চন্দ্রকোনা: অনেক টালবাহানার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় শুভেন্দু অধিকারীর সভা করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা স্পষ্ট করেছেন, সভা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে বিজেপিকে। যতটা সম্ভব পুলিশ মোতায়েন করতে হবে প্রশাসনকে। বিচারপতির নির্দেশ, সভা থেকে যেন কোনও রকমের উস্কানিমূলক মন্তব্য না করা হয়। সভা করার ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছিল আরও বেশ কিছু শর্ত। এরপরই নিজের বক্তব্যে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর দাবি, ''পঞ্চায়েতে হবে, চোর, চোর, চোর, ধরো। পঞ্চায়েতে আওয়াজ তুলুন মোদিকে ২৫ আসন দেব৷ আমি বলে যাচ্ছি, আরামবাগ, ঘাটাল, তমলুক, কাঁথি আমি দেব৷ যতই হেলিকপ্টার নিয়ে ঘুরুন। এই চার আসনে আমি জিতবই, নিশ্চিত করলাম।'' বস্তুত বিধানসভা ভোটের পর থেকে এখনও পর্যন্ত নানা উপনির্বাচনে বিজেপির ভোট নিম্নগামী। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর দাবি রীতিমতো সাড়া ফেলেছে।
আরও পড়ুন: 'আমার এক ছাত্রী বান্ধবী ছিল, তাঁকে...', খেজুরিতে মমতার মুখে ভয়ঙ্কর অতীতের কথা! নিশানায় CPIM
এরপরই শুভেন্দু চলে যান বামেদের আক্রমণে। তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণ শানাতে গিয়ে উল্লেখ করেন বামেদের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও সরব হন শুভেন্দু। বলেন, ''আপনাদের গ্রামের ছেলে বারবার আসবে৷ নো ভোট টু মমতা প্রচার করবেন। কংগ্রেস টেস্টেড, রিজেক্টেড। বাম নেতারাও তাই। বাম আমলে মেধা অনুযায়ী চাকরি হয়নি৷ বাম আমলে চাকরি অনিয়ম হয়েছে। এরা চাকরি বেচেছে। এই রাজ্যে তাই ডাবল ইঞ্জিন সরকার চাই।মোদির কোনও বিকল্প নেই।''
আরও পড়ুন: ভাল নেই অনুব্রত মণ্ডল! আদালতের বাইরে যা জানালেন, দুশ্চিন্তা বাড়ল কয়েকগুণ
শুভেন্দুর সংযোজন, ''আমি তো ২০১০ সালে এখানে পুর ভোটের প্রচার করেছিলাম। আমি এখানে লড়েছি। ২০১৯ সালে বিজেপি ১৮ আসন পাওয়ার পর মাতব্বরগুলো ঘরে ঢুকে গিয়েছিল।'' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর প্রসঙ্গ তুলেও তিনি বলেন, ''আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, মমতাকে হারানোর। আমি পেরেছি। এর পরের কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করার। চোর চোর ভাগাও। তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখলেই চোর বলবেন। হাটে, বাজারে, তৃণমূল কংগ্রেস মানেই চোর।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।