#মহিষাদল: বৃষ্টি নেই, তীব্র গরমে দমবন্ধ পরিস্থিতি। কাজে বেরিয়ে রেহাই নেই সূর্যের গনগনে উত্তাপ থেকে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলেও, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মতো চোখ চেয়ে বসে আছে মানুষ। তাপপ্রবাহের গরম বাতাসে শ্বাস নেওয়া হয়ে উঠেছে দায়। মন প্রাণ জুড়ে চাইছে নির্মল ঠান্ডা বাতাস। নির্মল প্রকৃতির ঠান্ডা বাতাসে মন প্রাণ জুড়িয়ে নিতে চাইছেন সাধারণ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষজন।
গরমে উত্তরবঙ্গ হয়ে উঠেছে বেড়াতে যাওয়ার পছন্দের গন্তব্য। কিন্তু অত্যাধিক পর্যটকদের ভিড়ে ট্রেনের টিকিট পাওয়া দায়। হোটেল বুকিং-এর অবস্থাও একই রকম। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে হোটেলে বুকিং খালি নেই। এই পরিস্থিতিতে কাজের ফাঁকে সপ্তাহান্তে ঘুরে আসা যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গেঁওখালিতে। তিনটি নদীর সঙ্গমস্থল গেঁওখালি। একদিক থেকে রূপনারায়ণ, অন্য দিক থেকে হলদী এবং অপর দিক থেকে হুগলি নদী এসে মিলিত হয়েছে এই জায়গায়। ছোট ছোট মালবাহী জাহাজের যাওয়া-আসা দেখতে দেখতে ঠান্ডা হাওয়ায় মন প্রাণ জুড়িয়ে নেওয়ার জন্য আদর্শ জায়গা গেঁওখালি।
আরও পড়ুন: ইতিহাসের সাক্ষী হতে চান? গরমের ছুটিতে ডেস্টিনেশন হোক প্রাচীন বাংলার রাজধানী
দূরত্ব বা অবস্থান:
কলকাতা থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ১১৫ কিলোমিটার। মেছেদা থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ৪১ কিলোমিটার। হলদিয়া থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার।
কীভাবে আসবেন:
হাওড়া-হলদিয়া লোকালে চেপে সতীশ সামন্ত রেল স্টেশনে নেমে টোটো, অটো বা বাসে করে যাওয়া যায় গেঁওখালিতে। আবার মেছেদা থেকে হলদিয়াগামী ভায়া তমলুক বাসে চেপে মহিষাদল সিনেমা মোড় বাস স্টপেজে নেমে গেঁওখালি যাওয়া যায়। গেঁওখালির রুটে বাস চলাচল করে। গেঁওখালি থেকে হাওড়া জেলার গাদিয়াড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুর জলপথে ফেরি সার্ভিস রয়েছে প্রতিদিন।
আরও পড়ুন: জানলা খুললে শুধুই পাহার আর পাহাড়, গরমে অল্প খরচে বাসে চেপে চলুন পেডং
থাকার জায়গা:
গেঁওখালিতে বর্তমানে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের গেস্ট হাউস রয়েছে। গেস্ট হাউসের নাম ত্রিবেণী সঙ্গম। গেস্ট হাউসের দুটি তলে বেশ কয়েকটি এসি যুক্ত সুন্দর ঘর রয়েছে। যেগুলির ভাড়া ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা প্রতিদিন। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এর নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে এই গেস্ট হাউস রুম বুক করতে হবে।
ওয়েব সাইট: www.hda.gov.in
খাওয়া-দাওয়া:
গেস্ট হাউসের নিজস্ব রেস্টুরেন্ট রয়েছে তবে খাওয়া-দাওয়ার আলাদা দাম। এছাড়া চাইলে আপনি বাইরে খেতে পারেন।
কী কী দেখবেন:
গেঁওখালিতে ঠান্ডা বাতাসে মন প্রাণ জুড়িয়ে নেওয়ার পর, বেরিয়ে পড়ুন ইতিহাস সমৃদ্ধ মহিষাদলের উদ্দেশ্যে। মহিষাদল রাজবাড়ি, রাজবাড়ি সংলগ্ন আম্রকুঞ্জ, জাপানি পদ্ধতিতে মিওয়াকি ফরেস্ট, গোপাল জিউর মন্দির। কিছুটা দূরে গান্ধীজির পদধূলি ধন্য গান্ধী কুটির। মহিষাদলের রথতলা।
এ ছাড়া কাছেপিঠে গোপালপুরে রয়েছে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রথম সর্বাধিনায়ক সতীশ সামন্তের জন্মস্থান ও বসতবাড়ি। গরমের ছুটিতে নির্মল খোলা প্রকৃতির মাঝে ঠান্ডা হাওয়ায় মন প্রাণ জুড়িয়ে নিতে চলে আসুন গেঁওখালি। নদীতে ঢেউ এর আনাগোনার সঙ্গে মালবাহী ছোট ছোট জাহাজের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতে বেলা ফুরিয়ে সন্ধে নেমে আসবে নদীর বুকে।
Saikat Sheeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Summer Travel, Summer Vacation