আরাধনার মাঝে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একজোট

Last Updated:

দুর্গা আরাধনা উপলক্ষ মাত্র। আসল উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একজোট করা। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তাল বাংলা। মাত্র আট

#কর্ণেলগোলা: দুর্গা আরাধনা উপলক্ষ মাত্র। আসল উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একজোট করা। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তাল বাংলা। মাত্র আট বছর পরই ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হবে। সালটা ১৯৩৪। মেদিনীপুরের কর্ণেলগোলায় দুর্গা পুজো শুরু করেন দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল।
অভিভক্ত মেদিনীপুর। স্বাধীনতা সংগ্রামের আঁতুরঘর। দেশের প্রথম মহিলা শহিদ রানি শিরোমণি থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার মাটি। নো-পাসারান মত করে বলা পিছাবনির জেলা।
পর পর তিন বছরে খুন তিন জন ম্যাজিস্ট্রেট। পেডি, ডগলাস, বার্জ। সাদা চামড়ার কেউ আর জেলা শাসক হয়ে আসার সাহস পাননি। অবশেষে আসেন অবসর নেওয়া আইসিএস পি জে গ্রিফিথ। পাঠানো হয় ১৮০০ পাঠান সেনা। সেনার খরচ বাবদ সাতষট্টি হাজার টাকা করও আদায় করা হয় মেদিনীপুরবাসীর কাছে। অস্বীকার করে মেদিনীপুর।
advertisement
advertisement
সান্ধ্য আইন।যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। সবকিছু নিষিদ্ধ। কংগ্রেস, ক্লাব, স্কাউট, সব বন্ধ। পুলিশের বুটের শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যেত না। যুবকরা ঘরবন্দি।কার্যত কারাগারে পরিণত মেদিনীপুর শহর। সেই শহরে ১৯৩৪ সালে দুর্গা পুজো শুরু করে্ন বিপ্লবী বীরেন্দ্রনাথ শাসমল।
ভয়ে কেউ মূর্তি গড়তে চাননি। শেষ পর্যন্ত এসেছিলেন গোবিন্দচন্দ্র চন্দ। দাসপুরের এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর হাতেই রূপ পায় প্রথম উমা। পুজো ছিল উপলক্ষ। মূল লক্ষ জড়ো করা স্বদেশীদের।
advertisement
দেশ ছাড়ে ব্রিটিশরা। কিন্তু সর্বজনীনের পুজো রয়েই যায়। পুজোর বয়স আজ বিরাশি। বিশেষত্ব প্রতিবারের পূজো উতসর্গ করা হয় কোন না কোন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
আরাধনার মাঝে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একজোট
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement