয়। দারিদ্র সীমার নীচে থাকা যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে না বলে শুনেছি।"
advertisement
প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের দাবি, সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়ে গেলেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাঁদের সেখানে কাজ দেওয়া হবে বলে পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল। সেই কাজের আশাতেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখন কাজ না মেলায় তাঁরা রীতিমতো হতাশ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ডাক পাচ্ছেন না প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা, নিয়োগ বিতর্ক বর্ধমান পুরসভায়
Next Article
advertisement
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব, নস্যাৎ করলেন প্রশান্ত কিশোর
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব নস্যাৎ করলেন পিকে
  • 'যখন বিহারের মানুষই রাহুল গান্ধির কথা শুনছেন না, তখন Gen Z -রা কেন তার কথা শুনবেন?' বিহার নির্বাচনী আবহে রবিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর

VIEW MORE
advertisement
advertisement