সুস্বাদু ন্যাদোস মাছ! হারিয়ে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে, ফিরিয়ে আনতে বড় উদ্যোগ

Last Updated:

পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে এলাকার মানুষজনদেরকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার অনন্য প্রয়াশ সৃষ্টি করেছে স্থানীয় জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র।

+
মাছের

মাছের চারা

সুন্দরবন, সুমন সাহা: প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের জয়গোপালপুর গ্রাম।অধিকাংশ তপশিলী জাতি ও উপজাতি পরিবারের বসবাস। সুন্দরবনের এক ফসলি জমিতে কোনওরকমে চাষ-আবাদ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। বিকল্প আয়ের কোনও পথ নেই বললেই চলে। এমন অবস্থায় এলাকার মানুষজন অনেকেই ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। এমন পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে এলাকার মানুষজনদেরকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার অনন্য প্রয়াশ সৃষ্টি করেছে স্থানীয় জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র।
প্রতিনিয়ত এলাকার পুরুষ মহিলাদের বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় আড়াই দশক ধরে। হাজার হাজার পরিবার স্বনির্ভরতা অবলম্বন করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এমন কর্মযজ্ঞের পাশাপাশি সুন্দরবনের ঐতিহ্যবাহী বিখ্যাত সুস্বাদু হারিয়ে যাওয়া ন্যাদোস মাছ।
advertisement
advertisement
সরল পুঁটি, কই, ট্যাংরা, মাগুর মাছকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করল। রীতিমতো হার্টিকালচার তৈরী করার কাজ চলছে। সেখানে মৎস্য বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীদের তত্ত্বাবধানে এলাকার মাছ চাষিদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে চাষিরা যাতে ন্যাদোস মাছ চাষে উদ্যোগী হয় সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রে পক্ষ থেকে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উল্লেখ্য এছাড়াও এলাকার চাষিরা বিকল্প আয়ের জন্য যাতে দেশীয় রুই, কাতলা চাষে উদ্যোগ গ্রহণ করে অর্থনৈতিক ভাবে বিকশিত হয় তার জন্য সংস্থার তরফে এক দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এলাকার ৫৫০ মাছ চাষিকে। যাঁদের মধ্যে ৩৫০ জন তপশিলী উপজাতি এবং ২০০ জন তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ের। প্রশিক্ষণ শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে ৫৫০ চাষির হাতে ৬ কেজি মাছের চারা ও দুবস্তা করে খাবার তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
এদিন মাছের চারা বিতরণ উপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন সিআইএফআরআই এর সিনিয়র বিজ্ঞানী ডঃ প্রণয় পড়িয়া। বিজ্ঞানী ডঃ দিবাকর ভক্ত, ন্যাদোস মাছ বিশেষঞ্জ বিজ্ঞানী ডঃ সুমন কুমারী, বিজ্ঞানী ডঃ লিয়ন থম লুইয়ার, জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের মূখ্য অধিকর্তা বিশ্বজিত মহাকুড় সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা। মাছের চারা বিতরণ শেষে জানিয়েছেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য তপশিলী জাতি উপজাতি সহ দরিদ্র মানুষজনদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা। পাশাপাশি অভয় পুকুরের মধ্য দিয়ে বাস্ততন্ত্রকে রক্ষা করে বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বিস্তার ঘটিয়ে পুণরায় ফিরিয়ে আনাই একমাত্র লক্ষ্য।”
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
সুস্বাদু ন্যাদোস মাছ! হারিয়ে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে, ফিরিয়ে আনতে বড় উদ্যোগ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement