স্বদেশী আন্দোলনের 'এই' কর্মশালা আজ মৃতপ্রায়, ফিরেও তাকায় না কেউ! দেওয়ালের আনাচে কানাচে লুকিয়ে সংগ্রামের ইতিহাস

Last Updated:

স্বাধীনতার স্মৃতি নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে কুলপির বসর গ্রামের গান্ধী স্মারক নিধি কেন্দ্র। একসময় বিপ্লবীদের আনাগোনায় গমগম করত গ্রাম।

+
গান্ধী

গান্ধী স্মারক নিধি কেন্দ্র 

কুলপি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নবাব মল্লিকঃ স্বাধীনতার স্মৃতি নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে কুলপির বসর গ্রামের গান্ধি স্মারক নিধি কেন্দ্র। একসময়ে বিপ্লবীদের আনাগোনায় গ্রাম গমগম করত। স্বাধীনতার পর সেই গান্ধি স্মারক নিধি কেন্দ্র নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। বসর গ্রাম একসময়ে ছিল বিপ্লবীদের আশ্রয়স্থল। স্বাধীনতা সংগ্রামী নিশিকান্ত মজুমদার (মিস্ত্রি) ছিলেন তাঁদের অন্যতম নেতা। তাঁর সঙ্গে নিরাপদ মণ্ডল, আনন্দ সরদার, জিতেন্দ্রনাথ মিস্ত্রি-সহ গ্রামের আরও অনেকে যোগ দিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে।
১৯৩০ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বসর গ্রামে ডাকা হয়েছিল এক মহাসভা। আশেপাশের ২৭টি গ্রামের মানুষ গিয়ে জমায়েত হয়েছিল সেখানে। স্বদেশের মুক্তির ডাক এখানে এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছিল যে, সেই খবর পৌঁছে যায় মহাত্মা গান্ধীর কানেও।
আরও পড়ুনঃ খারাপ আবহাওয়ায় টানা তুষারপাত! চার-পাঁচ দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দারচা মায়ার ভ্যালির অনামী শৃঙ্গে বাঙালি
গান্ধিজি নিজেও এসে যোগ দিয়েছিলেন এখানকার স্বদেশী আন্দোলনের কর্মযজ্ঞে। সেই স্মৃতিকে অমর করে রাখতেই গ্রামে তৈরি হয় গান্ধি স্মারক নিধি কেন্দ্র। কিন্তু কালের করাল গ্রাসে এখন সেই স্মৃতি বিলুপ্তির পথে। গান্ধি স্মারক নিধি কেন্দ্রের মাটির দেওয়াল জরাজীর্ণ। ঘূর্ণিঝড় আমফানে আরও ক্ষতবিক্ষত হয়েছে এই কেন্দ্র। একসময় যেখানে স্বাধীনতার গান গাওয়া হতো, আজ সেখানে নীরবতার ধুলো জমে আছে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ ২৫ বছর ধরে মৃত ম্যানগ্রোভের শিকড় কুড়ান ‘ইনি’! কেন জানেন? জানলে আপনিও ভাববেন ‘এও সম্ভব’!
তবুও গ্রামের মানুষ ভুলে যাননি অতীতকে। নিশিকান্ত মজুমদারের পরিবারের সদস্য তুষার কান্তি মিস্ত্রির কথায়, “স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রতিবছর অনুষ্ঠান করা হয় এখানে।” অতীতের গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে স্বাধীনতার দিনগুলির কথা গ্রামের নতুন প্রজন্ম তেমন একটা মনে রাখে না বলে আক্ষেপ করেছেন গ্রামের প্রবীণ মহিলা তারারানি বৈদ্য। তিনি জানিয়েছেন, “গ্রাম তখন স্বাধীনতা আন্দোলনের জোয়ারে ভেসেছিল। সেই জোয়ার এখন ম্লান। এই গান্ধি স্মারক নিধি কেন্দ্র বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে। “
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
স্বদেশী আন্দোলনের 'এই' কর্মশালা আজ মৃতপ্রায়, ফিরেও তাকায় না কেউ! দেওয়ালের আনাচে কানাচে লুকিয়ে সংগ্রামের ইতিহাস
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement