Traditional Durga Puja: সম্রাট শের শাহের দান করা জমির আয় থেকেই হয় দুর্গাপুজো! এই বনেদি বাড়ির ঠাকুরদালানে সাবেক দুর্গো‍ৎসবে দশমীতে হয় কুমারী পুজো!

Last Updated:

Traditional Durga Puja:এই পরিবারের পূর্বপুরুষ দিগম্বর ঘোষাল ছিলেন সম্রাট শের শাহের বিশ্বস্ত কর্মচারী। জি টি রোড সংস্কারের সময় ও বাংলার রাজস্ব আদায়ের জন্য দিগম্বর ঘোষালকে বাংলায় পাঠান সম্রাট শের শাহ।

+
প্রতীকী

প্রতীকী ছবি

জামালপুর, পূর্ব বর্ধমান, সায়নী সরকার: পূর্ব বর্ধমানের এই পরিবারে আজও দুর্গা পুজোর সময় স্মরণ করা হয় সম্রাট শের শাহকে। তাঁর দান করা জমির উপার্জন থেকেই হয় দুর্গাপুজো। বহুকাল পূর্বে কোলসরা গ্রামে দিয়ে প্রবাহিত হত কংসা নদী। পরিবারের বিশ্বাস, সেই নদীর পাশের কলাবাগানে এক বালিকার রূপে এই পরিবারের পূর্বপুরুষকে দর্শন দেন দেবী দুর্গা।তারপরেই পান স্বপ্নাদেশ আর সেই থেকেই প্রায় ৩৭১ বছর ধরে দেবী দুর্গা পূজিত হয়ে আসছেন ঘোষাল পরিবারে।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কোলসরা গ্রামের ঘোষাল পরিবার। এই পরিবারের পূর্বপুরুষ দিগম্বর ঘোষাল ছিলেন সম্রাট শের শাহের বিশ্বস্ত কর্মচারী। জি টি রোড সংস্কারের সময় ও বাংলার রাজস্ব আদায়ের জন্য দিগম্বর ঘোষালকে বাংলায় পাঠান সম্রাট শের শাহ। সেই সূত্রেই কংসা নদী ধরে জামালপুরে কোলসরা গ্রামে আসেন তিনি এবং সেখানেই রাত্রিবাস করেন। ওই রাতেই দেবী সিদ্ধেশ্বরী কালী স্বপ্নাদেশ দেন দিগম্বর ঘোষালকে কোলসার গ্রামে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। দেবীর সেই নির্দেশের কথা শুনে তাম্রপত্রের দানপত্র করে ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দের প্রায় ৫০০ বিঘা জমি দান করেন সম্রাট শের শাহ।
advertisement
সেই জমিতেই মন্দির গড়ে দেবীর পুজো সূচনা করেন দিগম্বর ঘোষাল। সেই থেকে এই গ্রামে বসবাস শুরু ঘোষাল পরিবারের। দেবীর ভোগেও রয়েছে বিশেষত্ব। পরিবারের সদস্য পিয়ালি ঘোষাল জানান,গঙ্গাজল দিয়েই রান্না করা হয় দেবীর ভোগ।কলাবাগানে প্রথম দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন বলে ভোগে দেওয়া হয় কলা, থোর ও মোচার বিভিন্ন পদ।এমনকি পুজোর ভোগও রান্না করা হয় গঙ্গাজলে। পুজোর আগে বড় বড় পাত্র করে গঙ্গা থেকে জল নিয়ে আসা হয় এবং সেই জলেই প্রতিদিন পুজোর ভোগ রান্না করা হয়। আজও সেই প্রথা মেনে দেবীকে ভোগ দেওয়া হয় ঘোষাল পরিবারে।এই পরিবারের প্রতিমা সাবেকি ধাঁচের। জন্মাষ্টমীতে দেবীর কাঠামোই মাটি দান করার রীতি রয়েছে। অন্যান্য জায়গায় নবমীর দিন কুমারী পুজো হলেও ঘোষাল পরিবারে কুমারী পুজো হয় দশমীতে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : পাঁচ বাড়ি ভিক্ষা করে শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো, দশভুজার সামনে ধুনোর আগুনে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ভক্তদের মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ার আনন্দ
পরিবারের সদস্যা মহুয়া ঘোষাল জানান, আগে বলি প্রথা চালু থাকলেও পরবর্তীতে তা বন্ধ হয়ে যায়। বছরের অন্যান্য সময় বিভিন্ন কাজে পরিবারের অনেক সদস্য বাইরে থাকলেও পুজো উপলক্ষে সকলেই আসেন কোলসরা গ্রামে এবং একত্রে মেতে ওঠেন দুর্গাপূজার আনন্দে।পারিবারিক পুজো হলেও গ্রামবাসীদের অংশগ্রহণে এই পুজো হয়ে উঠেছে সার্বজনীন। শত শত বছর ধরে চলে আসা এই পুজোয় একদিকে যেমন রয়েছে সম্রাট শের শাহের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তেমনই অন্যদিকে মিশে আছে পারিবারিক বিশ্বাস আর পরম্পরা। কালের প্রবাহে জৌলুস কমলেও,এই পুজোর রীতিনীতি আর গ্রামবাসীর অংশগ্রহণ আজও অটুট।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Traditional Durga Puja: সম্রাট শের শাহের দান করা জমির আয় থেকেই হয় দুর্গাপুজো! এই বনেদি বাড়ির ঠাকুরদালানে সাবেক দুর্গো‍ৎসবে দশমীতে হয় কুমারী পুজো!
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল? রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেখে নিন
উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল? রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেখে নিন
  • উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল ?

  • রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে

  • জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement