#দুর্গাপুর: প্রায় ৮০ বছর ধরে চলছে কাঁকসায় রথতলার রথ। এই রথযাত্রা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর গ্রামীণ মেলাও বসে। এই মেলার বৈশিষ্ট্য হল মাটির পুতুল। বিশেষ করে মাটির তৈরি ঘাড় নড়া দাদু । পাকা দাড়ি হাতে হুকো নিয়ে বেশ ঘাড় নড়িয়া শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় ছিল এক সময় এই মাটির পুতুল। বর্তমানে মাটি না পাওয়ায় এবং ক্রমেই হারিয়ে যেতে বসেছে এই শিল্প। তার পরিবর্তে মেলার আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কাঠের তৈরি খেলনা।
কাঁকসার রথ তলায় ৭টি মৃৎশিল্পীরা বসবাস। এক সময় মাটির তৈরি পুতুল বিক্রি করে রথের মেলায় ভালই রোজগারের মুখ দেখতোএই শিল্পীরা। বর্তমানে চাহিদা কমে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই কাঠের খেলনা বানাচ্ছেন তাঁরা। শিল্পী প্রশান্ত সূত্রধর বলেন, মেলাটি তাঁর বাবার আমল থেকে দেখে আসছেন তখন অনেক জায়গা থাকতো বেশ বড় একটা মেলা হতো। তেলে ভাজা থেকে জিলিপি সব থাকলেও মাটির পুতুলের চাহিদা ছিল বেশ। এখন মাটি সেই ভাবে পাওয়া যায় না । এছাড়াও ছোটদের কাছে মেলার সব থেকে আকর্ষণীয় যেটা ঘাড় নড়া দাদু সেটার দিকে তেমন ঝোঁক নেই তাদের ।
তার বদলে প্লাস্টিকের ছোটা ভীম, মটু পাতলু জায়গা করে নিয়েছে। ফলে এই পুতুল আগে যেমন ৫০০টিরও বেশি এক এক জন শিল্পী বানাতেন এখন জনা কয়েক শিল্পী বানান। সরকারিভাবে তেমন কোনও সাহায্যও তেমন নেই যে তারা সেটাকে টিকিয়ে রাখবে। তাই মেলার ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছেন শুধু কয়েকজন। জায়গা না থাকায় মেলার পরিসরও অনেকটাই কমে গিয়েছে। এক সময় এলাকার শিল্পীরা ছাড়াও বাইরে থেকে অনেক শিল্পী মাটির তৈরি পুতুল নিয়ে আসতেন এখন তাঁরাও আসেন না। এছাড়াও নতুন প্রজন্ম তেমন ভাবে মাটির পুতুল তৈরিতে আগ্রহ দেখায় না । ফলে আগামী দিনে এই শিল্প কি ভাবে বেঁচে থাকবে সেই নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে শিল্পীদের মধ্যে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durgapur, Ratha yatra, Ratha Yatra 2018